ব্রজবুলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১ নং লাইন:
'''ব্রজবুলি''' মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় [[কাব্যভাষা]] বা [[উপভাষা]]। ব্রজবুলি মূলত এক ধরনের কৃত্রিম মিশ্রভাষা। [[মৈথিলী ভাষা|মৈথিলি]] ও [[বাংলা ভাষা|বাংলার]] মিশ্রিত রূপ হলো ব্রজবুলি ভাষা।হুমায়ুন আজাদ ব্রজবুলি ভাষা সম্পর্কে লিখেছেন,"এ ভাষায় কোন অমধুর শব্দ নেই।কঠিননেই। কঠিন শব্দ নেই।যে-সকল শব্দ উচ্চারণ করলে শুনতে ভালো লাগে না,তাদের বদলে এখানে সুন্দর করা হয়।এজন্যেহয়। এজন্যে ব্রজবুলি খুব মিষ্টি,সুরময়,গীতিময় ভাষা।"
মিথিলার কবি [[বিদ্যাপতি]] (আনু. ১৩৭৪-১৪৬০) এর উদ্ভাবক।তিনি লিখেছেন,
"যব-গোধূলি সময় বেলি।
ধনি-মন্দির বাহির ভেলি।।
নব জলধর বিজুরি রেহা
দ্বন্দ্ব পসারি গেলি।।"
'বেলা' হয়েছে 'বেলি','বিদ্যুৎ' হয়েছে 'বিজুরি','রেখা' হয়েছে 'রেহা'।ফলস্বরূপ। ফলস্বরূপ শ্রুতিমাধুর্যপূর্ণ ছন্দ তৈরি হয়েছে এখানে।
তার পদের ভাব ও ভাষার অনুসরণে বাংলা, [[উড়িষ্যা]] ও আসামে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ব্রজবুলি ভাষার সৃষ্টি হয়। পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের ব্রজলীলা বর্ণিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে ব্রজবুলি অর্থাৎ ব্রজ অঞ্চলের ভাষা। অবশ্য এই পদগুলি তখন ব্রজধামে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল বলেও একে ব্রজবুলি বলা হতো। এর উৎপত্তি বিদ্যাপতির হাতে হলেও পরিপুষ্টি হয়েছে বাঙালি কবিদের হাতে। উল্লেখ, প্রাচীন ভারতবর্ষের [[ব্রজভূমি]] (অধুনা [[উত্তর প্রদেশ]]) অঞ্চলে [[ব্রজভাষা]] নামের একটি ভাষা রয়েছে। লোক বিশ্বাস যে, দূর অতীতে ব্রজধামে রাধা ও কৃষ্ণ যে ভাষায় তাদের হৃদয়ের আর্তি জানাত, অর্থাৎ প্রেম বিনিময় করত সেটাই মূলত ব্রজবুলি।
 
== ইতিহাস ==
উত্তর বিহারের তিরহূত জেলা ও দক্ষিণ নেপালের একটা প্রাচীন রাজ্য ছিলো, নাম “বিদেহ”।তার“বিদেহ”। তার রাজধানী ছিলো “মিথিলা”। সেখানে মৈথিলী ভাষায় কথা বলতো মানুষজন (অদ্যাপি)। সে রাজ্যের মহাকবি ছিলেন বিদ্যাপতি, তিনি মৈথিলী কবি কোকিল নামেও সুপরিচিত। তিনি মৈথিলী ভাষা ও সংস্কৃত ভাষার একটা মেলবন্ধনে কবিতা লিখতেন। সে ভাষায় রাধা-কৃষ্ণ, সনাথ-ব্রজমন্ডলের লীলা বিবৃত হতো বলে সে ভাষার নাম দেয়া হলো ব্রজবুলি। বিদ্যাপতি ছাড়াও বাংলার কবিগণ এই ভাষায় সাহিত্য চর্চা করছেন। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল [[বৈষ্ণব পদাবলি|বৈষ্ণব কবি]] এ ভাষায় বহু পদ রচনা করেন। যেমন প্রাচীন বাংলার প্রথম ব্রজবুলি পদ রচনা করেন [[যশোরাজ খান]]। [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] তার [[ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী]] রচনা করেছেন এ ভাষায়।
 
== ভৌগোলিক বিস্তার ==