সুন্দরবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Vp Mamun (আলোচনা | অবদান)
লিঙ্কের পরামর্শ: ৭টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা নবাগতদের কাজ পরামর্শ: লিঙ্ক যুক্ত করা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪০ নং লাইন:
[[চিত্র:সুন্দরবনের প্রবেশদ্বারে তৈরিকৃত মানচিত্র.jpg|thumb|সুন্দরবনের প্রবেশদ্বারে তৈরিকৃত মানচিত্র]]
 
'''সুন্দরবন''' হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। [[পদ্মা]], [[মেঘনা]] ও [[ব্রহ্মপুত্র]] নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি [[বাংলাদেশ]]ের [[খুলনা]], [[সাতক্ষীরা]], [[বাগেরহাট]], [[পটুয়াখালী জেলা|পটুয়াখালী]] ও [[বরগুনা জেলা|বরগুনা]] জেলা এবং [[ভারত]]ের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা [[উত্তর চব্বিশ পরগনা]] ও [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা]] জুড়ে বিস্তৃত।<ref>Pani, D. R.; Sarangi, S. K.; Subudhi, H. N.; Misra, R. C.; Bhandari, D. C. (2013). "[https://www.researchgate.net/profile/Dilip_Kundu2/post/What_are_the_rice_varieties_that_show_salt_tolerance_naturally/attachment/59d6397779197b8077996ae6/AS%3A401904459894785%401472832898899/download/Art+9+Pani+et+al..pdf Exploration, evaluation and conservation of salt tolerant rice genetic resources from Sundarbans region of West Bengal]" (PDF). ''Journal of the Indian Society of Coastal Agricultural Research''. '''30''' (1): 45–53.</ref> সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় [[ম্যানগ্রোভ]] বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।<ref name="Bpedia">{{Citationবাংলাপিডিয়া উদ্ধৃতি|lastঅধ্যায়=Pashaসুন্দরবন|firstলেখক=Mostafaনিয়াজ Kamal|last2আহমদ সিদ্দিকী}}</ref> ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার<ref name=Siddiqui"P.Alo">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |first2শিরোনাম=Neazসুন্দরবনের হারানো মাছ Ahmad|contributionলেখক=Sundarbansখসরু চৌধুরী |editorইউআরএল=http://archive.prothom-lastalo.com/detail/date/2010-07-23/news/80773 |বিন্যাস=Islamওয়েব |editor-firstসংবাদপত্র=Sirajulদৈনিক প্রথম আলো |editor-linkঅবস্থান=Sirajulঢাকা Islam|titleতারিখ=[[Banglapedia]]:২৩ nationalজুলাই encyclopedia২০১০ of|পাতা=২৫ Bangladesh|publisherপাতাসমূহ=[[Asiatic Society]]|সংগ্রহের-তারিখ=জুলাই of২৪, ২০১০ Bangladesh|placeভাষা=[[Dhaka]]বাংলা }}{{অকার্যকর সংযোগ|isbnতারিখ=9843205766সেপ্টেম্বর ২০২১ |publication-datebot=2003InternetArchiveBot |contributionঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> রয়েছে বাংলাদেশে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sundarbans Tiger Project<!-url- Bot generated title --> |ইউআরএল=http://banglapediawww.netsundarbantigerproject.info/HT/S_0602viewpage.HTMphp?page_id=3 |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০০৮|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ অক্টোবর ২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/2008101619350720080520112911/http://www.banglapediasundarbantigerproject.netinfo/HT/S_0602viewpage.htmphp?page_id=3 |ইউআরএলআর্কাইভের-অবস্থাতারিখ=২০ মে ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে।
সুন্দরবনের নামকরণ ও [http://visitsundarbon.com/2018/08/10/%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a7%8b-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%bf/ ইতিহাস]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=জুন ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার<ref name="P.Alo">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সুন্দরবনের হারানো মাছ |লেখক=খসরু চৌধুরী |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-23/news/80773 |বিন্যাস=ওয়েব |সংবাদপত্র=দৈনিক প্রথম আলো |অবস্থান=ঢাকা |তারিখ=২৩ জুলাই ২০১০ |পাতা=২৫ |পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ=জুলাই ২৪, ২০১০ |ভাষা=বাংলা }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=সেপ্টেম্বর ২০২১ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> রয়েছে বাংলাদেশে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sundarbans Tiger Project<!-- Bot generated title --> |ইউআরএল=http://www.sundarbantigerproject.info/viewpage.php?page_id=3 |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০০৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080520112911/http://www.sundarbantigerproject.info/viewpage.php?page_id=3 |আর্কাইভের-তারিখ=২০ মে ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে।
 
