পাপুয়া নিউ গিনির ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8
লিঙ্কের পরামর্শ: ৬টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা নবাগতদের কাজ পরামর্শ: লিঙ্ক যুক্ত করা
 
৬ নং লাইন:
 
এখানে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয়, মানুষ সম্ভবত ৬০,০০০ বছর আগে নিউ গিনিতে এসেছিল। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.anthro.utah.edu/PDFs/Papers/JAS%3DOC%26A.pdf|শিরোনাম=Dating the colonization of Sahul (Pleistocene Australia–New Guinea): a review of recent research|লেখক=J.F. O’Connella, J. Allen|সাময়িকী=Journal of Archaeological Science|খণ্ড=31|সংখ্যা নং=6|ডিওআই=10.1016/j.jas.2003.11.005|পাতাসমূহ=835–853|তারিখ=9 November 2003|ইউআরএল-অবস্থা=dead|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131103111901/http://www.anthro.utah.edu/PDFs/Papers/JAS%3DOC%26A.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=3 November 2013|df=dmy-all}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Peopling of Sahul: mtDNA Variation in Aboriginal Australian and Papua New Guinean Populations|লেখক=Alan J. Redd1, Mark Stoneking|সাময়িকী=American Journal of Human Genetics|খণ্ড=65|সংখ্যা নং=3|তারিখ=September 1999|পাতাসমূহ=808–828|ডিওআই=10.1086/302533|pmid=10441589|pmc=1377989}}</ref>
[[Ice Age|বরফ যুগে]], তারা সম্ভবত [[Southeast Asia|দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া]] থেকে সমুদ্রপথে এখানে এসেছিল। তখন সমুদ্র-তল নিচু থাকায় দ্বীপগুলির মাঝের দূরত্ব কম ছিল। প্রথম আগমনকারীরা যদিও ছিল শিকারী এবং সংগ্রহকারী, তবুও প্রাথমিক নিদর্শণগুলি প্রমাণ করে, তারা বনের পরিবেশকে খাদ্য সরবরাহের উপযোগী করে নিয়েছিল। মেসোপটেমিয়া এবং মিশরে যখন কৃষিক্ষেত্রের বিকাশ ঘটেছিল, সেই একই সময়ে [[Kuk (New Guinea)|কুক]]-এ [[neolithic|নতুন প্রস্তরযুগীয়]] উদ্যানচর্চার ইঙ্গিতও রয়েছে। এখনকার প্রধান খাদ্য - মিষ্টি আলু এবং [[শূকর]] পরে এলেও, শেলফিস এবং মাছ দীর্ঘকাল ধরে উপকূলের বাসিন্দাদের খাদ্যতালিকার মূল ভিত্তি ছিল। সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৫০,০০০ বছর আগে উষ্ণতর উপকূল অঞ্চলে সীমাবদ্ধ না থেকে, মানুষ ২,০০০ মিটার (৬,৬০০ ফুট) উচ্চতার জায়গাগুলিও দখল করেছিল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি
|ইউআরএল=https://www.reuters.com/article/2010/09/30/us-australia-png-humans-idUSTRE68T4X620100930
|কর্ম=Reuters
২০ নং লাইন:
[[File:Thevenot - Hollandia Nova detecta 1644.png|thumb|350px|[[Golden Age of Dutch cartography|নেদারল্যান্ডস কার্টোগ্রাফির স্বর্ণযুগ]]-এর একটি সাধারণ মানচিত্র। ডাচ অনুসন্ধান ও আবিষ্কারের স্বর্ণ যুগে [[Australasia|অস্ট্রালেসিয়া]] (খ্রিস্টীয় ১৫৯০ দশক-১৭২০ দশক): [[New Guinea#European contact|নোভা গিনি]] ([[New Guinea|নিউ গিনি]]), [[New Holland (Australia)|নোভা হল্যান্ডিয়া]] ([[mainland Australia|অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড]]), [[Van Diemen's Land|ভ্যান ডায়মেনস ল্যান্ড]] ([[Tasmania|তাসমানিয়া]]) এবং [[New Zealand place names|নোভা জিল্যান্ডিয়া]] ([[History of New Zealand|নিউজিল্যান্ড]])।]]
 
[[Europe|ইউরোপীয়]]রা যখন প্রথম এখানে উপস্থিত হয়, তখন নিউ গিনি এবং আশেপাশের দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের প্রযুক্তি ছিল হাড়, [[কাঠ]] এবং [[পাথরের যন্ত্র|পাথরের সরঞ্জাম]], আর ছিল একটি উৎপাদনশীল কৃষিব্যবস্থা। তাদের বাণিজ্য চলত উপকূলে (মূলত মৃৎশিল্প, ঝিনুকের[[ঝিনুক]]<nowiki/>ের অলঙ্কার এবং খাবারের জিনিসপত্র) এবং দেশের অভ্যন্তরে (ঝিনুক ও সমুদ্রিক পণ্যের বিনিময়ে বনজ সম্পদ)।
 
