মনোবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
সম্পাদন ট্যাগ: তথ্য অপসারণ দৃশ্যমান সম্পাদনা |
||
৩ নং লাইন:
{{Further2|[[মনোবিজ্ঞানের সময়রেখা]]}}
[[File:Psychology.jpg |thumb|upright=1.5]]
'''মনোবিজ্ঞান''' বা '''মনস্তত্ত্ববিদ্যা''' হল , মানসিক প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কিত বিদ্যা ও অধ্যয়ন। এটি [[বিজ্ঞান|বিজ্ঞানের]] একটি তাত্ত্বিক ও ফলিত শাখা যাতে মানসিক কর্মপ্রক্রিয়া ও আচরণসমূহ নিয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করা হয়।<ref name=APA>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=How does the APA define "psychology"? | ইউআরএল = http://www.apa.org/support/about/apa/psychology.aspx#answer | সংগ্রহের-তারিখ = 15 November 2011}}</ref><ref name=APA2>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Definition of "psychology (APA's Index Page)" | ইউআরএল = http://www.apa.org/about/index.aspx | সংগ্রহের-তারিখ = 20 December 2011}}</ref><ref name="Fernald">Fernald L.D. 2008. [http://books.google.com/books?id=Q7p-J4-SWuQC&printsec=frontcover#v=onepage&q&f=false ''Psychology: six perspectives''] (pp. 12–15). Thousand Oaks, CA: Sage Publications.</ref><ref name="Psychology">Hockenbury & Hockenbury. 2010. ''Psychology''. Worth Publishers.</ref><ref name="O'Neil">O'Neil, H.F.; cited in Coon D. & Mitterer J.O. 2008. [http://books.google.com/books?id=vw20LEaJe10C&printsec=frontcover#v=onepage&q&f=false ''Introduction to psychology: gateways to mind and behavior''] 12th ed, Stamford, CT: Cengage Learning, pp. 15–16.</ref> বিভিন্ন [[বিজ্ঞানী]] মনোবিজ্ঞানকে "[[মানুষ]] এবং [[প্রাণী]] আচরণের বিজ্ঞান" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।<ref>Watson, J.B 1913</ref><ref>Hilgard, 1972</ref><ref name="ReferenceA">সাধারণ মনোবিজ্ঞান, আফছার উদ্দীন [[ISBN 984-516-034-4]]</ref> আবার অনেক বিজ্ঞানী একে সংজ্ঞায়িত করেছেন "আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান" হিসেবে।<ref name="ReferenceA"/><ref>Crider et al, 1983</ref>।
মনোবিজ্ঞান মূলত মানুষের সাথে সম্পর্কিত, তবে অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। মনোবিজ্ঞানকে সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ন করা কঠিন হওয়ার কারণে, মনোবিজ্ঞানীগণ প্রায়শই বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন অংশের দিকে নজর দেন। বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগসূত্র রয়েছে। এর কিছু ক্ষেত্র হল [[চিকিৎসা বিজ্ঞান|মেডিসিন]], আচরণবিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, এবং
মনোবিজ্ঞানের কর্মক্ষেত্রে, একজন পেশাগত প্রশিক্ষণার্থী বা গবেষককে মনোবিজ্ঞানী এবং সামাজিক, আচরণিক ও চেতনাবিজ্ঞানী বলে ডাকা হয়। মনোবিজ্ঞানী ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রে মানসিক কর্মপ্রক্রিয়ার ভূমিকাকে বোঝার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তারা চেতনাগত প্রক্রিয়া ও আচরণের পেছনের মনস্তাত্ত্বিক ও স্নায়বিক প্রক্রিয়াকেও অনুসন্ধান করেন।