সুন্দরবন ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে [[ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান]] হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0272771407000029|শিরোনাম=Monitoring mangrove forest dynamics of the Sundarbans in Bangladesh and India using multi-temporal satellite data from 1973 to 2000|তারিখ=2007-06-01|সাময়িকী=Estuarine, Coastal and Shelf Science|খণ্ড=73|সংখ্যা নং=1-2|পাতাসমূহ=91–100|ভাষা=en|doi=10.1016/j.ecss.2006.12.019|issn=0272-7714}}</ref> এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও [[জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা|ইউনেস্কোর]] বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে; যথাক্রমে 'সুন্দরবন' ও '[[সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান]]' নামে। এই সুরক্ষা সত্ত্বেও, [[আইইউসিএন লাল তালিকা|আইইউসিএন রেড লিস্ট]] অফ ইকোসিস্টেম ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে ২০২০ সালের মূল্যায়নে ভারতীয় সুন্দরবনকে বিপন্ন বলে মনে করা হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0006320720308090|শিরোনাম=Indian Sundarbans mangrove forest considered endangered under Red List of Ecosystems, but there is cause for optimism|তারিখ=2020-11-01|সাময়িকী=Biological Conservation|খণ্ড=251|পাতাসমূহ=108751|ভাষা=en|doi=10.1016/j.biocon.2020.108751|issn=0006-3207}}</ref> সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল।<ref name="P.Alo" /> বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত [[রয়েল বেঙ্গল টাইগার]] ছাড়াও নানান ধরনের পাখি, [[চিত্রা হরিণ]], [[কুমির]] ও [[সাপ]]সহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। জরিপ মোতাবেক ১০৬ বাঘ ও ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১ মে সুন্দরবন [[রামসার স্থান]] হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করার মাধ্যমে প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করে।
 
সর্বাধিক প্রচুর গাছের প্রজাতি হল [[সুন্দরী]] (''Heritiera fomes'') এবং [[গেওয়া]] (''Excoecaria agallocha'')। বনে ২৯০ টি পাখি, ১২০ টি মাছ, ৪২ টি স্তন্যপায়ী, ৩৫ টি সরীসৃপ এবং আটটি উভচর প্রজাতি সহ ৪৫৩ টি প্রাণী বন্যপ্রাণীর বাসস্থান সরবরাহ করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://doi.org/10.1652/1400-0350(2004)010%5B0139:MMIBAS%5D2.0.CO;2|শিরোনাম=Managing mangroves in Bangladesh: A strategy analysis|শেষাংশ=Iftekhar|প্রথমাংশ=M.S.|শেষাংশ২=Islam|প্রথমাংশ২=M.R.|তারিখ=2004|সাময়িকী=Journal of Coastal Conservation|খণ্ড=10|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=139|doi=10.1652/1400-0350(2004)010[0139:mmibas]2.0.co;2|issn=1400-0350}}</ref>
 
