ভালোবাসার জীববৈজ্ঞানিক ভিত্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮ নং লাইন:
 
==বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান==
[[বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান]] বিগত সময়ে ভালোবাসা সম্পর্কিত বেশ কিছু তত্ত্বের প্রস্তাব করেছে। মানব সন্তান এবং শিশুরা একটি দীর্ঘ সময় তাদের পিতামাতার সাহায্যের উপর নির্ভরশীল থাকে। এ কারণে ভালোবাসাকে এই সুদীর্ঘ সময়ে শিশুর জন্য বাবামায়ের পারস্পারিকপারস্পরিক সহায়তার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা যায়। আরেকটি কারণ হল যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌনরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি, স্থায়ীভাবে সন্তানধারণ ক্ষমতা লোপ পাওয়া, ডিম্বাশয়ে আঘাতপ্রাপ্তি এবং সন্তান জন্মের সময় অত্যধিক ঝুঁকি। এই বিষয়গুলো যৌন সম্পর্কিত রোগে (এসটিডি) জরিয়ে পড়ার ঝুঁকি কমিয়ে একচেটিয়াভাবে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।<ref>The Handbook of Evolutionary Psychology, edited by David M. Buss, John Wiley & Sons, Inc., 2005. Chapter 14, Commitment, Love, and Mate Retention by Lorne Campbell B. and Bruce J. Ellis.</ref>
 
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভালোবাসা কিভাবে মানব বিবর্তনের দ্বারা গড়ে উঠেছে এর উপর ভিত্তি করে ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এবং আচরণকে গবেষণা করা যেতে পারে।<ref>"Evolutionary psychology: the emperor's new paradigm" by D. J. Buller in ''Trends Cogn. Sci.'' (2005) Volume 9 pages 277-283.</ref> উদাহরণস্বরূপ, ধারণা করা হয়েছে যে মানব ভাষা একটি সঙ্গী তৈরির সংকেত হিসেবে বিবর্তনকালীন সময়ে নির্বাচিত হয়েছে যা আদর্শ সঙ্গীদ্বয়কে পরস্পরের প্রজনন স্বাস্থ্যের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাচাইবাঁচাইয়েরযাচাই-বাছাইয়ের ক্ষমতা প্রদান করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://psycprints.ecs.soton.ac.uk/archive/00000137/|শিরোনাম=The Mating Mind: How Sexual Choice Shaped the Evolution of Human Nature|লেখক=Geoffrey F. Miller|প্রকাশক=Psycoloquy|তারিখ=2001|খণ্ড=12|সংখ্যা নং=8|পাতাসমূহ=|সংগ্রহের-তারিখ=|10=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070515134230/http://psycprints.ecs.soton.ac.uk/archive/00000137/|আর্কাইভের-তারিখ=১৫ মে ২০০৭|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> মিলার বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানকে বিভিন্ন অগ্রগামী গবেষণার একটি সূচনাস্থান হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন: {{quote|Cognitive neuroscience could try to localize courtship adaptations in the brain. Most importantly, we need much better observations concerning real-life human courtship, including the measurable aspects of courtship that influence mate choice, the reproductive (or at least sexual) consequences of individual variation in those aspects, and the social-cognitive and emotional mechanisms of falling in love.}} [[The Descent of Man, and Selection in Relation to Sex|ডারউইনের]] সময়কাল থেকেই আদর্শ সঙ্গীদের আকর্ষণ ও তাদের দক্ষতাকে বিচার করার আরও একটি আদর্শ সাংকেতিক পদ্ধতি হিসেবে সঙ্গীতে মানব আগ্রহের বিবর্তন সম্পর্কে একই রকম ধারণা বিবেচিত হয়ে আসছে।<ref>[http://www.unm.edu/~gfmiller/new_papers2/miller%202000%20music.DOC Evolution of human music through sexual selection] by G. F. Miller in N. L. Wallin, B. Merker, & S. Brown (Eds.), ''The origins of music'', MIT Press, (2000). pp. 329-360.</ref> ধারণা করা হয় যে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষের সামর্থ্য তাদের আদর্শ সঙ্গীদের কাছে এমন একটি ইঙ্গিত আকারে প্রকাশিত হয় যে, তাদের সঙ্গী ভবিষ্যতে একজন ভাল বাবা কিংবা মা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মে তাদের জীনজিন পরিবহনে সহায়তা করতে আগ্রহী হবে।<ref>[http://www.duke.edu/~haufe/mate.pdf Sexual selection and mate choice in evolutionary psychology] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110920210137/http://www.duke.edu/~haufe/mate.pdf |তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ }} ([[PDF]]) by C. Haufe in ''Biology and Philosophy'' {{doi|10.1007/s10539-007-9071-0}}</ref> জীববিজ্ঞানী [[জেরেমি গ্রিফিথ]] ভালোবাসাকে 'নিঃশর্ত নিঃস্বার্থতা' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন,<ref>Griffith J. 2011. ''What is Love?''. In ''The Book of Real Answers to Everything'' {{আইএসবিএন|9781741290073}}. http://www.worldtransformation.com/what-is-love/</ref> যা আধুনিক মানব উত্তরসূরি ''অস্ট্রালোপিথেকাস''(Australopithecus)-দেরকে বাচনিকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করার সহজাত প্রবৃত্তি গঠনে সহায়তা করেছে। বনবো(একটি বিশালাকারের শিপ্পাঞ্জিশিম্পাঞ্জি যাকে পূর্বে পিগমি শিপ্পাঞ্জিশিম্পাঞ্জি নামে ডাকা হতো)-দের উপর কৃত গবেষণাগুলো অতীতে মানুষের সমবায়ী জীবনযাপনের স্বপক্ষে পরোক্ষ প্রমাণ হিসেবে এখনো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=Sussman|প্রথমাংশ=Robert W.|শিরোনাম=The Origins and Nature of Sociality|বছর=2004|প্রকাশক=Transaction Publishers|আইএসবিএন=978-0-202-30731-2|পাতাসমূহ=432}}</ref>
 
==স্নায়বিক-রসায়ন==