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে যাত্রার সময় নিউ গিনি দেখা প্রথম ইউরোপীয় ছিল, সম্ভবত ১৬ শতাব্দীর গোড়ার দিকে [[Portuguese people|পর্তুগিজ]] এবং [[Spanish people|স্প্যানিশ]] নাবিকরা। ১৫২৬-১৫২৭ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী [[Jorge de Menezes|জর্জি ডি মেনেজেস]] দুর্ঘটনাক্রমে মূল দ্বীপে আসেন এবং তাঁকেই "পাপুয়া" নামকরণের কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তিনি [[Melanesia|মেলানেশিয়ান]] মানুষদের কুঁচকানো চুলের জন্য এই [[Malay language|মালয়]] শব্দটি ব্যবহার করেন। স্পেনের [[Yñigo Ortiz de Retez|ইয়াগিও আর্তিজ দে রেতেজ]], ১৫৪৫ সালে দ্বীপটির জন্য "নিউ গিনি" শব্দটি প্রয়োগ করেন। কারণ এই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা এবং [[Guinea (region)|আফ্রিকান গিনি]] উপকূলে মানুষগুলির মধ্যে তিনি একটি মিল দেখতে পান।
৩৮ নং লাইন:
[[File:Hissen der kaiserlichen Flagge auf Mioko.jpg|thumb|১৮৮৪ সালে [[Duke of York Islands|মিয়োকো]]তে জার্মান পতাকা উত্তোলন।]]
 
ইউরোপে [[coconut oil|নারকেল তেল]]-এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সাথে, [[প্রশান্ত মহাসাগর|প্রশান্ত মহাসাগরের]] বৃহত্তম বাণিজ্য সংস্থা [[Johann Cesar VI. Godeffroy|হামবুর্গের গোডেফ্রয়]], [[Copra plantations in New Guinea|নিউ গিনি দ্বীপপুঞ্জের কোপরা]]-য় বাণিজ্য শুরু করে।
১৮৮৪ সালে [[German Empire|জার্মান সাম্রাজ্য]], আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীপের উত্তর-পূর্বের চতুর্থাংশের দখল নিয়ে, তার শাসনভার একটি চার্টার্ড ট্রেডিং সংস্থার হাতে তুলে দিতে গঠন করে, ''[[German New Guinea Company|জার্মান নিউ গিনি কোম্পানি]]''। ১৮৮৫ সালের মে মাসে, জার্মান ইম্পেরিয়াল সরকার, এই সংস্থাকে প্রদত্ত সনদে, এই অঞ্চলে সরকারের নামে অন্যান্য "অবৈধ" জমিগুলির উপর সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা এবং স্থানীয় বাসিন্দদের সাথে সরাসরি "সমঝোতা" করার ক্ষমতা দেয়। কেবল বিদেশী শক্তির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষমতাটি জার্মান সরকার নিজের সংরক্ষণে রাখে। যে ছাড়গুলি তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল, তার বিনিময়ে ''নিউ গিনি কমপানি'' সরাসরি স্থানীয় সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য অর্থ প্রদান করত। ১৮৯৯ সালে, জার্মান ইম্পেরিয়াল সরকার, এই অঞ্চলটির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। এরপর থেকে তা '''জার্মান নিউ গিনি''' নামে পরিচিত হয়।
 
নিউ গিনি ছিল মূলত একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ। হাজার হাজার স্থানীয় কর্মীকে কোকো এবং কোপরা বাগানে সস্তা শ্রমিক হিসাবে ভাড়ায় নেওয়া হত। ১৮৯৯ সালে, জার্মান সরকার বার্লিনের নিউ গিনি সংস্থার কাছ থেকে উপনিবেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। শিক্ষার ভার ছিল মিশনারীদের হাতে। ১৯১৪ সালে যখন [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] শুরু হয়, জার্মান উপনিবেশটিকে দখল করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান যুদ্ধের প্রবীণদেরকে বৃক্ষরোপণের ভার দেওয়া হয় এবং ১৯২১ সালে লীগ অব নেশনস, অস্ট্রেলিয়াকে নিউ গিনির ট্রাস্টিশিপ দেয়। বৃক্ষরোপণ এবং স্বর্ণ খনির কারণে এখানে কিছুটা সমৃদ্ধি আসে।<ref>John Dademo Waiko, ''Papua New Guinea: A History of Our Times'' (2003)</ref>
 
== নিউ গিনির ভূখণ্ড ==