মাহমুদ হাসান দেওবন্দি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
৫৭ নং লাইন:
===রেশমি রুমাল আন্দোলন===
{{মূল নিবন্ধ|রেশমি রুমাল আন্দোলন}}
তিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান করতে চেয়েছিলেন; এজন্য তিনি [[মুহাম্মদ মিয়াঁ মনসুর আনসারি]]কে সাথে নিয়ে রেশমি রুমাল আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://heritagetimes.in/silk-letter-movement-a-freedom-struggle-woven-in-silk/|শিরোনাম=সিল্ক লেটার মুভমেন্ট: এ ফ্রিডম স্ট্রাগল ওউভেন ইন সিল্ক|শেষাংশ=ফাতেমা|প্রথমাংশ=আমব্রিন|তারিখ=৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯|ওয়েবসাইট=হেরিটেজ টাইমস|ভাষা=en|অনূদিত-শিরোনাম=রেশমি রুমাল আন্দোলনঃ রেশমে বোনা স্বাধীনতা সংগ্রাম|সংগ্রহের-তারিখ=৩১ আগস্ট ২০২১}}</ref> তিনি এই আন্দোলনের মূল সংগঠক ছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সিল্ক লেটার মুভমেন্ট|অনূদিত-শিরোনাম=রেশমি রুমাল আন্দোলন|শেষাংশ=দেওবন্দি|প্রথমাংশ=মুহাম্মদ মিয়া|প্রকাশক=শাইখুল হিন্দ একাডেমি; মানক পাবলিকেশন্স|অবস্থান=[[দেওবন্দ]]; লক্ষ্মী নগর, দিল্লি|আইএসবিএন=978-93-7831-322-6|সংস্করণ=১ম|বছর=২০১৩|ভাষা=en}}</ref> এজন্য তিনি দুটি ভৌগলিকভৌগোলিক অঞ্চল বেছে নেন।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৬৭}} প্রথমটি ছিল তৎকালীন [[আফগানিস্তান]] ও ভারতের মধ্যবর্তী স্বায়ত্তশাসিত উপজাতি এলাকা।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৬৭}} [[নিজামুদ্দিন আসির আদ্রাভি]] বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা, যারাই ভারত আক্রমণ করতে এসেছিল, তারা এই পথ ব্যবহার করেছিল এবং মাহমুদ হাসান আন্দোলনের জন্য এই অঞ্চল নির্বাচন করা অবশ্যই তার বিচক্ষণতা এবং অন্তর্দৃষ্টির সর্বোচ্চ প্রমাণ।’{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৬৮}} দ্বিতীয় এলাকাটি ছিল ভারতের মধ্যে; তিনি সমস্ত আন্তরিক নেতাদের প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন যারা তার উদ্দেশ্যকে সমর্থন করার প্রতি যত্নশীল ছিলেন এবং এতে তিনি বেশ সফল হয়েছিলেন।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৬৮}} প্রথম সারিতে কাজ করা পণ্ডিতদের মধ্যে ছিলেন—[[খান আবদুল গাফফার খান|আব্দুল গাফফার খান]], আব্দুর রহিম সিন্ধি, [[মুহাম্মদ মিয়াঁ মনসুর আনসারি]], [[উবাইদুল্লাহ সিন্ধি]] এবং [[উজাইর গুল পেশাওয়ারি|উজাইর গুল পেশাওয়ারির]] মত তার ছাত্র ও সঙ্গীরা।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৬৯-১৮৪}} তারা তার কর্মসূচিকে সীমান্ত এলাকায় এবং স্বায়ত্তশাসিত উপজাতিদের মধ্যে প্রচার করেন।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৮৫}} দ্বিতীয় সারিতে কাজ করা পণ্ডিতদের মধ্যে ছিলেন—[[মুখতার আহমদ আনসারি]], [[আব্দুর রহিম রায়পুরী]] এবং [[আহমদুল্লাহ পানিপতি]]।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৮৬}} [[মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি]] বলেন, ‘শায়খুল হিন্দ তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর কাছে আসা লোকদের প্রকৃতি ও সামর্থ্য মনোযোগ সহকারে দেখতেন। তিনি তাদের মধ্যে থেকে কিছু ব্যক্তিকে নির্বাচন করেন এবং তাদের [[ইয়াগিস্তান|ইয়াগিস্তানে]] পৌঁছে স্বায়ত্তশাসিত উপজাতিদের ভারতে আক্রমণ করতে প্ররোচিত করার আদেশ দেন।’{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৫৭}} আফগান এবং [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|তুর্কি সরকার]] যদি মিলিশিয়াকে সামরিক সহায়তা প্রদান করে এবং এই বাহিনীর আক্রমণের সময় দেশটির জনগণ বিদ্রোহের জন্য উঠে পড়ে, তবে ভারতের অভ্যন্তরের জনগণকে বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত করতে এই কর্মসূচির নকশা করা হয়েছিল।