মাছ এবং কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণী ছাড়া অন্য বন্যপ্রাণী হত্যা বা দখলের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, মনে হচ্ছে বিংশ শতাব্দীতে হ্রাসপ্রাপ্ত জীববৈচিত্র্য বা প্রজাতির ক্ষতির একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ প্যাটার্ন রয়েছে, এবং বনের পরিবেশগত গুণমান হ্রাস পাচ্ছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://doi.org/10.1186/1746-1448-6-8|শিরোনাম=Dynamics of Sundarban estuarine ecosystem: eutrophication induced threat to mangroves|শেষাংশ=Manna|প্রথমাংশ=Suman|শেষাংশ২=Chaudhuri|প্রথমাংশ২=Kaberi|শেষাংশ৩=Bhattacharyya|প্রথমাংশ৩=Somenath|শেষাংশ৪=Bhattacharyya|প্রথমাংশ৪=Maitree|তারিখ=2010-08-11|সাময়িকী=Saline Systems|খণ্ড=6|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=8|doi=10.1186/1746-1448-6-8|issn=1746-1448|pmc=PMC2928246|pmid=20699005}}</ref> পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বন অধিদপ্তর। বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে বন সংরক্ষণের জন্য একটি বন চক্র তৈরি করা হয় এবং এরপর থেকে প্রধান বন সংরক্ষক দের নিযুক্ত করা হয়েছে। উভয় সরকারের কাছ থেকে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, সুন্দরবন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট উভয় কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। ২০০৭ সালে [[ঘূর্ণিঝড় সিডর|ঘূর্ণিঝড় সিডরের]] ভূমিধ্বসের কারণে প্রায় ৪০% সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং স্বাদুপানির সরবরাহ হ্রাসের কারণে বনটি বর্ধিত সালিনিটিতেও ভুগছে। আবার ২০০৯ সালের মে মাসে [[ঘূর্ণিঝড় আইলা]] ব্যাপক হতাহতের সাথে সুন্দরবনকে বিধ্বস্ত করে। এই ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ১,০০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://timesofindia.indiatimes.com/india/23-dead-1-lakh-affected-as-cyclone-aila-hits-bengal/articleshow/4575274.cms|শিরোনাম=23 dead, 1 lakh affected as Cyclone Aila hits Bengal {{!}} India News - Times of India|শেষাংশ=May 25|প্রথমাংশ=PTI /|শেষাংশ২=2009|ওয়েবসাইট=The Times of India|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-17|শেষাংশ৩=Ist|প্রথমাংশ৩=22:38}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://earthobservatory.nasa.gov/images/38786/cyclone-aila|শিরোনাম=Cyclone Aila|তারিখ=2009-05-29|ওয়েবসাইট=earthobservatory.nasa.gov|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-17}}</ref> প্রস্তাবিত কয়লা চালিত [[রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প|রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র]] টি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[খুলনা বিভাগ|খুলনার]] [[বাগেরহাট জেলা|বাঘেরহাট জেলার]] [[রামপাল উপজেলা|রামপাল উপজেলায়]] সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) উত্তরে অবস্থিত, ইউনেস্কোর ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এই অনন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্যের আরও ক্ষতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160926203716/http://en.prothom-alo.com/environment/news/122299/Unesco-calls-for-shelving-Rampal-project|শিরোনাম=Unesco calls for shelving Rampal project|তারিখ=2016-09-26|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-17}}</ref>
 
== নামকরণ ==
বাংলায় ''সুন্দরবন''-এর আক্ষরিক অর্থ ''সুন্দর জঙ্গল'' বা ''সুন্দর বনভূমি''।<ref name="sundar">{{cite book|title=সামসাদ বাংলা-ইংরেজি অভিধান|chapter-url=https://dsalsrv04.uchicago.edu/cgi-bin/app/biswas-bengali_query.py?qs=%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0&searchhws=yes|year=2000|publisher=সাহিত্য সামসাদ|page=১০১৭|chapter=সুন্দর|author=Biswas, S.|location=কলকাতা}}</ref><ref name="ban">{{cite book|title=সামসাদ বাংলা-ইংরেজি অভিধান|chapter-url=https://dsalsrv04.uchicago.edu/cgi-bin/app/biswas-bengali_query.py?qs=%E0%A6%AC%E0%A6%A8&searchhws=yes|year=২০০০|publisher=সাহিত্য সামসাদ|page=৭১৭|chapter=বন|author=Biswas, S.|location=কলকাতা}}</ref> [[সুন্দরী]] গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়। অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে যে, এর নামকরণ হয়তো হয়েছে "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" (প্রাচীন আদিবাসী) থেকে। তবে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় যে [[সুন্দরী]] গাছ থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে।<ref name="Bpedia" />
 
== ইতিহাস ==
৫৪ ⟶ ৫৭ নং লাইন:
অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। বনের উপর মানুষের অধিক চাপ ক্রমান্বয়ে এর আয়তন সংকুচিত করেছে। ১৮২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার সুন্দরবনের স্বত্ত্বাধীকার অর্জন করে। এল. টি হজেয ১৮২৯ সালে সুন্দরবনের প্রথম জরীপ কার্য পরিচালনা করেন। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়ে। যা বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪.২% এবং সমগ্র বনভূমির প্রায় ৪৪%।
 