==মনোবিজ্ঞানের ইতিহাস ও প্রারম্ভিক বিকাশ==
উনিশ শতকের আগে [[মন]] সম্পর্কীয় সকল অধ্যয়ন [[দর্শন|দর্শনের]] অন্তর্ভুক্ত ছিল। দার্শনিকগণ মানসিক আচার-আচরণ বা ক্রিয়া-কলাপ সম্পর্কে কেবল অনুমান করেছিলেন। [[মন]] সম্পর্কে [[গ্রিস|গ্রীক]] দার্শনিক [[প্লেটো]] সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা করেন। তিনি মনকে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন সত্তা হিসাবে গণ্য করেন। আধুনিক যুগে [[স্নায়ুবিজ্ঞান]] ও [[প্রাণীবিজ্ঞান|প্রাণীবিজ্ঞানের]] বিকাশের সাথে সাথে মনোবিজ্ঞানেরও নব বিকাশ ঘটে ও আধুনিক বিজ্ঞানের এক অন্যতম শাখা হিসাবে মনোবিজ্ঞানের বিকাশ আরম্ভ হয়। স্নায়ুবিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞানের মধ্যেই যে মনোবিজ্ঞানের প্রাথমিক ভিত্তি নিহিত হয়ে আছে সেই কথা সর্বপ্রথম বলেন জার্মান শরীর বিজ্ঞানী [[জোহানেস পিটার মুলার]]। অবশ্য মনোবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারটি করেছিলেন আরেকজন জার্মান বিজ্ঞানী [[হারমেন ভন হেল্মল্টজ্]]। ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী টমাস ইয়ঙের প্রস্তাবিত রং সংক্রান্ত নীতি নিয়ে গবেষণা করে তিনি [[ইয়ং-হেল্মল্টজ্]] [[সূত্র]] প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সূত্র দ্বারা তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে তিনটে বিভিন্ন রঙের (সবুজ, নীল ও লাল) অনুভূতির সৃষ্টি হয় মানুষের চোখের রেটিনার সাথে সংযুক্ত তিন ধরনের স্নায়ুর কর্ম-তৎপরতার ফলে। এরপর পরবর্তী আধুনিক মনোবিজ্ঞান একের পর আরেক আমাদের মন সম্পর্কীয় রহস্য উদ্ঘাটন করে এর জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
==মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন মতবাদ==
৪৫ নং লাইন:
১৯৫৫ সালে প্রখ্যাত [[মনোবিজ্ঞানী|মনোবিজ্ঞানীত্রয়]] - [[ভিক্টোরিয়া মেডভেক]], [[স্কট ম্যাদে]] এবং [[থমাস গিলোভিচ]] আধুনিক [[অলিম্পিক ক্রীড়া|অলিম্পিক ক্রীড়ায়]] বিপরীতধর্মী চিন্তা-ভাবনা সংবলিত প্রতিক্রিয়া [[গবেষণা]] আকারে তুলে ধরেন। তারা দেখিয়েছেন, যে সকল [[প্রতিযোগী]] [[ব্রোঞ্জপদক]] জয় করে তারা [[রৌপ্যপদক]] জয়ী [[ক্রীড়াবিদ|ক্রীড়াবিদের]] তুলনায় অধিকতর [[সুখী]]। রৌপ্যপদক জয়ী ক্রীড়াবিদ [[মানসিক অবসাদ|মানসিক অবসাদগ্রস্ততায়]] ভোগেন, কেননা তারা অল্পের জন্য [[স্বর্ণপদক]] প্রাপ্তি থেকে নিজেকে বিচ্যুত করেছেন। সে তুলনায় ব্রোঞ্জপদক জয়ী [[খেলোয়াড়]] [[ক্রীড়া]] [[প্রতিযোগিতা]] থেকে কমপক্ষে একটি [[পদক]] জয়ে সক্ষমতা ও পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন। চতুর্থ স্থান অধিকারী প্রতিযোগীকে সাধারণত কোন পদক দেয়া হয় না।<ref>[http://www.jiskha.com/social_studies/psychology/almost_made_it.html social_studies:psychology]</ref> [[নক-আউট|নক-আউটভিত্তিক]] প্রতিযোগিতা হিসেবে [[ফিফা বিশ্বকাপ]] ফুটবলে পুনরায় [[ফুটবল]] [[খেলা|খেলায়]] অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করতে হয়। চূড়ান্ত খেলায় পরাজিত হবার প্রেক্ষাপটে পরাজিত দলকে রৌপ্যপদক প্রদান করা হয়।
==আরও দেখুন==
* [[মনোচিকিৎসা]]
|