শারদা (অভিনেত্রী): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
১৪ নং লাইন:
| predecessor =
| successor =
| party = [[তেলেগুতেলুগু দেশম পার্টি]]
| occupation = অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ
| yearsactive = ১৯৫৯–বর্তমান
২৩ নং লাইন:
}}
 
'''শারদা''' (জন্ম: '''সরস্বতী দেবী''', ২৫ জুন ১৯৪৫) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ। তিনি মালয়ালম ও তেলেগুতেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন।<ref name="কুমার-২০১৬">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thehindu.com/features/cinema/%E2%80%98I-always-enjoyed-my-work-in-Malayalam%E2%80%99/article14425855.ece|শিরোনাম=‘I always enjoyed my work in Malayalam’|প্রথমাংশ=পি. কে. অজিত |শেষাংশ=কুমার |প্রকাশক=[[দ্য হিন্দু]] |তারিখ=১৬ জুন ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ মে ২০১৯ |ভাষা=en}}</ref> তিনি ''তুলাবরম'' (মালয়ালম), ''স্বয়মবরম'' (মালয়ালম) ও ''নিমজ্জনম'' (তেলেগুতেলুগু) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার [[শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] অর্জন করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের জন্য তিনি '''ঊর্বশী শারদা''' নামেও পরিচিত, কারণ পূর্বে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঊর্বশী পুরস্কার নামে প্রদান করা হত। এছাড়া তিনি দুটি [[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ]] অর্জন করেছেন এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য অন্ধ্র প্রদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এনটিআর জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।<ref name="চেলেঙ্গাড়-২০১৫">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thehindu.com/features/metroplus/reeltime-column-actor-sharada/article6775439.ece|শিরোনাম=The actor with a golden touch|প্রথমাংশ=সাজু |শেষাংশ=চেলেঙ্গাড় |প্রকাশক=[[দ্য হিন্দু]] |তারিখ=১১ জানুয়ারি ২০১৫ |সংগ্রহের-তারিখ=১৭ মে ২০১৯ |ভাষা=en}}</ref>
 
==প্রারম্ভিক জীবন==
শারদা ১৯৪৫ সালের ২৫শে জুন [[অন্ধ্র প্রদেশ]]ের টেনালি শহরে এক তাঁতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম সরস্বতী। তার পিতা ভেঙ্কটেশ্বর রাও ও মাতা সত্যবতী দেবী।<ref name="চেলেঙ্গাড়-২০১৫"/> তার এক ভাই রয়েছে, তার নাম মোহন রাও। শারদাকে শৈশবে মাদ্রাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয় তার দাদী কানাকাম্মার সাথে থাকার জন্য। শারদা তার দাদীকে "কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলা ব্যক্তি" বলে বর্ণনা করে, যিনি পরবর্তী সময়ে "নায়কদের তাকে [শারদা] ছুঁতে দিত না" এবং "শুধু রবিবারে রিহার্স করতে দিত"। শারদার বয়স যখন ছয় তখন থেকে তিনি নাচতে শিখেন। তিনি নবরাত্রিতে এবং মন্দিরের অন্যান্য অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতেন। তার মায়ের ইচ্ছাতেই তিনি নৃত্য শিখেন। তার মা চাইতেন তিনি "চলচ্চিত্রাঙ্গনে বড় তারকা" হবেন। যদিও তার পিতা এতে আগ্রহী ছিলেন না, তবে তিনি তার নাচ শিখায় বাধা দেননি। শারদা তেলেগুতেলুগু অভিনেতা [[চালাম]]কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বর্তমানে শারদা তার ভাইয়ের সাথে চেন্নাইয়ে বসবাস করছেন।
 
==কর্মজীবন==
শৈশবে তিনি তেলেগুতেলুগু মঞ্চে কাজ করতেন। তেলেগুতেলুগু চলচ্চিত্র ''কন্যাসুলকম''-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Sharada goes down the memory lane! |ইউআরএল=https://www.telugucinema.com/Sharada-goes-down-memory-lane |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ মে ২০১৯ |কর্ম=তেলেগুতেলুগু সিনেমা |তারিখ=৭ জুন ২০১৬ |ভাষা=en |আর্কাইভের-তারিখ=১৮ মে ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190518101511/https://www.telugucinema.com/Sharada-goes-down-memory-lane |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> তিনি পুনরায় মঞ্চাভিনয়ে ফিরে যান এবং তামিল নাটক ''রক্ত কান্নেরু''-এর তেলেগুতেলুগু সংস্করণে অভিনয় করেন। নাটকটি [[তামিলনাড়ু]]তে ১০০ বারের অধিক মঞ্চস্থ হয়।
 
