কচ (মহাভারত): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''কচ''' ({{lang-sa|कच}}, Kaca) প্রাচীন ঋষি [[বৃহস্পতি|বৃহস্পতির]] পুত্র। মহাভারত, মৎস্য পূরাণ এবং অগ্নি পূরানে এই চরিত্রটির উল্লেখ পাওয়া যায়।<ref>Pargiter, F.E. (1972). ''Ancient Indian Historical Tradition'', Delhi: Motilal Banarsidass, pp.196, 196ff.</ref> মৃত্যুসন্জিবনী মন্ত্রের (মৃতকে জীবিত করার মন্ত্র) কারনে তিনি বিখ্যাত। যদিও দেবযানীর শাপের কারনে কচ বহু দেবতাকে জীবন দান করতে পারেনি।পারেননি।

কচের পিতা [[বৃহস্পতি]] শুক্রাচার্য়ের নিকট তাকে মৃত সন্জিবনী মন্ত্র শিক্ষা করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। শুক্রাচার্য়্য ছিলেন অশুরদের গুরু। দেবতারা আসন্ন যুদ্ধে হের যেতে পারেন এই আসঙ্কায়আশঙ্কায় বৃহস্পতি তার পুত্রকে এই মন্ত্র শিখতে পাঠান। বৃহস্পতি তাকে উপদেশ দেন যেন সে যেন প্রথমে ঋষির কন্যা [[দেবযানী|দেবযানীকে]] মুগ্ধ করার চেষ্টা করে। তাতে তার উদ্দেশ্য সাধন সহজতর হবে। বৃহস্পতি তার কন্যাকে অত্যাধিক স্নেহ করতেন। কচ পিতার উপদেশ পালন করতে গিয়ে দেবযানীর প্রেমে পরেন।

ইতোমধ্যে, অসুররা কচকে বধ করতে চায়। কারণ, কচ মন্ত্রটি শিখে গেলে তাদের জন্য বিপদ। দবেযানীরদেবযানীর অনুরোধে, যতবার অসুররা কচকে হত্যা করে শ্রক্রাচার্য়্য ততবারই কচকে পুনরায় জীবদনদানজীবনদান করেন। আসে। মেষশেষ পর্য়ন্ত অসুররা কচকে বধ করেকরতে সক্ষম হয়। তারা তার দেহ ভষ্যিভূত করার পর পড়ে থাকা ছাই মদিরার সাথে মিশিয়ে দেয়। শুক্রাচার্য়্য ধ্যানের মাধ্যমে সব জানতে পারেন এবং অসুরদের রাজসভায় গিয়ে সবটুকু মদিরা পান করেন। এপর তিনি তার পেটের মধ্যে থাকা কচকে পুনরায় জীবিত করার চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় তিনি কচকে মন্ত্রটি শিক্ষা দেন। কচ সেই মন্ত্র উচ্চারণ করে গুরুর পেট চিড়ে বের হয়ে আসে।

এরপর কচ দেবযানীর কাছে ফিরে যায়। দেবযানী তাকে প্রেম নিবদেননিবেদন করে এবং বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করে। কচ তাকে জানায়, ধর্মমতে যেহেতু দেবযানী তাঁর গুরুর কন্যা তাই নিজ ভগিনীর সমান সেহেতু, সে তাকে বিবাহ করতে পারেননা। এপর দেবযানী অত্যান্ত ক্রদ্ধ ও ব্যাথিত হয়ে তাকে এই বলে শাপ দেন যে, প্রয়োজনের সময় সে মৃত সজনন্জিবনী মন্ত্র সে ভুলে যাবে।