বাইবেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Talip sekh (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
অ Talip sekh-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Hasley-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন:
[[File:Gutenberg Bible, Lenox Copy, New York Public Library, 2009. Pic 01.jpg|upright=1.55|thumb|গুটেনবার্গ বাইবেল, প্রথম মুদ্রিত বাইবেল (মধ্য ১৫শ শতাব্দী)]]
{{খ্রীষ্টধর্ম|expanded=all}}
'''বাইবেল''' বা '''ধর্মপুস্তক''' ({{lang-he|ביבליה}}; {{lang-grc|τὰ βιβλία}}, ''tà biblía'', “পুস্তকসমূহ”)<ref>{{cite book|title=The Bible: the making and impact on the Bible a history|last=Miller & Huber|first=Stephen & Robert|year=2003|publisher=Lion Hudson|location=England|isbn=978-0-7459-5176-8|page=21}}</ref>{{efn|See also {{section link||Etymology}}.}} একটি ধর্মগ্রন্থ সংকলন যা [[খ্রিস্টান|খ্রীষ্টান]], [[ইহুদি|যিহূদী]], [[শমরীয়]], [[রাস্তাফারি]] ও অন্যান্যদের নিকট পবিত্র। এটি একটি সংহিতার আকারে আবির্ভূত হয়, বিভিন্ন ধরনের পুস্তকের সংকলন যা এই বিশ্বাসের দ্বারা সংযুক্ত যে তারা সম্মিলিতভাবে ঈশ্বরের দৈববাণী। এই পুস্তকগুলির মধ্যে রয়েছে ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিনিবদ্ধ ঐতিহাসিক বিবরণ, স্তব, প্রার্থনা, প্রবাদ-প্রবচন, নীতিগর্ভ রূপক কাহিনী, পত্র, আদিরসাত্মক গল্প, কাব্য এবং ভাববাণী। বিশ্বাসীরা সাধারণত বাইবেলকে ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার একটি সৃষ্টিকর্ম হিসাবে বিবেচনা করে।
একটি ঐতিহ্য বা গোষ্ঠী দ্বারা বাইবেলে অন্তর্ভুক্ত সেই পুস্তকগুলিকে [[যাজকীয় অনুশাসন|ধর্মসম্মত]] বলা হয়, যা সূচিত করে যে সেই ঐতিহ্য বা গোষ্ঠীটি সংকলনটিকে সদাপ্রভুর বাক্য এবং ইচ্ছার প্রকৃত উপস্থাপনা হিসাবে দেখে। বাইবেলের প্রচুর ধর্মপুস্তক মণ্ডলী থেকে মণ্ডলীতে অধিক্রমণ ও অপসৃত বিষয়বস্তুর মাধ্যমে বিবর্তিত হয়েছে।{{sfn|Riches|2000|pp=7–8}} [[হিব্রু বাইবেল]] গ্রীক সেপ্তুয়াগিন্ত এবং খ্রীষ্টান [[পুরাতন নিয়ম]]ের সাথে সমাপতিত হয়। খ্রীষ্টান [[নূতন নিয়ম]] হল প্রথম শতাব্দীর কোইনি গ্রীক ভাষায় প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের, যাদের [[যীশু]]র যিহূদী শিষ্য বলে ধারণা করা হয়, দ্বারা রচিত গ্রন্থের সংকলন। খ্রীষ্টান মণ্ডলীগুলির মধ্যে ধর্মপুস্তকে কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত সে সম্পর্কে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে, মূলত বাইবেলের অপ্রামাণিক অংশসমূহ, একটি রচনা তালিকা যা বিভিন্ন মাত্রার শ্রদ্ধার সাথে বিবেচিত হয়।
বাইবেলের প্রতি মনোভাবের ক্ষেত্রেও খ্রীষ্টীয় দলগুলির মধ্যেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। [[ক্যাথলিক মণ্ডলী|রোমান ক্যাথলিক]], উচ্চমণ্ডলী ইঙ্গবাদী, পদ্ধতিবাদী এবং [[পূর্ব অর্থডক্স মণ্ডলী|পূর্ব অর্থডক্স]] খ্রীষ্টানরা বাইবেল এবং পবিত্র ঐতিহ্য উভয়ের সঙ্গতি ও গুরুত্বের উপর জোর দেয়,<ref name=WELS>{{cite web|url=http://www.wels.net/what-we-believe/questions-answers/christian/methodist-beliefs|title=Methodist Beliefs: In what ways are Lutherans different from United Methodists?|year=2014|publisher=Wisconsin Evangelical Lutheran Synod|language=en|access-date=22 May 2014|quote=The United Methodists see Scripture as the primary source and criterion for Christian doctrine. They emphasize the importance of tradition, experience, and reason for Christian doctrine. Lutherans teach that the Bible is the sole source for Christian doctrine. They emphasize the importance of tradition, experience, and reason for Christian doctrine. Lutherans teach that the Bible is the sole source for Christian doctrine. The truths of Scripture do not need to be authenticated by tradition, human experience, or reason. Scripture is self authenticating and is true in and of itself.}}</ref><ref name="Humphrey2013">{{cite book|last=Humphrey|first=Edith M.|title=Scripture and Tradition |date=15 April 2013|publisher=Baker Books|language=en |isbn=978-1-4412-4048-4|page=16|quote=historically Anglicans have adopted what could be called a prima Scriptura position.}}</ref> আবার অনেক [[প্রোটেস্ট্যান্টবাদ|প্রোটেস্ট্যান্ট]] মণ্ডলী ''সোলা স্ক্রিপতুরা'' ধারণার উপর বা কেবল ধর্মগ্রন্থের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। সংস্কারকালে এই ধারণাটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল এবং বর্তমানে অনেক মণ্ডলী খ্রীষ্টীয় শিক্ষার একমাত্র অভ্রান্ত উৎস হিসাবে বাইবেলের ব্যবহারকে সমর্থন করে। অন্যরা যদিও অনেক জ্ঞানী খ্রিস্টান ব্যক্তিবর্গ বাইবেলে প্রচুর ইতিহাস ও বিজ্ঞান বিষয়ক ভুল খুঁজে পেয়েছেন।