সুন্দরবনের উপর প্রথম বন ব্যবস্থাপনা বিভাগের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৯ সালে। ১৯৬৫ সালের বন আইন (ধারা ৮) মোতাবেক, সুন্দরবনের একটি বড় অংশকে সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় ১৮৭৫-৭৬ সালে। পরবর্তী বছরের মধ্যেই বাকি অংশও সংরক্ষিত বনভূমির স্বীকৃতি পায়। এর ফলে দূরবর্তী বেসামরিক জেলা প্রশাসনের কর্তৃত্ব থেকে তা চলে যায় বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীকালে ১৮৭৯ সালে বন ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক একক হিসেবে বন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সদর দপ্তর ছিল [[খুলনা]]য়। সুন্দরবনের জন্য ১৮৯৩-৯৮ সময়কালে প্রথম বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণিত হয়হয়।<ref name="hussain">Hussain, Z. and G. Acharya, 1994. (Eds.) Mangroves of the Sundarbans. Volume two : Bangladesh. IUCN, Bangkok, Thailand. 257 p.</ref><ref>UNDP, 1998. Integrated resource development of the Sundarbans Reserved Forests, Bangladesh. Volume I Project BGD/84/056, United Nations Development Programme, Food and Agriculture Organization of the United Nations, Dhaka, The People’s Republic of Bangladesh. 323 p.</ref>
 
১৯১১ সালে সুন্দরবনকে ট্র্যাক্ট আফ ওয়াস্ট ল্যান্ড হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়, যা না তো কখনো জরিপ করা হয়েছে আর না তো কোনদিন শুমারীর অধীনে এসেছে। তখন [[হুগলী নদী]]র মোহনা থেকে [[মেঘনা নদী]]র মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১৬৫ মাইল (২৬৬ কি.মি.) এলাকা জুড়ে এর সীমানা নির্ধারিত হয়।
৬৮ ⟶ ৭১ নং লাইন:
 
=== জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ===
[[চিত্র:Mudflat and clouds in Sundarbans.jpg|thumb|left|220px|সুন্দরবনের দীর্ঘ কাদা চর]]
উপকূল বরাবর সুন্দরবনের গঠন প্রকৃতি বহুমাত্রিক উপাদানসমূহ দ্বারা প্রভাবিত, যাদের মধ্যে রয়েছে স্রোতের গতি, ব্যষ্টিক ও সমষ্টিক স্রোত চক্র এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী দীর্ঘ সমুদ্রতটের স্রোত। বিভিন্ন মৌসুমে সমুদ্রতটের স্রোত যথেষ্ট পরিবর্তনশীল। এরা অনেক সময় ঘূর্ণীঝড়ের কারণেও পরিবর্তিত হয়।
 
১০১ ⟶ ১০৪ নং লাইন:
[[চিত্র:Chital at Sunderban..jpg|thumb|সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ]]
সুন্দরবনে ব্যাপক প্রাণীবৈচিত্র্য বিদ্যমান। প্রাণীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সুন্দরবনের কিছু কিছু এলাকায় শিকার নিষিদ্ধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ অভয়ারণ্যের মত, যেখানে শর্তহীনভাবে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যায়না এবং বন্য প্রাণীর জীবনে সামান্যই ব্যাঘাত ঘটে।
যদিও এটা স্পষ্ট যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাণী সম্পদ হ্রাস পেয়েছে<ref name="hussain" /> এবং সুন্দরবনও এর বাইরে নয় । তারপরও সুন্দরবন বেশ অনেকগুলি প্রাণী প্রাজাতি ও তাদের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রজাতিদের টিকিয়ে রেখেছে। এদের মধ্যে বাঘ ও শুশুককে প্রাধাণ্য দিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রানীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন উন্নয়নের। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সম্পূর্ণ বিপরীত পরিবেশে থাকা এ দুইটির অবস্থা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সামগ্রিক প্রাণীবৈচিত্র্য এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার শক্তিশালী সূচক। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসেব মতে সুন্দরবন ৫০০ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল যা পৃথিবীতে বাঘের একক বৃহত্তম অংশঅংশ।<ref name="www.bforest.gov.bd/highlights.php">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=www.bforest.gov.bd/highlights.php |ইউআরএল=http://www.bforest.gov.bd/highlights.php |সংগ্রহের-তারিখ=১ মে ২০০৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20041207075333/http://www.bforest.gov.bd/highlights.php |আর্কাইভের-তারিখ=৭ ডিসেম্বর ২০০৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
[[চিত্র:Alcedo meninting.jpg|thumb|left|150px| সুন্দরবনে নীল গ্রীবা মাছরাঙারও দেখা মিলে।]]
{{multiple image|perrow=1|align=right|image1=Sundarban Tiger.jpg|caption1=সুন্দরবনে একটি বাংলার বাঘ|image2=Axis axis Kanha 4kl.jpg|caption2=[[chital|চিত্রল]] হরিণ (''Axis axis'')|image3=Macaca mulatta 2.JPG|caption3=একটি [[রিসাস ম্যাকাক]] (''Macaca mulatta'')}}
 
সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান মৌলিক প্রকৃতির এবং যা বন্য প্রাণীর বিশাল আবসস্থল। বন্য প্রাণীর সংখ্যা এবং এর লালনক্ষেত্রের উপর মানুষের সম্পদ সংগ্রহ ও বন ব্যবস্থাপনার প্রভাব অনেক। [[কচ্ছপ]] ([[কেটো কচ্ছপ]] – ''Betagur baska'', [[সুন্দি কাছিম]] – ''Lissemys punctata'' এবং [[ধুম তরুণাস্থি কাছিম]] – ''Trionyx hurum''), [[গিরগিটি]] (Yellow monitor – ''Varanus flavescens'' ও [[গুই সাপ]] – ''Varanus salvator''), [[অজগর]] (''Python molurus'') এবং [[রয়েল বেঙ্গল টাইগার]] (''Panthera tigris tigris'') সুন্দরবনের স্থানীয় প্রজাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
[[চিত্র:Big croc.jpg|thumb|right| 220px| সুন্দরবনের একটি কুমির।]]
 
[[চিত্র:সুন্দরবনের কুমির খামার.jpg|thumb|সুন্দরবনের কুমির খামারে চাষকৃত কুমির ছানা]]
এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি সংরক্ষিত, বিশেষ করে [[বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধিত) আইন, ১৯৭৪]] (P.O. 23 of 1973) দ্বারা। বিভিন্ন প্রজাতির [[হরিণ]] (Chital deer- ''Axis axis,'' Hog deer – ''Axis procinus'' ও Swamp deer – ''Cervus duvauceli''), [[মহিষ]] (''Bubalis bubalis''), [[জাভাদেশীয় গণ্ডার]] – ''Rhiniceros sondaicus'' ও [[ভারতীয় গণ্ডার]] – ''Rhinoceros unicornis'') এবং [[স্বাদুপানির কুমির]]ের (''Crocodylus palustris'') মত কিছু কিছু প্রজাতি সুন্দরবনে বিরল হয়ে উঠেছে ২১ শতকের শুরু থেকেথেকে।<ref name=sarakar>Sarker, S.U. 1993. Ecology of Wildlife UNDP/FAO/BGD/85/011. Field Document N. 50 Institute of Forestry and Environmental Sciences. Chittagong, Bangladesh. 251 p.</ref>
{{multiple image|perrow=1|image1=Big croc.jpg|caption1=সুন্দরবন কুমির প্রজনন কেন্দ্রে একটি নোনা জলের কুমির|image2=2009 Pristis microdon1.JPG|caption2=একটি বড় টুথ করাতমাছ|image3=Periophthalmus argentilineatus.jpg|caption3=একটি কাদাঅধিনায়ক}}[[চিত্র:Beehive-Sunderbans-2008.jpg|thumb|left| সুন্দরবনের গাছে মৌচাক।]]
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিচিত্র জীববৈচিত্র্যের আধার বাংলাদেশের সুন্দরবন বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ [[সরীসৃপ]] এবং ৮ টি উভচর প্রাজাতির আবাসস্থল। এ থেকে বোঝা যায় যে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির একটি বড় অংশ বিদ্যমান (যেমনঃ ৩০ শতাংশ সরীসৃপ, ৩৭ শতাংশ পাখি ও ৩৭ শতাংশ স্তন্যপায়ী) এবং এদের একটি বড় অংশ দেশের অন্যান্য অংশে বিরল।<ref>Scott, D.A. 1991. Asia and the Middle East Wetlands. M. Finlayson and M. Moser (eds.). Oxford: 151-178.</ref>
সরকারের মতে এই প্রানীবৈচিত্র্যের মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তনপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে।<ref name="sarakar" />

{{multiple image|direction=horizontal|total_width=400|image1=Ichthyophaga ichthyaetus -Kazaringa, Assam, India-8 (3).jpg|caption1=একটি ধূসর মাথা বিশিষ্ট মাছের ঈগল|image2=Blue-eared Kingfisher.JPG|caption2=সুন্দরবনে নীল গ্রীবা মাছরাঙারও দেখা মিলে।}}

