দর্শন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন [ধৈর্য্য→ধৈর্য]
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৮ নং লাইন:
জীবন ও জগৎের যে কোনো সমস্যাই গোড়াতে দর্শনের আওতাভুক্ত থাকলেও দর্শনের মূল প্রশ্ন হিসেবে বিশ্বসত্তার প্রকৃতি, মানুষের জ্ঞানের ক্ষমতা অক্ষমতার প্রশ্ন, বস্তু ও ভাবের পারস্পরিক সম্পর্ক, মানুষের চিন্তা প্রকাশের প্রকৃষ্ট উপায় বা যুক্তি এবং মানুষের ন্যায় অন্যায় বোধের ভিত্তি ও তার বিকাশের প্রশ্নগুলি প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত দর্শনের নিজস্ব আলোচনার বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। দর্শনের এই মূল বিষয়কে ‘মেটাফিজিকস, অধিবিদ্যা বা পদার্থ-অতিরিক্ত বিদ্যা বলে অনেক সময় অভিহিত করা হয়। প্রাচীনকালের বিশ্বকোষিক [[এরিস্টটল|এরিস্টটলের]] আলোচনারাজিকে ফিজিকস, মেটাফিজিকস, লজিক, এথিকস, পলিটিকস পোয়েটিকস, রেটোরিকস প্রভৃতি ভাগে বিভক্ত করা হয়।[[চিত্র:David - The Death of Socrates.jpg|thumb|right|400px|সত্রেটিস আদালতের নির্দেশে ''হেমলক বিষ'' পান করতে যাচ্ছেন।]]
 
==ব্যুৎপত্তি==
==বুৎপত্তি==
দর্শন শব্দটি ইংরেজি ''philosophy'' শব্দ থেকে এসেছে। ফিলোসফি শব্দটি এসেছে প্রাচীন [[গ্রিক ভাষা]] থেকে। গ্রিক ভাষায় φιλοσοφία (''philosophía'') শব্দটি দুটি শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। শব্দ দুটি হল: φίλος (''ফিলোস'': বন্ধু, ভালোবাসার পাত্র) এবং σοφία (''সোফিয়া'': প্রজ্ঞা)।<ref>"But philosophy has been both the seeking of wisdom and the wisdom sought." {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Dictionary of Philosophy|লেখক=Dagobert D. Runes|প্রকাশক=Kessinger Publishing}} {{আইএসবিএন|1-4286-1310-2}}</ref><ref>The definition of philosophy is: "1.orig., love of, or the search for, wisdom or knowledge 2.theory or logical analysis of the principles underlying conduct, thought, knowledge, and the nature of the universe." {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Webster's New World Dictionary|সংস্করণ=Second College}}</ref> এ থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়, দর্শনের সাথে মূল সম্পর্ক হচ্ছে প্রজ্ঞার, আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রজ্ঞার প্রতি ভালোবাসার। জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা এক জিনিস নয়। ঘটনা ও তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভুল ধারণা থেকে জ্ঞান লাভ করা যায়, কিন্তু [[দার্শনিক]] (যিনি দর্শন চর্চা করেন তাকেই দার্শনিক বলা হয়) কেবল তথ্যগত জ্ঞানের উপর নির্ভর করেন না। দর্শনের প্রধান কাম্য বিষয় প্রজ্ঞা। প্রজ্ঞার অনুসন্ধান ও চর্চার মাধ্যমেই দর্শন বিকাশ লাভ করে। [[পিথাগোরাস]] সারা জীবন প্রজ্ঞার সাধনা করেছেন, কখনও জ্ঞানের গরিমা অনুভব করেননি। এজন্য তিনি দার্শনিক হিসেবে বিদগ্ধ। দর্শনের জন্য যে প্রজ্ঞা কাম্য তার মধ্যে রয়েছে, অন্তর্দৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গির অভ্রান্ততা, বিচারের ভারসাম্য ও বিশ্লেষণের সামঞ্জস্য।<ref name="ReferenceA">'''প্রাচীন ও মধ্যযুগের পাশ্চাত্য দর্শন''': অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শিখা প্রকাশনী - বইমেলা ডিসেম্বর ২০০০, মুদ্রণ: ২০০২। ''ইতিহাসের আলোকে দর্শন'', পৃ. ২১</ref>