বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ হল বেলুচিস্তান অঞ্চলে পাকিস্তান ও ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের একটি বিদ্রোহ। <ref name=websters_unabridged>{{citation|title="insurgency" (noun)|url=http://unabridged.merriam-webster.com/unabridged/insurgency|publisher=Merriam-Webster Unabridged|access-date=27 November 2019}} Quote: "The quality or state of being insurgent; specifically : a condition of revolt against a recognized government that does not reach the proportions of an organized revolutionary government and is not recognized as belligerency" (subscription required)</ref><ref name=oed_insurgency>{{citation|title=insurgency, n|publisher=Oxford English Dictionary|url=https://www.oed.com/view/Entry/97279?redirectedFrom=insurgency#eid|access-date=27 November 2019}} Quote: "The quality or state of being insurgent; the tendency to rise in revolt; = insurgence n. = The action of rising against authority; a rising, revolt." (subscription required)</ref><ref name=britannica_insurgency>{{citation|title=Insurgency|publisher=Encyclopedia Britannica|url=https://www.britannica.com/topic/insurgency|access-date=27 November 2019}} Quote: "Insurgency, term historically restricted to rebellious acts that did not reach the proportions of an organized revolution. It has subsequently been applied to any such armed uprising, typically guerrilla in character, against the recognized government of a state or country." (subscription required)"</ref> যা দক্ষিণ-পশ্চিমে পাকিস্তানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের বেলুচেস্তান প্রদেশ এবং দক্ষিণ আফগানিস্তানের বেলুচিস্তান অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত।
৬ ⟶ ৫ নং লাইন:
 
==বৈষম্যের অভিযোগ==
বালুচিস্তানের রয়েছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। বিশেষ করে গ্যাস,কয়লা, তামা এবং সোনার বিশাল মজুদ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=বেলুচিস্তান কি পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে পারবে? (প্রথম পর্ব)|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/553769/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87|ওয়েবসাইট=bbc|সংগ্রহের-তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯|ভাষা=bn |তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref> বালুচ জাতীয়তাবাদীরা বহু বছর ধরে অভিযোগ করে যাচ্ছে যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের শোষন করছে এবং বালুচিস্তানকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। অর্থনৈতিকভাবে বালুচিস্তান এখনো পাকিস্তানের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। পাকিস্তানের সরকারি চাকুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বালুচদের বিরুদ্ধে বৈষম্যেরও ব্যাপক অভিযোগ আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=পাকিস্তানে বেলুচিস্তান সঙ্কট|ইউআরএল=https://www.dailynayadiganta.com/sub-editorial/586028/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%9F|ওয়েবসাইট=dailynayadiganta|সংগ্রহের-তারিখ=০৩ জুন ২০২১|ভাষা=bn |তারিখ=০৩ জুন ২০২১}}</ref>
 
==স্বাধীন বালুচিস্তানের স্বপ্ন==
পাকিস্তানে প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল বালুচিস্তানেই, স্বাধীনতার মাত্র এক বছর পর ১৯৪৮ সালে। বালুচিস্তানে যে চারটি প্রিন্সলি স্টেট ছিল, তার তিনটি ১৯৪৭ সালেই পাকিস্তানে যোগ দেয়- মাকরা, লাস বেলা এবং খারান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=বেলুচিস্তান সংকট ও পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ|ইউআরএল=https://www.jaijaidinbd.com/todays-paper/editorial/65674/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8E|ওয়েবসাইট=jaijaidinbd|সংগ্রহের-তারিখ=০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯|ভাষা=bn |তারিখ=০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯}}</ref> কিন্তু চতুর্থ একটি প্রিন্সলি স্টেট, খান অব কালাতের শাসক আহমদ ইয়ার খান প্রথমে পাকিস্তানের যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত ১৯৪৮ সালে যখন তিনি পাকিস্তানে যোগ দেয়ার জন্য রাজি হন, তখন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন তার ভাই প্রিন্স আগা আবদুল করিম বালুচ। তারাই বালুচিস্তানে প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=বালুচিস্তান: সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশকে কেন অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে?|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-53226152|ওয়েবসাইট=bbc|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ জুন ২০২০|ভাষা=bn |তারিখ=২৯ জুন ২০২০}}</ref>
 
বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির সংঘাত নিত্যদিনের ঘটনা। কিন্তু সেই সংঘাতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হলেও বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা সুদূরপরাহত। স্বাধীন বেলুচিস্তানের জন্য প্রতিবেশী ইরান ও আফগানিস্তানের সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ইরান ও আফগানিস্তানের পক্ষে ওই সমর্থন দেওয়া কখনও সম্ভব নয় কারণ, পাকিস্তানের বেলুচরা স্বাধীনতা অর্জন করলে ইরান ও আফগানিস্তানের বেলুচরা স্বাধীন বেলুচিস্তানে যোগ দিতে চাইবে। ফলে, ইরান ও আফগানিস্তানের মানচিত্রের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম= বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা কতদূর?|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/672355/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B0|ওয়েবসাইট=banglatribune|সংগ্রহের-তারিখ=২১ মার্চ ২০২১|ভাষা=bn |তারিখ=২১ মার্চ ২০২১}}</ref>
তাছাড়া বেলুচ আন্দোলনের নেতৃত্ব বহু ধারায় বিভক্ত, নেতাদের মধ্যে মতবিরোধও তীব্র। বেলুচিস্তানে বা পাকিস্তানের ভেতরেও তাদের তেমন কোনও বড় নেতা নেই। ফলে বেলুচদের আন্দোলনে কোনও অভিন্ন কর্মসূচিও নেই। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম= বেলুচিস্তান কি পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে পারবে? (শেষ পর্ব)|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/555417/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE|ওয়েবসাইট=banglatribune|সংগ্রহের-তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯|ভাষা=bn |তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref>
 
<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম= বেলুচিস্তান কি পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে পারবে? (শেষ পর্ব)|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/555417/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE|ওয়েবসাইট=banglatribune|সংগ্রহের-তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯|ভাষা=bn |তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref>
 
==চীনের ভূমিকা==
বালুচিস্তানের স্বাধীনতার আকাঙ্খার পথে এখন আরেকটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পে চীন যুক্ত হওয়ার কারণে। চীনের ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বালুচিস্তানের গোয়াদার বন্দর প্রকল্প। চীনের অর্থায়নে ‘চায়নাচায়না পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর বা সিপেক নামের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য গোয়াদার বন্দরকে পশ্চিম চীনের সঙ্গে যুক্ত করা। এর ফলে বন্দরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হবে। পাকিস্তানের রাজনীতিক এবং সেনা কর্মকর্তারা এই প্রকল্পটিকে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ বলে বর্ণনা করে থাকেন। তাদের দাবি, এর ফলেপ্রকল্পের বালুচিস্তানেরমাধ্যমে অর্থনীতিইবেলুচিস্তানের পাল্টে যাবে। কিন্তু বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো মনে করে, এ থেকে স্থানীয়রা কোনভাবেই লাভবান হবে না। তারা বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে নিয়মিতই এই প্রকল্পের কাজে বাধা দিতে হামলা চালায়। এই প্রকল্পটি একটি শ্বেত হস্তীতে পরিণত হতে পারে, এমন আশংকা অনেকের মধ্যে আছে। কিন্তু চীন এই প্রকল্প অব্যাহত রাখতে চায় এবং পাকিস্তান সরকারও যে কোন মূল্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করে প্রকল্পটি শেষ করতে চায়।
 
বালুচিস্তানের স্বাধীনতার আকাঙ্খার পথে এখন আরেকটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পে চীন যুক্ত হওয়ার কারণে। চীনের ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বালুচিস্তানের গোয়াদার বন্দর প্রকল্প। চীনের অর্থায়নে ‘চায়না পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর বা সিপেক নামের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য গোয়াদার বন্দরকে পশ্চিম চীনের সঙ্গে যুক্ত করা। এর ফলে বন্দরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হবে। পাকিস্তানের রাজনীতিক এবং সেনা কর্মকর্তারা এই প্রকল্পটিকে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ বলে বর্ণনা করে থাকেন। তাদের দাবি, এর ফলে বালুচিস্তানের অর্থনীতিই পাল্টে যাবে। কিন্তু বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো মনে করে, এ থেকে স্থানীয়রা কোনভাবেই লাভবান হবে না। তারা বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে নিয়মিতই এই প্রকল্পের কাজে বাধা দিতে হামলা চালায়। এই প্রকল্পটি একটি শ্বেত হস্তীতে পরিণত হতে পারে, এমন আশংকা অনেকের মধ্যে আছে। কিন্তু চীন এই প্রকল্প অব্যাহত রাখতে চায় এবং পাকিস্তান সরকারও যে কোন মূল্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করে প্রকল্পটি শেষ করতে চায়।
 
==মানবাধিকার লঙ্ঘন==