পাখি বিষয়ক পর্যবেক্ষণ, পাঠ ও গবেষণার ক্ষেত্রে পাখিবিজ্ঞানীদের জন্য সুন্দরবন এক স্বর্গ।<ref>Habib, M.G. 1999. Message In: Nuruzzaman, M., I.U. Ahmed and H. Banik (eds.). The Sundarbans world heritage site: an introduction, Forest Department, Ministry of Environment and Forest, Government of the People’s Republic of Bangladesh. 12 p.</ref> ইতোমধ্যে বহুপ্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে যার মধ্যে আছে বুনো মহিষ, পারা হরিণ, বুনো ষাঁড়, ছোট ও বড় এক শৃঙ্গি গণ্ডার, বার শিংগা, চিতা বাঘ। আরো লুপ্ত হয়েছে সাদা মানিক জোড়া কান ঠুনি, বোঁচা হাঁস, গগন বেড়, জলার তিতিরসহ বিভিন্ন পাখি।<ref name="সুন্দরবনের পশু শিকারের মহোৎসব">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সুন্দরবনের পশু শিকারের মহোৎসব |ইউআরএল=http://www.khulnanews.com/index.php/district-news/dacope/3146 |সংগ্রহের-তারিখ=২ এপ্রিল ২০১৪ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141115192732/http://www.khulnanews.com/index.php/district-news/dacope/3146 |আর্কাইভের-তারিখ=১৫ নভেম্বর ২০১৪ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
 
=== সুন্দরবনের বাঘ ===
১১৬ ⟶ ১২৫ নং লাইন:
 
স্থানীয় লোকজন ও সরকারীভাবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাঘের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। স্থানীয় জেলেরা বনদেবী বনবিবির প্রার্থণা ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে যাত্রা শুরুর আগে। সুন্দরবনে নিরাপদ বিচরণের জন্য প্রার্থণা করাও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে জরুরি। বাঘ যেহেতু সবসময় পেছন থেকে আক্রমণ করে সেহেতু জেলে এবং কাঠুরেরা মাথার পেছনে মুখোশ পরে। এ ব্যবস্থা স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করলেও পরে বাঘ এ কৌশল বুঝে ফেলে এবং আবারও আক্রমণ হতে থাকে। সরকারি কর্মকর্তারা আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়দের প্যাডের মত শক্ত প্যাড পরেন যা গলার পেছনের অংশ ঢেকে রাখে। এ ব্যবস্থা করা হয় শিরদাঁড়ায় বাঘের কামড় প্রতিরোধ করার জন্য যা তাদের পছন্দের আক্রমণ কৌশল।
<!--
এসব বাঘ কেন মানুষকে আক্রমণ করে তার কিছু অনুমিত কারণ এরকমঃ
 
* যেহেতু সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত সেহেতু তুলনামূলকভাবে এখানকার পানি নোনতা। এখানকার অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে বাঘই মিঠাপানি খায়। কেউ কেউ মনে করে পেয়পানির এই লবণাক্ততার কারণে বাঘ সার্বক্ষণ অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকে যা তাদের ব্যপকভাবে আগ্রাসী করে তোলে। কৃত্রিম মিঠাপানির হ্রদ তৈরি করে দিয়েও এর কোনো সমাধান হয়নি।
* উঁচু ঢেউয়ের কারণে বাঘের গায়ের গন্ধ মুছে যায় যা প্রকৃতপক্ষে বাঘের বিচরণ এলাকার সীমানা চিহ্ণ হিসেবে কাজ করে। ফলে নিজের এলাকা রক্ষায় বাঘের জন্য উপায় একটাই, আর তা হলো যা কিছু অনুপ্রবেশ করে তা বাঁধা দেয়া।
* অন্য একটি সম্ভাবনা এমন যে আবহাওয়ার কারণে এরা মানুষের মাংসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের এ অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। আর স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া এসব গলিত মৃতদেহ বাঘ খায়।
* আর একটি সম্ভাবনা হলো এরকম যে, নিয়মিত উঁচু-নিচু স্রোতের কারণে জলাভূমি সম এবং পিচ্ছিল এলাকায় বাঘের পক্ষে পশু শিকার করা কঠিন হয়ে যায়। আবার নৌকায় চড়ে সুন্দরবন জুড়ে মাছ ও মধু সংগ্রহকারী মানুষ বাঘের সহজ শিকার হয়ে ওঠে। এরকমও বিশ্বাস করা হয় যে মানুষ যখন কাজ বন্ধ করে বসে থাকে তখন বাঘ তাকে পশু ভেবে আক্রমণ করে।
* এছাড়াও মনে করা হয় যে আবাসস্থলের বিচ্ছিন্নতার কারণে এই অঞ্চলের বাঘ তাদের শিকার করার বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলেছে যা ২০ শতক জুড়ে ঘটেছে। এশিয়ার বাকি অংশে বাঘের মানুষভীতি বাড়লেও সুন্দরবনের বাঘ মানুষকে শিকার বানানো বন্ধ করবে না হয়তো।
-->
 
