বিক্ষেপণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{বিশেষজ্ঞ}}
পদার্থবিজ্ঞানের বহু-সংখ্যক ভৌত প্রক্রিয়াকে '''বিক্ষেপণ''' নামে অভিহিত করা হয় যেখানে কোন মাধ্যমে গতিশীল কণাকে অথবা [[আলো]] বা [[শব্দ]]ের মতো কয়েক ধরনের বিকিরণকে এর অনুরূপ নয় এমন অবস্থা (non-uniformities বা অসমরূপতা) দ্বারা (যার মধ্যে কণা এবং বিকিরণও অন্তর্ভুক্ত) এর [[সঞ্চারপথ]] থেকে বিচ্যুত হতে বাধ্য করা হয়। সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে [[প্রতিফলনের সূত্র]] দ্বারা অনুমিত প্রতিফলন কোণ থেকে প্রতিফলিত বিকিরণের বিচ্যুতিকেও বিক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেসব বিকিরণের প্রতিফলনের ক্ষেত্রে বিক্ষেপণ ঘটে অর্থাৎ যেসব প্রতিফলিত বিকিরণের বিক্ষেপণ ঘটে তাদেরকে সচরাচর [[অপসারী প্রতিফলন]] এবং অবিক্ষিপ্ত প্রতিফলনকে [[নিয়মিত প্রতিফলন]] বলা হয়। (অন্ততপক্ষে ১৭ শতকের [[আইজাক নিউটন]]ের সময়ে<ref>{{cite journal |last1=Newton |first1=Isaac |title=A letter of Mr. Isaac Newton Containing his New Theory About Light and Colours |journal=Philosophical Transactions |date=1665 |volume=6 |page=3087 |publisher=Royal Society of London}}</ref>) বিক্ষেপণ শব্দটি দ্বারা মূলত আলোর বিক্ষেপণকেই বোঝানো হত। "রশ্মি"-সদৃশ প্রপঞ্চ বা বিষয়গুলো আবিষ্কৃত হলে বিক্ষেপণের ধারণা এসব বিষয়ের ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত হয় যার ফলে ১৮০০ সালে [[উইলিয়াম হার্শেল]] "তাপ রশ্মি"র বিক্ষেপণের প্রসঙ্গটি তুলে ধরতে পারতেন (প্রকৃতিতে তাপ যে তড়িচ্চুম্বকীয় সেটা তখনও স্বীকৃতি পায়নি)।<ref>{{cite journal |last1=Herschel |first1=William |title=Experiments on the Solar, and on the Terrestrial Rays that Occasion Heat |journal=Philosophical Transactions |date=1800 |volume=XC |page=770 |publisher=Royal Society of London}}</ref> [[জন টিন্ডাল]] যিনি আলোর বিক্ষেপণ সংক্রান্ত গবেষণার একজন অগ্রদূত তিনি ১৮৭০ এর দশকে আলো এবং শব্দের বিক্ষেপণের মধ্যকার যে সম্পর্ক বিদ্যমান তা লক্ষ্য করেন।<ref>{{cite journal |last1=Tyndall |first1=John |title=On the Atmosphere as a Vehicle of Sound |journal=Philosophical Transactions of the Royal Society of London |date=1874 |volume=164 |page=221 |url=https://www.jstor.org/stable/109101}}</ref> ১৯ শতকের শেষের দিকে [[ক্যাথোড রশ্মি]] (ইলেকট্রন রশ্মি)<ref>{{cite journal |last1=Merritt |first1=Ernest |title=The Magnetic Deflection of Diffusely Reflected Cathode Rays |journal=Electrical Review |date=5 Oct 1898 |volume=33 |issue=14 |page=217 |url=https://www.google.com/books/edition/Electrical_Review/j0Q_AQAAMAAJ?hl=en&gbpv=1&pg=PA217}}</ref> এবং [[এক্স-রে]]<ref>{{cite journal |title=Recent Work with Röntgen Rays |journal=Nature |date=30 Apr 1896 |volume=53 |issue=1383 |pages=613–616 |url=https://www.google.com/books/edition/Nature/X-CiNgBQgR4C?hl=en&gbpv=1&pg=PA615}}</ref> এর বিক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ এবং তা নিয়ে আলোচনা করা হত। অতিপারমাণবিক কণার আবিষ্কার (যেমন: ১৯১১ সালে [[আর্নেস্ট রাদারফোর্ড]]ের আবিষ্কার<ref>{{cite journal|first=E. |last=Rutherford |author-link=Ernest Rutherford |title=The Scattering of α and β rays by Matter and the Structure of the Atom |journal=Philosophical Magazine |volume=6 |page=21 |date=1911}}</ref>) এবং ২০ শতকে [[কোয়ান্টাম তত্ত্ব]]ের বিকাশের সাথে সাথে, উপরন্তু আলোর বিক্ষেপণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গাণিতিক কাঠামো অন্যান্য অনেক প্রপঞ্চের ক্ষেত্রেও যে প্রয়োগ করা সম্ভবপর সেটা স্বীকার করে নেওয়ার ফলে বিক্ষেপণের ধারণাটির অনেক সম্প্রসারণ ঘটে।