মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Owais Al Qarni মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী কে মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
(গণ-প্রতিস্থাপন)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২ নং লাইন:
{{তথ্যছক ধর্মীয় জীবনী
|religion=[[ইসলাম]]
|name=মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহীগাঙ্গুহি
|birth_date=১৯০৭
|birth_place=গাঙ্গুহ,[[সাহারানপুর জেলা]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
৮ নং লাইন:
|death_place=এলসবার্গ, [[দক্ষিণ আফ্রিকা]]
|nationality=[[ভারতীয়]]
|image=মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহীগাঙ্গুহি.png
|native_name='''محمود حسن گنگوہی'''
|works=ফতোয়া মাহমুদিয়া (৩২ খন্ড)
২৭ নং লাইন:
|Madh'hab=হানাফি
}}
'''মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহীগাঙ্গুহি''' (১৯০৭–১৯৯৬, {{lang-ur|محمود حسن گنگوہی}}) ছিলেন একজন [[ভারতীয় জনগণ|ভারতীয়]] ইসলামি পণ্ডিত, হানাফি আলেম এবং [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] ও [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরের]] প্রাক্তন প্রধান মুফতি। তিনি সাহাবী হযরত [[আবু আইয়ুব আনসারি|আবু আইয়ুব আনসারি রাঃ]]-এর বংশধর।<ref name="Gangohi672">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/stream/akabir/HadhratMuftiMahmoodHasanGangohi-HisLifeAndWorksByTalimiBoardKzn#page/n90/mode/1up|শিরোনাম=Hadhrat Mufti Mahmood HasanGangohi - His Life And Works|প্রকাশক=Talimi Board|পাতা=67|সংগ্রহের-তারিখ=16 April 2020}}</ref>
 
== জন্ম ==
মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহীগাঙ্গুহি ১৩২৫ [[হিজরি সন|হিজরির]] ৮/৯ [[জমাদিউস সানি|জমাদিউল সানি]] মোতাবেক ১৯০৭ সালে [[ভারত|ভারতের]] [[সাহারানপুর জেলা|সাহারানপুর জেলার]] অন্তর্গত গাঙ্গুহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা হামেদ হাসান [[মাহমুদুল হাসান|শায়খুল হিন্দের]] শাগরেদ এবং [[রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি|রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহির]] নিকট বায়আত ছিলেন।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/13927/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-%28%E0%A6%B0%E0%A6%B9%29|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহীগাঙ্গুহি (রহ.)|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=দৈনিক ইনকিলাব|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref>
 
== বংশ পরিচয় ==
৩৬ নং লাইন:
 
== শিক্ষাজীবন ==
মাহমুদ হাসানের প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা হয় হযরত [[মাহমুদুল হাসান|শায়খুল হিন্দের]] নিকট হযরত [[রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি|রশিদ আহমেদ গাঙ্গুহীরগাঙ্গুহির]] কন্যার বৈঠকখানায়, সেখানে ''হাফেজ করীম বখশের'' নিকট কোরআন কারিম হেফজ করেন। [[কুরআন]] হেফজ শেষ করতে মাত্র সতের লাইন বাকি, এমতাবস্থায় হাফেজ করীম বখশের (যিনি অন্ধ ছিলেন) মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর গাঙ্গুহ জামে মসজিদের ইমাম ''হাফেজ আব্দুল করীম'' সাহেবের নিকট হেফজ সমাপ্ত করেন। সে সময় নিজের আগ্রহে [[উর্দু ভাষা|উর্দু ভাষাও]] শিখে নিয়েছিলেন। আর আমদনামা ও বুস্তার কিছু অংশ পড়েছেন ''মাওলানা ফখরুদ্দীন গাঙ্গহীর'' নিকট। ১৩৪১ হিজরীতে [[মাজাহির উলুম, সাহারানপুর|মাজাহির উলুম, সাহারানপুরে]] ভর্তি হয়ে সরফে মীর এবং নাহুমীর ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু করে মীর যাহেদ গোলাম ইয়াহইয়া, কাযী মুবারক দিওয়ানে হামাসাহ, দিওয়ানে মুতানাব্বী এবং হামদুল্লাহসহ অন্য কিতাবগুলো পড়েন ১৩৪৭ হিজরি পর্যন্ত। ১৩৪৮ হিজরির শাওয়াল মাসে দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হয়ে হেদায়া আখেরাইন এবং মিশকাত শরিফ অধ্যয়ন করেন। ১৩৪৯ হিজরিতে বায়যাভী, আবু দাউদ এবং মুসলিম শরিফ পড়েন। আর ১৩৫০ হিজরিতে শায়খুল ইসলাম [[হুসাইন আহমদ মাদানি]]র নিকট বুখারি শরিফ ও তিরমিজি শরিফ পড়েন। পরবর্তী বছরে মাজাহেরুল উলুম সাহারানপুরে ভর্তি হয়ে দাওরায়ে হাদিসের সব কিতাব পুনরায় অধ্যয়ন করেন। অতঃপর মাজাহিরুল উলুমেই তাজভীদ এবং কেরাত শাস্ত্র সমাপ্ত করেন।<ref name=":0" />
 