=== মৎস্য সম্পদ ===
[[চিত্র:সুন্দরবনের অধিবাসীদের নদীতে মাছধরার দৃশ্য.jpg|thumb|সুন্দরবনের অধিবাসীদের অন্যতম জীবিকা নদীতে মাছধরা।]]
১৬৪ ⟶ ১৬৩ নং লাইন:
=== ভারতের জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ===
[[চিত্র:Sunderbans map.png|thumb|right|254x254px|ভারতীয় সুন্দরবনের সুরক্ষিত এলাকার একটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে বাঘ সংরক্ষণের সীমা, জাতীয় উদ্যান এবং তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সংরক্ষণ ও বাসস্থান কেন্দ্র, বসবাসের শহর এবং প্রবেশপথ। সমগ্র বনভূমি (গাঢ় সবুজ) এলাকাটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ গঠন করে, এবং জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগারগুলির বাইরে অবশিষ্ট বনগুলির একটি [[সংরক্ষিত বন]]ের স্থিতি দেওয়া হয়েছে।]]
;[[সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান]]: পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান একটি [[জাতীয় উদ্যান]] বা [[জাতীয় উদ্যান|ন্যাশনাল পার্ক]], [[টাইগার রিজার্ভ]] এবং একটি [[জীবমন্ডল সংরক্ষণ]] নিয়ে গঠিত। এটি [[গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ|গঙ্গার দ্বীপ]] এবং বাংলাদেশের অন্তর্গত সুন্দরবন সংলগ্ন সুন্দরবনের পশ্চিম অংশ অবস্থিত। [[নদী বদ্বীপ|বদ্বীপ]] এলাকাটি ঘন ম্যানগ্রোভ বন দ্বারা আচ্ছাদিত, এবং [[বেঙ্গল টাইগার]]ের জন্য বৃহত্তম বাসস্থানের মধ্যে একটি। এখানে লবণাক্ত জলের কুমিরের সাথে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ প্রজাতি রয়েছে। বর্তমানে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানটি ছিল ১৯৭৩ সালে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ মূল এলাকা এবং ১৯৭৭ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয়। ৪ ই মে ১৯৮৪ সালে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
 
;[[সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য]]: সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য হচ্ছে ভারতের [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা|দক্ষিণ ২৪ পরগণা]] জেলার সুন্দরবনের সজনেখালি নামক স্থানে অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। এটির আয়তন ৩৬২ বর্গকিমি। ১৯৬০ সালে [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার]] এটিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করে এবং ১৯৭৬ সালে তা পুনরায় ঘোষিত হয়।<ref name="কল্যাণ">কল্যাণ চক্রবর্তী, বিশ্বজিত রায়চৌধুরী, ভারতের বন ও বন্যপ্রাণী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১, কলকাতা, পৃষ্ঠা-১২৭-১২৮।</ref>
১৯৪ ⟶ ১৯৩ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|30em}}
 
