হাওড়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮২ নং লাইন:
হাওড়ার ইতিহাস ৯০০ বছরের পুরনো। এই জেলাটি ঐতিহাসিক [[ভুরশুট]] রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। [[ভেনিস|ভেনিসের]] পর্যটক [[সিজার ফেদারিকি]] ১৫৬৫-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারত ভ্রমণ করেন। তিনি ১৫৭৮ সালে লেখা তার বিবরণীতে "Buttor" নামে একটি অঞ্চলের উল্লেখ করেন।<ref name=betor>Donald Frederick Lach, p.473</ref> এই বিবরণী অনুযায়ী, উক্ত অঞ্চলে জাহাজ যাতায়াতের (সম্ভবত হুগলি নদীর মাধ্যমে) সুবন্দ্যোবস্ত ছিল এবং সম্ভবত জায়গাটি ছিল বাণিজ্যিক বন্দর।<ref name=betor/> জায়গার নামটির সঙ্গে দক্ষিণ হাওড়ার [[বেতড়]] অঞ্চলের নামের মিল পাওয়া যায়।<ref name=betor/> ১৪৯৮ সালে [[বিপ্রদাস পিপলাই]]য়ের লেখা ''মনসামঙ্গল'' কাব্যেও বেতড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়।<ref>{{Harvnb|O'Malley|Chakravarti|1909|p=19}}</ref>
 
১৭১৩ সালে [[আওরংজেব|আওরংজেবের]] নাতি [[ফারুকশিয়র|ফারুকশিয়রের]] রাজ্যাভিষেকের সময় [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র বেঙ্গল কাউন্সিল তার কাছে একটি ডেপুটেশন পাঠিয়ে হুগলি নদীর পূর্বে ৩৩টি ও পশ্চিমে ৫টি গ্রামে বসতি স্থাপন করার অনুমতি চায়।<ref>{{Harvnb|O'Malley|Chakravarti|1909|p=22}}</ref> ১৭১৪ সালের ৪ মে তারিখে লেখা কাউন্সিলের কনসালটেশন বুকের তালিকা অনুযায়ী এই ৫টি গ্রাম হল: সালকিয়া, হাওড়া, কাসুন্দিয়া, রামকৃষ্ণপুর ও বেতড়। এগুলি আজ হাওড়া শহরেরওশহরেরই অন্তর্গত অঞ্চল।<ref name=OMC23>{{Harvnb|O'Malley|Chakravarti|1909|p=23}}</ref> কিন্তু কোম্পানি শুধু এই ৫টি শহরে বসতি স্থাপনেরই অনুমতি পায়নি।<ref name=OMC23/> ১৭২৮ সালে আধুনিক হাওড়া জেলা ছিল বর্ধমান ও মহম্মদ আমিনপুর জমিদারির অন্তর্গত।<ref name=OMC23/> [[পলাশির যুদ্ধ|পলাশির যুদ্ধের]] পর ১৭৬০ সালের ১১ অক্টোবর বাংলার নবাব [[মিরকাশিম|মিরকাশিমের]] সাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে কোম্পানি হাওড়া জেলার অধিকার পায়।<ref>{{Harvnb|O'Malley|Chakravarti|1909|p=25}}</ref> ১৭৮৭ সালে হুগলি জেলা গঠিত হয়।<ref>{{Harvnb|O'Malley|Chakravarti|1909|p=26}}</ref> সেই সময় হাওড়া জেলাও হুগলি জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৮৪৩ সালে পৃথক হাওড়া জেলা গঠিত হয়।<ref>{{Harvnb|O'Malley|Chakravarti|1909|p=27}}</ref>
 
১৮৫৪ সালে হাওড়া রেল টার্মিনাস তৈরি হওয়ার পর হাওড়া গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরী হয়ে ওঠে। ১৮৫৫ সালে এখানে গমকল স্থাপিত হয়। তারপর পাঠকল স্থাপিত হয়। ১৮৭০-এর সালের দশকে হাওড়া স্টেশনের কাছে মোট পাঁচটি কারখানা গড়ে ওঠে।<ref>Samita Sen, p.23</ref> ১৮৮৩ সালে হাওড়া-শালিমার রেল সেকশন ও শালিমার টার্মিনাস তৈরি হয়।
 
১৯১৪ সালের মধ্যে ভারতের সবকটি প্রধান শহরে রেল স্টেশন গড়ে ওঠে। এই সময় রোলিং স্টক ও অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা বাড়লে হাওড়ায়হাওড়ার লিলুয়ায় রেলওয়ে কর্মশালা চালু হয়। ১৯১৪ সালেই হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প গড়ে ওঠে এখানে।<ref>Mark Holmström, p.58</ref> দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এখানে কারখানার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে হাওড়ায় অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণ হয়। অনেক বসতি গড়ে ওঠে কারখানাগুলিকে ঘিরে।
 
== পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো রেল (কে এম আর সি) ==