== কর্মজীবন ==
৫৬ নং লাইন:
তিনি ৪ বার [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] আগমন করেন। ১৯৯৬ সালে [[রমজান|মাহে রমজানে]] বাংলাদেশে তার সর্বশেষ সফর হয়েছিল। তখন তিনি ঢাকার মালিবাগ মাদরাসার জামে মসজিদে এক মাসব্যাপী কয়েক হাজার দেশি ও বিদেশি ভক্ত ও মুরিদদেরকে সাথে নিয়ে জিকির, তালকীন ও [[ইতিকাফ|এতেকাফ]] করেন।
 
তিনি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[ঢাকা|ঢাকার]] [[নবাবগঞ্জ উপজেলা, ঢাকা|নবাবগঞ্জ]] থানার টিকরপুরে আল জামিয়াতুল মাহমুদিয়া টিকরপুর মাদরাসাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের ৬টি মাদরাসা এবং মালিবাগ মাদ্রাসা ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার প্রধান দুটি খানকাহও তার নেসবতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.dailyinqilab.com/article/14833/%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%80-(%E0%A6%B0%E0%A6%B9)|শিরোনাম=আউলিয়াদের জীবন - হযরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহীগাঙ্গুহি (রহ.)|শেষাংশ=নিজস্ব প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=অবদান পরিচ্ছেদ|তারিখ=|কর্ম=দৈনিক ইনকিলাব|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02|ভাষা=}}</ref>
 
== বই ==
মুফতি মাহমুদ সারাজীবনে যত ফতোয়া দিয়েছিলেন তা প্রকাশ হয়েছে "ফতোয়া মাহমুদিয়া" নামে। ৩২ খণ্ডে সংকলিত এই বিশাল গ্রন্থটি হানাফি মাযহাবের একটি রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহৃত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.amazon.com/FATAWA-MAHMOODIYAH-31-SET-Urdu/dp/B07C1FWP3C|শিরোনাম=ফতোয়া মাহমুদিয়া|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=www.amazon.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-02}}</ref> ইতিমধ্যেই তার ৯টি মালফুজাত এবং ৯টি মাওয়ায়েজ প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ittadishop.com/writers/details/50866f22e25111e6af9f04018da4a601/fokihul-ummot-mufti-mahmud-hassan-ganguhi-rh.html|শিরোনাম=মাহমুদুল হাসান গাঙ্গুহীরগাঙ্গুহির বই|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|কর্ম=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
* [[মুহাম্মদ ইবনে জারির আল-তাবারি|আল তাবারীর]] [[উর্দু ভাষা|উর্দু]] অনুবাদ সীরাতে সায়্যিদুল বাশার
* ফাহারসিল হাওয়া লিল হাশিয়াতুত ত্বহাবী