সাহিত্য এবং ইতিহাসে বাইবেলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে, বিশেষত পশ্চিমা বিশ্বে, যেখানে গুটেনবার্গ বাইবেল প্রথম সচল মুদ্রাক্ষর ব্যবহার করে ছাপা হয়েছিল।<ref name=":0" /><ref>{{Cite web|url=https://www.bbc.com/news/entertainment-arts-30036581|title=The Bible tops 'most influential' book survey|date=13 November 2014|website=[[BBC]]|access-date=11 August 2018}}</ref> [[টাইম ম্যাগাজিন]]ের মার্চ ২০০৭ সংস্করণ অনুসারে, “বাইবেল রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে সাহিত্য, ইতিহাস, বিনোদন এবং সংস্কৃতি গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এর প্রভাব অতুলনীয় এবং এর প্রভাব হ্রাসের কোনো লক্ষণ দৃশ্যমান নয়।”<ref name=":0" /> আনুমানিক মোট ৫ বিলিয়নের অধিক কপি বিক্রীত।<ref name=":0">{{Cite web|url=http://content.time.com/time/magazine/article/0,9171,1601845,00.html|title=The Case For Teaching The Bible|last=Biema|first=David|date=22 March 2007|website=[[Time Magazine]]|access-date=11 August 2018|quote=Simply put, the Bible is the most influential book of all-time... The Bible has done more to shape literature, history, entertainment, and culture than any book ever written. Its influence on world history is unparalleled, and shows no signs of abating. Even pop culture is deeply influenced by the Bible.}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.guinnessworldrecords.com/world-records/best-selling-book-of-non-fiction|title=Best selling book of non-fiction|publisher=Guinness World Records|access-date=9 December 2015}}</ref><ref>{{cite news|url=https://www.wsj.com/articles/SB10001424053111903918104576502782310557332|title=How We Got the Best-Selling Book of All Time|last1=Ryken|first1=Leland|newspaper=The Wall Street Journal|access-date=9 December 2015}}</ref> ২০০০ এর দশক হিসাবে বার্ষিক এটির প্রায় ১০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।<ref>{{cite news|url=https://www.economist.com/node/10311317?story_id=10311317|title=The battle of the books|date=22 December 2007|work=The Economist}}</ref><ref name="RussellAsh">{{cite book|title=Top 10 of Everything 2002|author=Ash, Russell|publisher=Dorling Kindersley|year=2001|isbn=978-0-7894-8043-9|author-link=Russell Ash|url=https://archive.org/details/top10ofeverythin00ashr_0}}</ref>
{{TOC limit|3}}
বাইবেল [[খ্রিস্টান|খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের]] প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেল শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে কইনি গ্রীক τὰ βιβλία, ''tà biblía'', "বইগুলো"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Bible: the making and impact on the Bible a history.|শেষাংশ=Miller & Huber|প্রথমাংশ=Stephen & Robert|বছর=2003|প্রকাশক=Lion Hudson|পাতা=21|আইএসবিএন=0-7459-5176-7|সংস্করণ=|অবস্থান=England}}</ref> থেকে; বাইবেল অর্থাৎ ''ধর্ম শাস্ত্র'', ''লিপি বা পুস্তক'', ''ঈশ্বরের বাক্য''।
প্রচলিত প্রোটেস্ট্যান্ট বাইবেল ৬৬টি পুস্তকের (বা অধ্যায়ের) একটি সংকলন, যা দুটি প্রধান পর্বে বিভক্ত — ৩৯টি পুস্তক সংবলিত [[পুরাতন নিয়ম]] বা [[ওল্ড টেস্টামেন্ট]] এবং ২৭টি পুস্তক সংবলিত [[নতুন নিয়ম]] বা [[নিউ টেস্টামেন্ট]]। তবে ক্যাথলিক বাইবেলে পুস্তকসংখ্যা প্রোটেস্ট্যান্টদের চেয়ে ৭টি বেশি, অর্থাৎ ৭৩টি। খ্রিস্টধর্ম মতে ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছিলেন। বাইবেলের মুখ্য বিষয়বস্তু বা কেন্দ্রমণি হলেন [[যীশু]]।
পুরাতন নিয়ম মূলত হিব্রু ভাষায় লিখিত, তবে দানিয়েল ও ইষ্রা পুস্তক দুটির কিছু অংশ [[আরামীয় ভাষা|আরামীয়]] ভাষায় লিখিত। নতুন নিয়ম গ্রিক ভাষায় রচিত। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছেন বলা হয়। অনেক খ্রিস্টান বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল লিপিবদ্ধ হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম [[পবিত্র আত্মা|পবিত্র আত্মার]] সহায়তায়। পৃথিবীর অনেক ভাষায় বাইবেল অনুদিত হয়েছে।
ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণের ক্ষেত্রে বাইবেল ও [[কুরআন]]-এর ভাষ্য কিছুু ক্ষেত্রে অভিন্ন।
তবে বাইবেলে কুরআনের বিপরীত কথাও পাওয়া যায়।
== বিভিন্ন ধর্মের দৃষ্টিকোণ ==
| |||