স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Wikitahsin (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎জাতীয় রক্ষীবাহিনী: অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য বর্জন
৪৫ নং লাইন:
{{মূল|জাতীয় রক্ষীবাহিনী}}
শেখ মুজিবের ক্ষমতালাভের পরপরই, [[জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল]]-এর সশস্ত্র বিভাগ [[গণবাহিনী]] কর্তৃক সংগঠিত বামপন্থী বিদ্রোহীরা মার্ক্সবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/js-sees-debate-over-role-of-gono-bahini-31691 |শিরোনাম=JS sees debate over role of Gono Bahini |কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুলাই ২০১৫|তারিখ=৪ জুলাই ২০১৪|ভাষা=ইংরেজি|অনূদিত-শিরোনাম=গণবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সংসদে বিতর্ক}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/politics/rizvi-now-blasts-inu-press-briefing-1240042 |শিরোনাম=Rizvi now blasts Inu at press briefing |তারিখ=১৫ জুন ২০১৬ |কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুলাই ২০১৬ |এজেন্সি=ইউএনবি|ভাষা=ইংরেজি|অনূদিত-শিরোনাম=এবার প্রেস ব্রিফিংয়ে ইনুকে এক হাত নিলেন রিজভী}}</ref> গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা রোধে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের [[১০ জানুয়ারি]] দেশে প্রত্যাবর্তন করে ক্ষমতা গ্রহণের পর, ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ''জাতীয় মিলিশিয়া'' গঠনের ব্যাপারে একটি আদেশ জারি করেন। এরপর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি ''জাতীয় রক্ষীবাহিনী'' গঠনের সরকারি আদেশ জারি করা হয়।<ref name="books.google_a">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=zGIKAQAAIAAJ |শিরোনাম=Bangladesh: Jatiya Rakkhi Bahini Act |শেষাংশ=হোসেন |প্রথমাংশ=হামজা |শেষাংশ২=কামরুল ইসলাম |প্রথমাংশ২=এ টি এম |তারিখ=১৯৭৪|ভাষা=ইংরেজি}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://press-files.anu.edu.au/downloads/press/p33231/pdf/ch0731.pdf |শিরোনাম=The military and democracy in Bangladesh |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=ইমাজউদ্দিন |বছর=২০০৪ |প্রকাশক=অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রেস |অবস্থান=সিডনি |পাতাসমূহ=১০৮–১১০|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> রক্ষীবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল সেনাবাহিনীর ছয় ভাগের এক ভাগ। শুরুর দিকে রক্ষীবাহিনী বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে অনেক অস্ত্রশস্ত্র, চোরাচালানের মালামাল উদ্ধার করে এবং মজুতদার ও কালোবাজারীদের কার্যকলাপ কিছুটা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু শীঘ্রই বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হতে থাকে। এর কারণ রক্ষীবাহিনীর সদস্যগণ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড,<ref name="amardeshonline">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/15/63217 |তারিখ=১৬ জানুয়ারি ২০১১ |কর্ম=আমার দেশ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110117040756/http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/15/63217 |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জানুয়ারি ২০১১ |লিপির-শিরোনাম=রক্ষীবাহিনীর নৃশংসতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছিল}}</ref>
<ref name=":3">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=SpFaBwAAQBAJ&pg=PA30&lpg=PA30&dq=Rape+by+Rakkhi+Bahini&source=bl&ots=QvdtQTId08&sig=WCcy9LjLYd_NVR09Ae_MEtiX5UU&hl=en&sa=X&redir_esc=y#v=onepage&q=Rape%20by%20Rakkhi%20Bahini&f=false |শিরোনাম=Political Islam and Governance in Bangladesh |শেষাংশ=ফেয়ার |প্রথমাংশ=ক্রিস্টাইন সি |শেষাংশ২=রিয়াজ |প্রথমাংশ২=আলি |তারিখ=২০১০ |প্রকাশক=রুটলেজ |পাতাসমূহ=৩০–৩১ |আইএসবিএন=1136926240 |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ জুন ২০১৬}}</ref> গুম, গোলাগুলি,<ref name=":5">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.huffingtonpost.com/atif-choudhury/bangladesh-no-justice-wit_b_4455782.html |শিরোনাম=Bangladesh: Baptism By Fire |শেষাংশ=চৌধুরী |প্রথমাংশ=আতিফ |তারিখ=১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |কর্ম=হাফিংটন পোস্ট |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ জুন ২০১৬}}</ref> এবং [[ধর্ষণ|ধর্ষণের]]<ref name=":3" /> সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। তাদের যথেচ্ছাচার নিয়ন্ত্রণ বা তাদের কার্যকলাপের জবাবদিহিতার আইনগত কোন ব্যবস্থা ছিল না। অপরাধ স্বীকার করানোর জন্য গ্রেফতারকৃত লোকদের প্রতি অত্যাচার, লুটপাট এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়। রক্ষী সদস্যদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ন্যায় জলপাই রঙের পোশাক এবং বাহিনী গঠন ও প্রশিক্ষণে ভারতের সহায়তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। গণ-অসন্তোষ সত্ত্বেও মুজিব সরকার ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর জাতীয় রক্ষীবাহিনী (সংশোধনী) অধ্যাদেশ-১৯৭৩ জারি করে রক্ষীবাহিনীর সকল কার্যকলাপ আইনসঙ্গত বলে ঘোষণা করে।<ref name="Human Rights Watch">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.hrw.org/sites/default/files/reports/bangladesh0509webwcover.pdf |শিরোনাম=Ignoring Executions and Torture : Impunity for Bangladesh's Security Forces |তারিখ=১৮ মার্চ ২০০৯ |ওয়েবসাইট=হিউম্যান রাউটস ওয়াচ |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ আগস্ট ২০১৩|ভাষা=ইংরেজি|অনূদিত-শিরোনাম=উপেক্ষিত মৃত্যুদণ্ড ও নির্যাতন: বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর অব্যাহতি}}</ref> এতে জনগণের মধ্যে মুজিব সরকারের প্রতি সুপ্ত ক্ষোভ তৈরি হয়। সেইসাথে রক্ষীবাহিনীর বিভিন্ন অনাচারের কারণে জনগণের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়।<ref name="Moudud">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Bangladesh, Era of Sheikh Mujibur Rahman |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=মওদুদ |তারিখ=২০১৫ |প্রকাশক=দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড |অবস্থান=ঢাকা |পাতা=৬৯ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৩ |আইএসবিএন=978-984-506-226-8}}</ref> রক্ষীবাহিনীকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া এবং সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর একাংশের মধ্যেও সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়, মুজিববিরোধীরা এই সুযোগকে হাতছাড়া করেনি। যা পরিণতি পায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে।হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ=আলম |প্রথমাংশ=আনোয়ার উল |তারিখ= |শিরোনাম=রক্ষীবাহিনীর সত্য-মিথ্যা |প্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |পাতা= |আইএসবিএন=9789849025399 |লেখক-সংযোগ= আনোয়ার উল আলম}}</ref>
 
== রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ==