নাদেরুজ্জামান খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
দ্রুত অপসারণ প্রস্তাবনা (CSD স১১)। (আপত্তি আছে?)
কিছুটা পরিস্কার করেছি। আরো কাজ প্রয়োজন
১ নং লাইন:
{{db-spam}}
রাজনীতির শুদ্ধ পুরুষ ও সততার মূর্ত প্রতীক নকলা-নালিতাবাড়ীর সাবেক এমপি ডা. নাদেরুজ্জামান খানের অজানা কথা।
 
'''ডা. নাদেরুজ্জামান খান''' একজন পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ। [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে]] তিনি নকলা-নালিতাবাড়ী আসন থেকে গণ পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ডা. নাদেরুজ্জামান খান, নকলা-নালিতাবাড়ী আসনের সাবেক এমপি (গণ পরিষদ সদস্য)। নকলা থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক। সর্বোপরি একজন নজিরবিহীন সৎ, স্বচ্ছ ও গুনী রাজনীতিবিদ।
 
ডা. নাদেরুজ্জামান খান ওরফে নাদের ডাক্তারের জন্ম ও মৃত্যু যথাক্রমে ১৯১৭ সনের ৮ মার্চ এবং ২০০২ সনের ২০ জুন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
 
নাদের ডাক্তার তদানিন্তন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমার নালিতাবাড়ী থানার গৌড়দ্বার গ্রামের মরহুম হাজী সৈয়দ জামান খান ও মরহুম জেলেহা খাতুনের ঔরসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
 
== জীবনী ==
ডা. নাদেরুজ্জামান খান ওরফে নাদের ডাক্তারের জন্ম ১৯১৭ সনের ৮ মার্চ ও মৃত্যু ২০০২ সনের ২০ জুন। নাদের ডাক্তার তদানিন্তন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমার নালিতাবাড়ী থানার গৌড়দ্বার গ্রামের মরহুম হাজী সৈয়দ জামান খান ও মরহুম জেলেহা খাতুনের ঔরসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
নাদেরুজ্জামান খান নিজ গ্রাম থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পার্শ্ববর্তী ফুলপুর থানার পয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউটে (বর্তমানে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) চার বছর মেয়াদি এলএমএফ (Licentiate of Medical Faculty) কোর্সে ভর্তি হন। এলএমএফ পাশ করা ডাক্তার গন পরবর্তীতে দুই বৎসরের কনডেন্সড কোর্স করে এমবিবিএস ডাক্তার হতে পারতো।
 
১৯৪৭ সনে বৃটিশদের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ভাগ হলে, তদানিন্তন স্বাধীনতার পক্ষের তরুন নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার (পূর্ব পাকিস্তান) রাজধানী ঢাকায় ছাত্র লীগ, আওয়ামী লীগ দল গঠনের সময় পরিচয় ঘটে বর্তমান শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের গৌড়দ্বার গ্রামের মেডিকেল ছাত্র নাদেরুজ্জামান খানের সাথে। তাদের দুজনের চেহারায় মিল থাকায় ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। নাদেরুজ্জামান খান তখন পূরানো ঢাকায় ডাক্তারী পড়ছিলেন আর শেখ মুজিব পূরানো ঢাকায় থাকতেন। শেখ মুজিবের আহবানে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন মেডিকেলের ছাত্র নাদের।
 
ডাক্তারি ডিগ্রিপ্রাপ্ত হবার পর শেখ মুজিবের পরামর্শে চিকিৎসা বঞ্চিত এলাকাবাসীর সেবা করার লক্ষ্যে নিজ গ্রামে এসে ফার্মেসী স্থাপন করে চিকিৎসা সেবার সেবার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। তখন অত্রাঞ্চলে কোন পাশ করা ডাক্তার ছিলো না। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো খুবই নাজুক। যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো নৌকা অথবা গরুর গাড়ী। গরুর গাড়ী চলার রাস্তা ছিলো খুবই কম। পাকিস্তানি যুগে উনি পায়ে হেটে, স্বাধীনতার পর কদাচিত সাইকেল যোগে দূরের রুগী দেখতেন। রুগীর দেখার ফি নিয়ে তার কোন বাধ্যবাধকতা ছিলো না। খুশী হয়ে মানুষ যা দিতো তাই নিতেন। গরীব দুঃখী রুগীর জন্য উনি ছিলেন মহামানব।
 
ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান গ্রামে গ্রামে ঘুরে আওয়ামী লীগের প্রচার চালিয়ে, কর্মী সংগ্রহ করে নকলা থানা আওয়ামী লীগ গঠন করেন। নাদের ডাক্তার নকলা থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে ১০ বৎসর সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেছেন।
 
নাদের ডাক্তার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সনের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৫৬ সনের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬৬ সনের ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সনের গনঅভ্যুত্থান সহ পাকিস্তান আমলের সকল লড়াই সংগ্রামে আওয়ামী লীগের হয়ে সরাসরি অংশ নিয়েছেন।
 
