আবৃত্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বন্দোপাধ্যায় > বন্দ্যোপাধ্যায় (By FindAndReplace)
Prince ovy (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০ নং লাইন:
পবিত্র [[কুরআন|কোরআন]]<nowiki/>ের সুরা মুযযাম্মিলে রয়েছে- "ও রাত্তিলিল কুরানা তারতিলা" অর্থাৎ তোমরা তারতিলের সাথে কোরআন পাঠ করো। এখানে তারতিল মানে আবৃত্তি বোঝানো হয়েছে।
 
প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে আবৃত্তি শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ ছিল। শব্দটির বুৎপত্তিগতব্যুৎপত্তিগত অর্থ-বারংবার পাঠ। প্র, পরা, অপ, সম ইত্যাদি যে বিশটি উপসর্গ বাংলায় পাওয়া যায় "আ" তার একটি। "আ" মানে সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে। সেক্ষেত্রে আবৃত্তির প্রাচীন অর্থটা হয় এরকম- সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে যা পঠিত বা উচ্চারিত।
বৈদিক ভাষা যখন রচিত হয়, তখন লেখার কোন পদ্ধতি আমাদের জানা ছিল না। বৈদিক কবিরা রচনা করতেন মুখে মুখে এবং সে রচনা কাগজে লিখে রাখবার মতোই ধরে রাখতেন মুখে মুখে, আবৃত্তির সাহায্যে। বৈদিক সাহিত্য আবৃত্তির মাধ্যমে যুগে যুগে বাহিত হবার আরো একটি কারণ ছিল। এ প্রসঙ্গে [[সুকুমার সেন]] বলেন- "সে হল লেখাপড়ার চেয়ে আবৃত্তির উৎকর্ষ। লেখাতে ভাষার সবটুকু ধরা পরে না। না কন্ঠস্বর, না সুরের টান, না ঝোঁক। কিন্তু আবৃত্তিতে এসবই যথাযথ বজায় থাকে।"