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৮৫}} ইয়াগিস্তান মাহমুদ হাসানের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।{{Sfn|তাবাসসুম|২০০৬|p=৪৭}} [[মহেন্দ্র প্রতাপ|মহেন্দ্র প্রতাপকে]] রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করে তার ছাত্র [[উবাইদুল্লাহ সিন্ধি]] ও তার সঙ্গীরা [[ভারতের অস্থায়ী সরকার]] গঠন করেছিল।{{Sfn|রিজভী|১৯৮১|p=১৩৭-১৩৮}}
 
জার্মান এবং তুর্কি সমর্থন লাভের জন্য ১৯১৫ সালে মাহমুদ হাসান নিজেই [[হেজাজ]] ভ্রমণ করেন।{{Sfn|ত্রিভেদী|১৯৮২|p=৬৫৯}} মুহাম্মদ মিয়াঁ মনসুর আনসারি, [[মুর্তাজা হাসান চাঁদপুরী]], [[মুহাম্মদ সাহুল ভাগলপুরী]] এবং উজাইর গুল পেশাওয়ারি সহ প্রমুখ আলেমদের সাথে নিয়ে ১৯১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি [[মুম্বই|বোম্বে]] ত্যাগ করেন।{{Sfn|দেওবন্দি|২০০২|p=৫৬}}{{Sfn|তৈয়ব|১৯৯০|p=৪৯}} ১৯১৫ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি মক্কায় যান যেখানে তিনি তুরস্কের গভর্নর [[গালিব পাশা]] এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী [[আনোয়ার পাশা (সৈনিক)|আনোয়ার পাশার]] সাথে বৈঠক করেন।{{Sfn|দেওবন্দি|২০০২|p=৫৮}}{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৫৯-৬০}} গালিব পাশা তাকে সহায়তার আশ্বাস দেন এবং তাকে তিনটি চিঠি দেন, একটি ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশ্যে, দ্বিতীয়টি গভর্নর বুসরা পাশাকে এবং তৃতীয়টি আনোয়ার পাশাকে।{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৫৯–৬০}} তিনি সিরিয়ার গভর্নর [[জামাল পাশা]]র সাথেও বৈঠক করেন, জামাল গালিব পাশার বক্তব্যর সাথে একমত হন।{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৫৯–৬০}} দেওবন্দি আশঙ্কা করেছিলেন, ভারতে ফিরে এলে ব্রিটিশরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। সেজন্য তাকে আফগান সীমান্তে পৌঁছিয়ে দিতে বলেন যেখান থেকে তিনি ইয়াগিস্তানে পৌঁছাতে পারেন।{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৫৯–৬০}} জামাল ওজর দেখিয়ে তাকে বলেছিলেন, যদি তিনি গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করেন তবে তিনি হেজাজ বা অন্য যেকোনো তুর্কি এলাকায় থামতে পারেন।{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৫৯–৬০}} পরবর্তীকালে রেশমি রুমাল আন্দোলন ফাঁস হয়ে যায় এবং এর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।{{Sfn|আসির আদ্রাভি|২০১২|p=১৮৪}} দেওবন্দিকে ১৯১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তার সঙ্গী ও ছাত্র [[হুসাইন আহমদ মাদানি]] এবং উজাইর গুল পেশোয়ারির সাথে মক্কার [[আলী বিন হুসাইন|শরিফ হুসাইন]] গ্রেপ্তার করেন, যিনি তুর্কিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ব্রিটিশদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন।{{Sfn|ওয়াস্তি|২০০৬|p=৭১৫}}{{Sfn|ত্রিভেদী|১৯৮২|p=৬৫৯}} এরপর শরিফ তাদেরকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেন এবং [[মাল্টা|মাল্টার]] [[ভারডালা দুর্গ|ভারডালা দুর্গে]] তাদের কারারুদ্ধ করা হয়।{{Sfn|দেওবন্দি|২০১৩|p=৬১}}<ref name="নাখুদা">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=নাখুদা |প্রথমাংশ১=ইসমাইল |শিরোনাম=হোয়ার ওয়্যার ইন্ডিয়ান মুসলিম স্কলার’স ইন্টার্নড ইন মাল্টা? |ইউআরএল=https://www.basair.net/where-were-indian-muslim-scholars-interned-in-malta/ |প্রকাশক=বাসাইর |সংগ্রহের-তারিখ=৩০ জুলাই ২০২১}}</ref>