১৯৭০ সনের নির্বাচনে ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান নকলা-নালিতাবাড়ী আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরূপে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে গণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
 
ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান ১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং সংগঠক হিসাবে সংগ্রামী ভুমিকা পালন করেন। (সূত্রঃ জাতীয় সংসদের শোক প্রস্তাব)
 
১৯৭৫ সনে ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের দ্বারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হবার পরবর্তী সময়ে সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ১৯৮৬ সনে জোড় পূর্বক তার জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়।
 
১৯৭৯ সনের নির্বাচনের সময় সামরিক শাসকের নির্দ্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরপাকর, জুলুম, নির্যাতন, হামলা, মামলা, অত্যাচার ও সঙ্গত কারণে সাংগঠনিক দূর্বলতায় নেতাকর্মী কম ছিলো। নাদের ডাক্তার সাইকেল যোগে দুই থানায় ঘুরে ঘুরে ভোট চেয়েছেন।
 
নালিতাবাড়ী থানা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা বাবু_গোপাল_সাহার নিকট থেকে জানা যায়, ডাক্তার সাহেব সাইকেল যোগে একা নকলা থেকে নালিতাবাড়ী আসতেন। মাঝে মধ্যে উনার বাড়ীতে রাত্রি যাপন করে অন্যান্য এলাকায় ভোট প্রার্থনা করতেন। নির্বাচনের সময় উনি অন্যান্য প্রার্থীর ন্যায় ভোটারদের পিছনে কোন অর্থ ব্যায় করতেন না। এমনকি পান, বিড়ি, গুলের ব্যবস্থাও করতেন না। ভোটের ক্যাম্পিং করার সময় কোন নেতাকর্মী খাওয়ালে, খাওয়া দাওয়া করতেন নইলে উপোষ থাকতেন।
 
১৯৭৯ সনের নির্বাচনের সামান্য কয়েকদিন পূর্বে নালিতাবাড়ীতে নির্বাচনী খরচের টাকা নাই। বিভিন্ন জনসভার জন্য মাইকের ভাড়া ও অন্যান্য বিষয়ে ঋন ৭/৮ শত টাকা। সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নালিতাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবদুর রশীদকে নকলায় ডাক্তার সাহেবের নিকটে পাঠালেন। ডাক্তার সাহেব তাকে সাকুল্যে পাঁচশত টাকা দিয়ে বিদায় করলেন। বাকী নির্বাচন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক গনের অনুদানের টাকায়।
 
বাবু গোপাল সাহা আরো জানালেন, উক্ত নির্বাচনের সময় উনি বেশ কয়েকবার ডাক্তার সাহের সফর সঙ্গী ছিলেন। তখন নালিতাবাড়ীর বেশীরভাগ রাস্তাঘাট ছিলো নীচু ও কাদা পানিতে পরিপূর্ণ। সাইকেল চালানোর চেয়ে বেশী কাঁধে করে নিতে হতো।
 
বরুয়াজানীতে যাওয়ার সময় নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে পাহার সম কাছার বেয়ে সাইকেল নিয়ে রাস্তায় উঠার মত কষ্টসাধ্য কাজ উনি করেছেন, কারো সাহায্য নেন নি।
 
১৯৮৬ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন জাতীয় পার্টির গুন্ডারা কেন্দ্র দখল করে জোড় পূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকলে উনি হেঁটে হেঁটে বাড়ী ফেরত যাচ্ছিলেন। কিছু নেতাকর্মী তাকেও কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার প্রস্তাব দেয়।
 
ওরা অস্ত্রধারী, ওরা ভোট ডাকাত, ওরা ভোটের জন্য মানুষ খুন জখম করতে পারে। একজন মায়ের সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা আমার কাম্য নয় বলে সেদিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করেছিলেন নাদের ডাক্তার। উক্ত ঘটনা থেকে উনার সততা, শান্তিপ্রিয়তা, নির্বিবাদীতা সহ জনগণের প্রতি ভালোবাসার প্রমান পাওয়া যায়।
 
ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান নম্র, ভদ্র, সজ্জন, শান্তিপ্রিয়, নির্বিবাদী ও প্রকৃত জন দরদী একজন নেতা ছিলেন। যার তুলনা খুজে পাওয়া দুষ্কর।
 
ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান নকলা-নালিতাবাড়ীর সব থেকে গুনী, সৎ ও নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তার গুনগান কাগজে কলমে শেষ করা যায় না।
 
নকলা-নালিতাবাড়ী তথা শেরপুর জেলা বা বৃহত্তর ময়মনসিংহ দূরে থাক, সমগ্র দেশে তার মত সৎ মানুষ খুজে পাওয়া অসম্ভব।
 
ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের জার্নালে শেরপুরের শ্রেষ্ঠ কৃতি সন্তান মনোনীত হয়েছিলেন। (সূত্রঃ শোক প্রস্তাব)
 
