ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Flu und legende color c.jpg|thumb|right|'''ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস''']]
'''ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস''' অর্থোমিক্সোভিরিডি (''Orthomyxoviridae'') পরিবারের একটি [[ভাইরাস]], যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে এটা লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপি প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেওয়া হয় "'''[[স্প্যানিশ ফ্লু]]'''"। এরপর বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে যা বিশ্বব্যাপি মানব মৃত্যুর কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই ভাইরাসের বিভিন্ন রূপ '''মানুষ, পাখি, শূকর''' প্রভৃতি জীব প্রজাতীকে নিজের পোষক রূপে ব্যবহার করতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সব চাইতে ভয়াবহ ক্ষমতা হচ্ছে নিজের পোষক পরিবর্তনের ক্ষমতা। নতুন পোষক প্রজাতীতে ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ব্যবস্থা না থাকায় সেটি দ্রুত শরীরে স্থান করে নেয়, প্রজাতীর অনান্যঅন্যান্য সদস্যদের আক্রান্ত করে এবং পোষকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
 
== সংক্রমনের ইতিহাস ==
৩৫ নং লাইন:
যখন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সুস্থ প্রাণীর (মানুষ, শূকর, পাখি প্রভৃতি) শ্বসনযন্ত্রের উপরের অংশে পৌছে সেখানের এপিথেলিয়াল (আবরনী) কোষের রিসেপ্টর অণুর সাথে ভাইরাস পৃষ্টের হিমাগ্লুটিনিন (Hemagglutinin) প্রোটিনের সংযোগ স্থাপিত হয়। এই হিমাগ্লুটিনিন এখানে লিগান্ড হিসেবে কাজ করে। দেহের কোন কোষ পৃষ্টের যে অণুর সাথে বাহির থেকে আসা অন্য বস্তুর (কোন অনু, ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস প্রভৃতি) সংযোগ হয় তাকে রিসেপ্টর (Receptor) বলা হয়। আর বাহির থেকে আসা বস্তুর যে অংশ রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হয় তাকে বলে লিগান্ড। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই রিসেপ্টর হচ্ছে আপার রেস্পিরেটরি ট্রাক্টের এপিথেলিয়াল কোষের সায়ালিক এসিড।
 
রিসেপ্টর-লিগান্ডের সংযোগের পরপরই ভাইরাসের এনভেলপ এবং প্রানীর শ্বাসনালীর এপিথেলিয়াল কোষের কোষ ঝিল্লীর মিলে যায় ।যায়। ফলে ভাইরাসটি প্রানীকোষের অভ্যন্তরে এন্ডোসাইটোসিসের মাধ্যমে প্রবেশ করে।
 
প্রাণী কোষে প্রবেশের পর পর ভাইরাস কণিকার এক একটি অংশ খুলে আলাদা হয়ে যায়। ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড বা আরএনএ প্রাণী কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে এবং নিজস্ব অণুলিপি তৈরি করতে থাকে। কিছু নতুন আরএনএ প্রাণী কোষের নিউক্লিয়াস হতে সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে এবং ভাইরাস কণিকার অনান্যঅন্যান্য অংশ গুলো আরো বেশি পরিমাণে তৈরি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভাইরাস দেহের উপাদান গুলো একত্রিত হয়ে (Assembly) নতুন ভাইরাস কনিকার সৃষ্টি করে। পরিশেষে ভাইরাসের নিউরামিনিডেজ (Neuraminidase) [[এনজাইম|এনজাইমের]] ক্রিয়ায় প্রাণী কোষের কোষ ঝিল্লী ভেদ করে নতুন নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (Progeny) বেরিয়ে আসে। এইক্ষেত্রে আক্রান্ত প্রাণী কোষটি কিন্তু ফেটে (lysis) যায় না।
 
নতুন ভাইরাসগুলো নির্গত হয়ে আশে পাশে যেই সব কোষের গায়ে সায়ালিক এসিড রিসেপ্টর পায় সেগুলোকে আবার আক্রমণ করে এবং একই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হয়।
৬৮ নং লাইন:
 
=== ওসেলটামিভির ===
ওসেলটামিভির একটি নিউরামিনিডেজ ইনহিভিটর ।ইনহিভিটর। এটি নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকে পোষক কোষ হতে বের হতে দেয় না। জার্মানির বিখ্যাত রচ্‌ (Roche) ঔষুধ কম্পানি ওসেলটামিভিরকে টামিফ্লু নামে বাজারজাত করে থাকে।
=== যানামিভির ===
ওসেলটামিভিরের মত যানামিভিরও একটি নিউরামিনিডেজ ইনহিভিটর। এটিকে [[রেলেঞ্জা]] নামে বাজারজাত করা হয়।