বাঙাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
Marinerm95 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭ নং লাইন:
 
১৯৪৭ সালে [[ভারত]] বিভাগের সময় পূর্ববঙ্গ থেকে কিছু লোক প্রধানত [[হিন্দু]]<nowiki/>রা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। পশ্চিমবঙ্গের আদি জনগোষ্ঠী এই শরণার্থীদেরই মাঝে মাঝে বাঙাল বলে অভিহিত করত। এই হিসাবে, ঘটি ও বাঙাল শব্দটি পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যদিও বাংলাদেশে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত অভিবাসীদের তুলনামূলক বেশি সংখ্যক অঞ্চল ছাড়া এই শব্দের ব্যবহার বিরল। আধুনিক যুগে, উচ্চ বর্ণের বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে, "বাঙাল" এবং "ঘটি" সামাজিক উপ-গোষ্ঠী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। দেশ বিভাগের সময় যাদের পরিবার [[পূর্ব বাংলা|পূর্ববঙ্গ]] থেকে এসেছিল তারা হল বাঙাল এবং যাদের পরিবার সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন তারা হলেন ঘটি। একইভাবে, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে [[পশ্চিমবঙ্গ]] থেকে পূর্ববঙ্গে আগত লোকেরা ঘটি নামেও পরিচিত, যেহেতু তারা স্বাধীনতার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিল। এখানে ব্যবহৃত শব্দটির প্রকৃত ভূগোলের সাথে খুব কম সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্যই এখন ভারতে বাস করছেন। ঐতিহাসিকভাবে, তাদের বর্ণের মধ্যে বিবাহ করার পাশাপাশি, এই গোষ্ঠীর লোকেরাও বাঙাল বা ঘটি যাই হোক না কেন, এই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিবাহ পছন্দ করত। [[ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব|ইস্টবেঙ্গল]] (বাঙালদের) এবং [[মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব|মোহনবাগান]] ([[ঘটি|ঘটিদের]]) এই দুটি ফুটবল ক্লাবকে তাদের নিজ নিজ সমর্থনের মাধ্যমে বাঙাল এবং ঘটিরা তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রেখেছে। এছাড়াও তারা স্ব স্ব রান্না এবং বিশেষত নদী-ভিত্তিক স্বাদযুক্ত খাবারের আধিপত্যের দাবির মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও লালন করে। যথা: [[চিংড়ি]] ঘটিদের জন্য এবং [[ইলিশ]] বাঙালদের জন্য।
 
== ইতিহাস ==
 
১৯৪৭'এ দেশভাগ জনিত কারনে বাঙ্গাল/বাঙাল শব্দের উৎপত্তি নয়। আজ থেকে একশো বছরেরও বেশি আগে এ শব্দের ব্যবহারের কথা জানা গেছে।
 
আজকের ভৌগলিক বাংলাদেশের মানুষ মাত্রই বাঙ্গাল/বাঙাল অভিহিত হতেননা; ওই একই অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে কোন কোন স্থানের বসিন্দাদের অন্যরা— যারমধ্যে ওই অঞ্চলের বাইরের লোকেরাও পড়ছেন, তুচ্ছার্থে বাঙ্গাল/বাঙাল বলতেন।
 
== রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালসভা ==
 
শান্তিনিকেতনে 'বাঙাল সভা' তৈরি হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ কে তার সদস্য হওয়ার অনুরোধ করা হলে তিনি অসন্মতি জানান এই বলে যে, তিনি বাঙাল নন এবং তিনি 'মুগির ডাল' আর 'কুলির অম্বল' ছাড়া কোনো 'বাঙাল ভাষা' জানেন না। এছাড়াও, তিনি, মজা করে লেখা এক ছড়া্‌য়,নিজ 'খাস দপ্তর'এ সহায়ক, সুধীর চন্দ্র কর কে লেখেন "… … পশ্চিম বঙ্গের কবি দেখিলাম মোর/ বাঙালের মতো নাই জেদের অপ্রতিহত জোর।"(২রা ডিসেম্বর, ১৯৪০)।
 
== আরো দেখুন ==