ডাক্তার সাহেব বঙ্গবন্ধুর সাথে তার স্মৃতির বিষয়ে আমার প্রশ্নের জবাবে বলেছেন,
 
১। বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে এলাকায় এসে ডাক্তারি করা, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া।
 
২। শেখ মুজিবুর রহমান ও নাদেরুজ্জামান খানের চেহারার সাদৃশ্য থাকায় শেখ মুজিব নাদের কে সাবধানে চলাচল করতে বলতেন। উনি মনে করতেন মুসলিম লীগের পান্ডারা হয়ত নাদেরকে মুজিব ভেবে আক্রমণ করতে পারে।
 
৩। ১৯৭০ সনে বঙ্গবন্ধুর পছন্দের প্রার্থী হিসাবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়া হয়।
 
নাদেরুজ্জামান খান নিজ গ্রাম থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পার্শ্ববর্তী ফুলপুর থানার পয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউটে (বর্তমানে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) চার বছর মেয়াদি এলএমএফ (Licentiate of Medical Faculty) কোর্সে ভর্তি হন। এলএমএফ পাশ করা ডাক্তার গন পরবর্তীতে দুই বৎসরের কনডেন্সড কোর্স করে এমবিবিএস ডাক্তার হতে পারতো।
৪। স্বাধীনতার পর নাদের ডাক্তারকে কাছে ডেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার অনুরোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
 
==রাজনৈতিক জীবন==
সাবেক এমপি নাদের ডাক্তার সাধারণ বেশভূষার অতি সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। এলাকায় প্রচার আছে উনি একসাথে দুইটা লুঙ্গি পরতেন না বা কিনতেন না। আশির দশকে এ বিষয়ে আমার প্রশ্নের জবাবে উনি বলেছিলেন, একটা লুঙ্গিতেই চলে। গ্রামে অনেকের তাও নেই। আমারতো সাথে গামছা আছে।
১৯৪৭ সনে বৃটিশদের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ভাগ হলে, তদানিন্তন স্বাধীনতার পক্ষের তরুন নেতা [[শেখ মুজিবুর রহমান]] পূর্ব বাংলার (পূর্ব পাকিস্তান) রাজধানী ঢাকায় ছাত্র লীগ, আওয়ামী লীগ দল গঠনের সময় পরিচয় ঘটে বর্তমান শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের গৌড়দ্বার গ্রামের মেডিকেল ছাত্র নাদেরুজ্জামান খানের সাথে। তাদের দুজনের চেহারায় মিল থাকায় ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। নাদেরুজ্জামান খান তখন পূরানো ঢাকায় ডাক্তারী পড়ছিলেন আর শেখ মুজিব পূরানো ঢাকায় থাকতেন। শেখ মুজিবের আহবানে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন মেডিকেলের ছাত্র নাদের।
 
ডাক্তারি ডিগ্রিপ্রাপ্ত হবার পর শেখ মুজিবের পরামর্শে চিকিৎসা বঞ্চিত এলাকাবাসীর সেবা করার লক্ষ্যে নিজ গ্রামে এসে ফার্মেসী স্থাপন করে চিকিৎসা সেবার সেবার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান গ্রামে গ্রামে ঘুরে আওয়ামী লীগের প্রচার চালিয়ে, কর্মী সংগ্রহ করে নকলা থানা আওয়ামী লীগ গঠন করেন। নাদের ডাক্তার নকলা থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে ১০ বৎসর সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেছেন।
উনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংগ্রহ বা সংগ্রহের চেষ্টা করেন নি। কিছুদিন পূর্বে শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি Nurul Islam Hero জানিয়েছেন তারা নাদের ডাক্তারকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করবেন।
 
নাদের ডাক্তার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সনের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৫৬ সনের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬৬ সনের ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সনের গনঅভ্যুত্থান সহ পাকিস্তান আমলের সকল লড়াই সংগ্রামে আওয়ামী লীগের হয়ে সরাসরি অংশ নিয়েছেন। ১৯৭০ সনের নির্বাচনে ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান নকলা-নালিতাবাড়ী আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরূপে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে গণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান ১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং সংগঠক হিসাবে সংগ্রামী ভুমিকা পালন করেন।
গতকাল ২০ জুন ছিলো জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যু বার্ষিকী। পরকালে তার শান্তির জন্য সবাই আল্লার দরবারে দোয়া করবেন।
 
১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ডাক্তার নাদেরুজ্জামান খান বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের জার্নালে শেরপুরের শ্রেষ্ঠ কৃতি সন্তান মনোনীত হয়েছিলেন। (সূত্রঃ শোক প্রস্তাব)
লেখাটিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন ডাক্তার সাহেবের পুত্র কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচাক Mohammad Alamgir Hossain Khan, বাবু গোপাল চন্দ্র সাহা এবং ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মঈন খান।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
 
* https://bd24views.com/saradesh/15961/