প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানির ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎শীর্ষ: সংশোধন
৩ নং লাইন:
 
== সার সংক্ষেপ ==
জার্মান জাতি ১৯১৪ এর সেই যুদ্ধে মিশ্র আবেগের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে, ঠিক যে ভাবে ইউরোপের অন্যদেশ গুলোর জনগণ জানিয়েছিল; সে সময়কার প্রত্যক্ষদর্শী জাতি যারা [[১৯১৪ এর মূল চালিকা শক্তি]] হিসেবে পরিচিত, পরবর্তীতে বহু চ্যলেঞ্জের সম্মুখীন হয়। <ref>Jeffrey Verhey, ''The Spirit of 1914: Militarism, Myth and Mobilization in Germany'' (Cambridge U.P., 2000).</ref> জার্মান সরকার, [[জানকার্সের]] দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভেবেছিল এই যুদ্ধ জার্মানির বিরোধ প্রতিযোগী ফ্র্যান্স[[ফ্রান্স]], [[রাশিয়া]] এবং ব্রিটেনের সাথে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাবে। যুদ্ধের শুরুটা জার্মানির কাছে এমন ছিল যে তাদের জাতিকে রক্ষার শেষ সুযোগ "সূর্যের নিচে আমাদের জায়গা" যেমনটা তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বার্নহার্ড ভন ব্লো যেমনটা রেখেছিলেন। আর সেটিও জনগণ জাতীয়তাবাদ হিসেবে সমর্থন করার জন্যে তৈরি ছিল। কায়সার এবং জার্মান সংস্থা আশা করেছিল যে যুদ্ধটি জনগণকে রাজতন্ত্রের দিকে উদ্ভুদ্ধ করবে এবং জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নাটকীয় বিকাশের ফলে উদ্ভূত হুমকিকে কমিয়ে দেবে। যারা যুদ্ধের আগে [[রিকস্ট্যাগ]] এ কায়সারের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচক ছিল। [[দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক]] সদস্যপদ থাকা সত্ত্বেও, [[জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি]] ইম্পেরিয়াল সরকারের সাথে তার মতবিরোধের অবসান ঘটায় এবং যুদ্ধের প্রয়াসকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক নীতিগুলি লঙ্ঘন করে।
 
খুব দ্রুতই প্রতীয়মান হয় যে জার্মানির কয়েক মাসের বেশি যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রস্তুতি ছিল না। প্রথমদিকে, যুদ্ধকালীন সময়ে অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি এবং এর ফলে জার্মান যুদ্ধ কালীন সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থা ছন্ন ছাড়া অবস্থায় থাকে। জার্মানি খাবার এবং কাঁচামাল আমদানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল, সেটিও [[জার্মানির ব্রিটিশ অবরোধ]] এর ফলে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। [[খাদ্যের মূল্য]] প্রথমে সীমিত রাখা হয় পরে রেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। ১৯১৫ এর দিকে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন শূকর গনহারে মারা হয় তথাকথিত [[শোয়াইনমর্ডে]] শুধুমাত্র খাবার এবং শস্য সংরক্ষণের নাম করে। ১৯১৬/১৭ এর শীতকে "টুরনিপ শীত" বলা হয় কারণ আলুর ফলন কম ছিল এবং মানুষজন জীব জন্তুর খাবার খেয়েছিল, তার মধ্যে জঘন্য স্বাদের শালগমও ছিল। ১৯১৪ সালের আগস্ট থেকে ১৯১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত যুদ্ধ চলাকালীন, অপুষ্টি ও ক্লান্তি ও রোগ ও হতাশার উচ্চ হারে যুদ্ধ বন্ধ থাকাকালীনও অতিরিক্ত মৃত্যুহার বেড়ে লোক সংখ্যা দাঁড়ায় ৪,৭৪,০০০ জন।<ref>N.P. Howard, "The Social and Political Consequences of the Allied Food Blockade of Germany, 1918-19," ''German History'' (1993), 11#2, pp. 161-88 [http://libcom.org/files/blockade%20Germany_0.pdf online] p. 166, with 271,000 excess deaths in 1918 and 71,000 in 1919.</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/worldwarihistory00stra|শিরোনাম=World War 1|বছর=1998|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতা=[https://archive.org/details/worldwarihistory00stra/page/125 125]|আইএসবিএন=9780198206149|লেখক=Hew Strachan|ইউআরএল-সংগ্রহ=registration}}</ref>