বিপশ্যনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
Adding 1 book for যাচাইযোগ্যতা) #IABot (v2.0.7) (GreenC bot
পরিষ্কারকরণ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{অনুচ্ছেদসমূহ|date=মার্চ ২০১৯}}
বিপশ্যনা ([[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]]) বা বিপস্সনা ([[পালি ভাষা|পালী]]) [[ভারত|ভারতের]] একটি অতিপ্রাচীন [[ধ্যান]] পদ্ধতি। মানবসভ্যতার আত্মবিস্মৃতিতে হারিয়ে যাওয়া এই কল্যাণকারিণী বিদ্যাটি প্রায় <ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dhamma.org/en-US/about/vipassana|শিরোনাম=Vipassana Meditation|ওয়েবসাইট=www.dhamma.org|সংগ্রহের-তারিখ=2019-03-20}}</ref> আড়াই হাজার বছর আগে [[গৌতম বুদ্ধ]] পুনরায় আবিষ্কার করেন। সংস্কৃতে '''বিপশ্যনা''' মানে কোনোকিছুকে 'বিশেষ ভাবে দেখা', 'বিশেষ ভাবে' মানে কী? এক্ষেত্রে 'বিশেষ' মানে, কোনোকিছুকে <ref name=":0" />'যথাযথ', 'যথাভূত' অর্থাৎ যেমনটা আছে ঠিক সেরূপেই, কোন প্রতিক্রিয়া না করে দ্রষ্টাভাব সহকারে দেখা। বিপশ্যনা স্বপর্যবেক্ষণ করে আত্মশোধন করার প্রক্রিয়া। নিজের স্বাভাবিক নিশ্বাসের চলাচলকে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে করতে নিজের মনকে একাগ্র করে এই পদ্ধতির প্রথম ধাপ, [[আনাপানস্মৃতি|আনাপানের]], সূচনা হয়। নিজের শরীর ও মনের বিনশ্বর এবং অনিত্য প্রকৃতির প্রতি সংবেদনার স্তরে সজাগতাকে শাণ দিতে দিতে অনিত্যতা, দুঃখ এবং অহং-অস্মিতা মিলিয়ে যাবার চিরন্তন সত্যগুলি অনুভব করার নামই বিপশ্যনা। সরাসরি অনুভূতি দিয়ে এই সত্য-উপলব্ধি করাই শোধন-প্রণালী। <ref name=":0" /> এই [[নিরঞ্জন (ধর্ম)|নিরঞ্জন ধর্মের]] পন্থা যদিও বুদ্ধ পুনরায় আবিষ্কার করে প্রচার করেছেন, তবে এই সাধনাটি কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ে অথবা দল-উপদলে আবদ্ধ নয়, বরঞ্চ জাতি-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সার্বজনীন দুঃখগুলির সার্বজনীন প্রতিকার হোল বিপশ্যনা। ফলে এটাকে যে কেউ, যেকোনো সময়ে, যেকোনো স্থানে, নিজের জাতিবর্ণ অথবা সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব না রেখে অবাধে অনুশীলন করতে পারে এবং এর ফলাফল সমানই হবে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Encyclopedia of Buddhism|শেষাংশ=Buswell|প্রথমাংশ=Robert|বছর=২০০৪|প্রকাশক=MacMillan|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৮৮৯ - ৮৯০|আইএসবিএন=}}</ref>
 
[[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের]] [[থেরবাদ]] পরম্পরায় এই সাধনার প্রচার প্রায় দশম শতাব্দীর কাছাকাছি উঠে যায় কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীতে [[মিয়ানমার|মায়ানমারের]] [[তোউঙ্গু রাজবংশ|তোউঙ্গু]] এবং [[কোনবাউং রাজবংশ|কোনবাউং]] রাজবংশ তখনকার [[স্মৃতিপ্রস্থান সূত্র|সতিপট্‌ঠান সুত্ত]], [[বিসুদ্ধিমগ্গ]] প্রভৃতি বিভিন্ন গ্রন্থ অবলম্বন করে আবার এই সাধনার প্রবর্তন করান। বিপশ্যনা হোল '[[প্রজ্ঞা]]' মানে 'প্রকৃত সত্যের অন্তর্দৃষ্টি' কিংবা এককথায় 'প্রত্যক্ষ-জ্ঞান', যার সংজ্ঞা 'দুক্‌খ' বা দুঃখ, 'অনাত্ত' বা অনাত্ম ভাব এবং 'অনিচ্চ' বা অনিত্যতা, এগুলিই থেরবাদ [[বৌদ্ধ দর্শন|বৌদ্ধদর্শনে]], [[অস্তিত্বের তিনটে চিহ্ন]]।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Encyclopedia of Buddhism|শেষাংশ=Buswell|প্রথমাংশ=Robert|বছর=২০০৪|প্রকাশক=MacMillan|অবস্থান=|পাতাসমূহ=৮৮৯|আইএসবিএন=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Mindfulness in plain English|শেষাংশ=Gunaratana|প্রথমাংশ=Henepola|বছর=২০১১|প্রকাশক=Wisdom Publications|অবস্থান=|পাতাসমূহ=২১|আইএসবিএন=978-0861719068}}</ref> [[মহাযান]] বৌদ্ধদর্শনে বিপশ্যনাকে 'শুন্যতা' এবং বুদ্ধ-প্রকৃতির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।