ঘটোৎকচ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
{{context}} ট্যাগ যোগ করা হয়েছে (টুইং)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{context|date=সেপ্টেম্বর ২০২১}}
[[File:Bhimsen and Ghatotkach.jpg|thumb|বাম |ভীম ও ঘটোৎকচ]]
'''ঘটোৎকচ''' ভারতীয় মহাকাব্য [[মহাভারত|মহাভারতের]] একটি চরিত্র। ইনি হস্তিনাপুরের রাজা পাণ্ডুর দ্বিতীয় পুত্র [[ভীম|ভীমের]] রাক্ষস স্ত্রী [[হিড়িম্বা]]র গর্ভজাত পুত্র। ঘটোৎকচ হিড়িম্বাপুরের (বৰ্তমানে [[ডিমাপুর]]) রাজা ছিল। তাকে আসামের [[বড়ো-কাছাড়ি জনগোষ্ঠী|কাছারি]]রা নিজেদের পূৰ্বপুরুষ বলে। [[কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ]]তে তিনি [[পাণ্ডব]] পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পাণ্ডব পক্ষের একজন গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধে তিনি [[কৌরব]] পক্ষে যথেষ্ট আতংকের সৃষ্টি করেন। চতুর্দশ রাতে কৌরব সেনাবাহিনীর ব্যাপক ধ্বংস সাধন করেছিলেন। ঘটোৎকচ অলম্বুশের মতো অনেক অসুরকে হত্যা করেছিলেন। অবশেষে তিনি [[কর্ণ|কর্ণের]] হাতে [[অর্জুন]]কে বধের জন্য রাখা একাঘ্নি অস্ত্রে প্রাণ হারান।<ref name="সোনার আসাম">{{cite book | title=সোনার আসাম | publisher=খগেন্দ্ৰনারায়ণ দত্ত বড়ুয়া, লয়ার্স বুক ষ্টল | author=ভূপেন্দ্ৰ নাথ চৌধুরী | chapter=পুরাণ যুগের কামরুপের অন্য রাজা | year=১৯৯৫ | pages=১৪, ১৫}}</ref>
 
[[চিত্র:Gathotkaca-paraga.png|right|thumb|জাভার ছায়ানাটকে ঘটোৎকচের চিত্রায়ণ]]
==পরিবার==
'''ঘটোৎকচ''' ভারতীয় মহাকাব্য [[মহাভারত|মহাভারতের]] একটি চরিত্র। ইনি হস্তিনাপুরের রাজা পাণ্ডুর দ্বিতীয় পুত্র [[ভীম|ভীমের]] রাক্ষস স্ত্রী [[হিড়িম্বা]]র গর্ভজাত পুত্র। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় ইনি [[কর্ণ|কর্ণের]] হাতে প্রাণ হারান।
ঘটোৎকচের স্ত্রী অহিল্বতি । তিনি অঞ্জনপর্বন, বর্বরিক এবং মেঘবর্ণের জনক। তার দ্বিতীয় পুত্র অঞ্জনপর্বনও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। [[কাছাড়ি রাজ্য|ডিমাসা রাজ্যের]] রাজপরিবার নিজেদের ঘটোৎকচের বংশধর বলে।
[[File:Bhimsen and Ghatotkach.jpg|thumb|বাম |ভীম ও ঘটোৎকচ]]
== কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ==
 
==ক্ষমতা==
তিনি মায়ের দিক থেকে অর্ধ-রাক্ষস ছিলেন। ফলে তার বিভিন্ন যাদুকরী ক্ষমতা ছিল যেমন উড়ার ক্ষমতা, আকার বৃদ্ধি বা হ্রাস এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া।ঘটোৎকচের অস্ত্র ছিল গদা।
 
== কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ==
ঘটোৎকচ তাঁর রাক্ষস সৈন্যদলসহ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তাঁর পুত্র অঞ্জনপর্বনও তাঁর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
 
=== ভীষ্ম পর্ব ===
 
যুদ্ধের তৃতীয় দিনে ঘটোৎকচ কৌরব যুবরাজ [[দুর্যোধন]]কে পরাজিত করেন। চতুর্থ দিনে ঘটোৎকচের সঙ্গে প্রাগজ্যোতিষ (বর্তমান [[আসাম]]) রাজ্যের রাজা ভগদত্তের তীব্র যুদ্ধ হয়, কিন্তু সূর্যাস্ত হয়ে যাওয়ায় জয়-পরাজয় ব্যতিরেকেই যুদ্ধ সমাপ্ত হয়। পরবর্তীতে সপ্তম দিনে ভগদত্ত ঘটোৎকচকে দ্বৈরথ যুদ্ধে পরাজিত করেন। অষ্টম দিনে ঘটোৎকচ [[দ্রোণাচার্য]], [[অশ্বত্থামা]], [[দুর্যোধন]], [[জয়দ্রথ]]সহ বহু কৌরব মহারথীকে পরাজিত করেন।
 
=== দ্রোণ পর্ব ===
 
যুদ্ধের চতুর্দশ দিনে সূর্যাস্তের পরও যুদ্ধ চলছিল। রাত্রিতে রাক্ষসদের শক্তি বেড়ে যায় বলে এসময় ঘটোৎকচ অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। কৌরবপক্ষ অবলম্বনকারী দুই রাক্ষস অলম্বুশ ও অলায়ুধ ঘটোৎকচের হাতে নিহত হন। এরপর ঘটোৎকচ [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] নির্দেশে [[কর্ণ]]কে আক্রমণ করেন। ঘোরতর যুদ্ধের পর কর্ণ দেবরাজ ইন্দ্রের একাঘ্নী অস্ত্র ঘটোৎকচের দিকে নিক্ষেপ করলে এর আঘাতে ঘটোৎকচ নিহত হন। কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে ঘটোৎকচ বিশালাকার ধারণ করায় তাঁর শব কৌরব সৈন্যবাহিনীর ওপরে পতিত হয় এবং এক অক্ষৌহিণী সৈন্য নিহত হয়।
 
== বহিঃসংযোগ ==
==মন্দির==
*উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াতে একটি মন্দির আছে যেখানে মহাভারতের যুদ্ধে কর্ণ কর্তৃক নিহত হওয়ার পর তার মাথা পড়ে যায়।
*হিড়িম্বা দেবী মন্দিরের কাছে হিমাচল প্রদেশের মানালিতে ঘটোৎকচকে সম্মান জানাতে নির্মিত একটি মন্দির রয়েছে।
*ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভায় ৭ম শতাব্দীর একটি প্রাচীন হিন্দু ঘটোৎকচ মন্দির আছে।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Ghatotkacha}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:মহাভারতের চরিত্র]]
[[বিষয়শ্রেণী:আসামের ইতিহাস]]