== উৎস ==
{{Refbegin}}
* {{EB1911|wstitle=Sundarbans}}
* Laskar Muqsudur Rahman, [http://www.fs.fed.us/rm/pubs/rmrs_p015_2/rmrs_p015_2_143_148.pdf The Sundarbans: A Unique Wilderness of the World]; at [http://www.fs.fed.us/ USDA Forest Reserve]; McCool, Stephen F.; Cole, David N.; Borrie, William T.; O'Loughlin, Jennifer, comps. 2000. Wilderness science in a time of change conference, Volume 2: Wilderness within the context of larger systems; 1999 May 23–27; Missoula, MT. Proceedings RMRS-P-15-VOL-2. Ogden, UT: US Department of Agriculture, Forest Service, [[Rocky Mountain Research Station]].
* Terminal Report, [http://www.fao.org/docrep/field/383933.htm Integrated Resource Development of the Sundarbans Reserved Forest]: Project Findings and Recommendations, [[Food and Agriculture Organization]] (acting as executing agency for the [[United Nations Development Programme]]), United Nations, Rome, 1998 (prepared for the Government of Bangladesh)
* Blasco, F. (1975). ''The Mangroves of India''. Institut Francis de Pondichéry, Travaux de las Section Scientifique et Technique, Tome XIV, Facicule 1. Pondicherry, India.
* Jalais, Annu. (2005). "Dwelling on Morichjhanpi: When Tigers Became 'Citizens', Refugees 'Tiger-Food'"; ''Economic and Political Weekly'', 23 April 2005, pp.&nbsp;1757 – 1762.
* Jalais, Annu. (2007). "The Sundarbans: Whose World Heritage Site?", ''Conservation and Society'' (vol. 5, no. 4).
* Jalais, Annu. (2008). "Unmasking the Cosmopolitan Tiger", ''Nature and Culture'' (vol. 3, no. 1), pp.&nbsp;25–40.
* Jalais, Annu. (2008). "Bonbibi: Bridging Worlds", ''Indian Folklore'', serial no. 28, Jan 2008.
* Jalais, Annu. (2009). "Confronting Authority, Negotiating Morality: tiger prawn seed collection in the Sundarbans", International Collective in Support of Fishworkers, Yemaya, 32, Nov. [https://www.icsf.net/en/yemaya/detail/EN/1582.html]; Also in French: http://base.d-p-h.info/en/fiches/dph/fiche-dph-8148.html
* Jalais, Annu. (2010). "Braving Crocodiles with Kali: Being a prawn-seed collector and a modern woman in the 21st century Sundarbans", ''Socio-Legal Review'', Vol. 6.
* Montgomery, Sy (1995). ''Spell of the Tiger: The Man-Eaters of Sundarbans''. Houghton Mifflin Company, New York.
* Rivers of Life: Living with Floods in Bangladesh. M. Q. Zaman. ''Asian Survey'', Vol. 33, No. 10 (October 1993), pp.&nbsp;985–996
* {{cite journal|title=Modern sediment supply to the lower delta plain of the Ganges-Brahmaputra River in Bangladesh|last2=Kepple|first2=E. B.|date=September 2001|pages=66|doi=10.1007/s003670100069|last1=Allison|first1=M. A.|journal=Geo-Marine Letters|volume=21|issue=2|bibcode=2001GML....21...66M|s2cid=140636544}}
* [https://www.webcitation.org/5nFLKDPl2?url=http://www.unep-wcmc.org/sites/wh/pdf/Sundarbans%20%5Bboth%5D.pdf Sundarbans on United Nations Environment Programme]
* {{cite journal|title=Floods in Bangladesh: II. Flood Mitigation and Environmental Aspects|last=Brammer|first=H.|date=July 1990|pages=158–165|doi=10.2307/635323|jstor=635323|journal=The Geographical Journal|volume=156|issue=2}}
* [http://www.ias.ac.in/currsci/mar252003/757.pdf Environmental classification of mangrove wetlands of India]. V. Selvam. ''Current Science'', Vol. 84, No. 6, 25 March 2003.
 
{{Refend}}
 
* {{cite book|url=https://archive.org/details/iucndirectoryofs90gree|title=Iucn Directory of South Asian Protected Areas|year=1990|publisher=IUCN-The World Conservation Union|isbn=978-2-8317-0030-4|author1=Green, M.J.B.|author2=Centre, W.C.M.|author3=Parks, I.C.o.N.|author4=Areas, P.}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{Commons category|Sundarbans}}{{Wikivoyage-inline}}
* [http://www.newyorker.com/reporting/2008/04/21/080421fa_fact_alexander সুন্দরবন ও বাঘের উপর নিউইয়র্কে প্রকাশিত প্রবন্ধ]
* [http://banglapedia.search.com.bd/HT/S_0602.htm বাংলাপিডিয়াতে সুন্দরবনের উপর লিখিত প্রবন্ধ]
২০২ ⟶ ২২৫ নং লাইন:
* [https://web.archive.org/web/20090618073345/http://www.sundarbanstigerproject.info/ সুন্দরবনের বাঘের উপর গবেষণা বিষয়ক]
* [http://wikitravel.org/en/Sundarbans সুন্দরবন ভ্রমণ নির্দেশিকা]
 
{{Bangladesh topics}}
{{বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান}}
{{বাংলাদেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল}}{{Authority control}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:সুন্দরবন]]
[[বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ এশিয়ার ভূগোল]]