১৯৫৯ সালে তিনি শারদা নামে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার নাম পরিবর্তনের কারণ ছিল সে সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পে সরস্বতী নামে একাধিক অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি তেলেগুতেলুগু প্রযোজক এল. ভি. প্রসাদের অধীনে কাজ শুরু করেন। যদিও তিনি তার কোন চলচ্চিত্রে কাজ করেননি, তিনি তার অধীনে নবরস পাঠসহ অভিনয়ের আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে তিনি অভিনয়ের অধিক দক্ষতা ও উন্নতি লাভ করেন। তার প্রথম সফল কাজ ছিল আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের সাথে ''ইদ্দারু মিত্রুলু'' (১৯৬১) চলচ্চিত্রে। ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং এই ছবিতে তার কাজের সফলতার ধারাবাহিকতায় তিনি কন্নড়, তামিল ও মালয়ালম চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পান। এই সময়ে তিনি তেলেগুতেলুগু ভাষার ''আত্ম বন্ধবু'' (১৯৬২), ''তবুত্তুভুলু'' (১৯৬৩) ও ''মুরালি কৃষ্ণ'' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করেন।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬"/>
 
১৯৬৩ সালে ''কুঙ্গুমম'' চলচ্চিত্র দিয়ে তার তামিল চলচ্চিত্রে ও ''বাল্মিকী'' দিয়ে কন্নড় চলচ্চিত্রে এবং ১৯৬৫ সালে ''ইন্নাপ্রভুগাল'' চলচ্চিত্র দিয়ে শারদার মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।<ref name="নিউজ-মিনিট-২০১৭">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Veteran actor Sharada selected for Prem Nazir award |ইউআরএল=https://www.thenewsminute.com/article/veteran-actor-sharada-selected-prem-nazir-award-66295 |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ মে ২০১৯ |কর্ম=দ্য নিউজ মিনিট |তারিখ=৫ আগস্ট ২০১৭ |ভাষা=en}}</ref> একই বছর তিনি পি. ভেনু পরিচালিত ''শকুন্তলা'', ''মুরাপ্পেন্নু'', ও ''উদ্যোগস্থ'', এবং ''কাত্তু তুলাসি'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফল হন। পরবর্তী কালে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রেই বেশি নজর দেন এবং অন্য ভাষায় চলচ্চিত্রে কাজ কমিয়ে দেন। ১৯৬৭ সালে ''ইরুত্তিন্তে আথমাভু'' চলচ্চিত্রসহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য তিনি জাতীয় সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। এই পুরস্কারটি ১৯৬৮ সালে প্রবর্তিত [[শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের]] পূর্বসূরি হিসেবে অভিহিত। ১৯৬৯ সালে তিনি মালয়ালম ভাষার ''তুলাবরম'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।<ref name="কুমার-২০১৬"/> এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে তিনি পরবর্তী কালে বলেন, "আমি ভাবিনি যে বিজয়া চরিত্রে অভিনয় করে এতটা খ্যাতি অর্জন করব। আমি খুবই হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি এবং ''তুলাবরম'' ছবির শুটিংকালে প্রচুর হাসতাম, এমনকি কয়েকটি খুব-গম্ভীর দৃশ্যের ফাঁকেও।"<ref name="কুমার-২০১৬"/> ''তুলাবরম'' ছবিটি তামিল ভাষায় ''তুলাবরম'', তেলেগুতেলুগু ভাষায় ''মানুশুলু মারালি'' এবং হিন্দি ভাষায় ''সমাজ কো বদল ডালো'' নামে পুনর্নির্মিত হয়। সবকয়টি চলচ্চিত্রে তিনি তার অভিনীত মূল চরিত্রে অভিনয় করেন।<ref name="কুমার-২০১৬"/> তেলেগুতেলুগু ও হিন্দি সংস্করণ দুটি ব্যবসাসফল হয়।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬"/>
 
১৯৭০ সালে ''ত্রিবেণী'' ও ''তারা'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে [[কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার]] অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে তার অভিনীত ''কালাম মারিন্ডি'' ছবিটি নারী ভক্তদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬"/> তিনি মালয়ালম ভাষার ''স্বয়মবরম'' (১৯৭২) ও তেলেগুতেলুগু ভাষার ''নিমজ্জন্ম'' (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।<ref name="চেলেঙ্গাড়-২০১৫"/>
 
''চান্দা সাসানুডু'' (১৯৮৩) চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি তেলেগুতেলুগু চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন এবং এই ধারাবাহিকতায় ''আনাসুয়াম্মা গারি আল্লুডু'' (১৯৮৬), ''প্রতিধ্বনি'' (১৯৮৬) ও ''জগন্নাথকম'' (১৯৯১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬"/>
 
১৯৯৩ সালের পরে তিনি চলচ্চিত্র নির্বাচনের ব্যাপারে সচেতন হয়ে পড়েন এবং অল্পসংখ্যক চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। পরবর্তী কালে তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল মালয়ালম ভাষার ''মাজাতুল্লিক্কিলুক্কাম'' (২০০২), ''রাপ্পাকাল'' (২০০৫), ও ''নায়িকা'' (২০১১) এবং তেলেগুতেলুগু ভাষার ''স্টালিন'' (২০০৬)। তাকে সর্বশেষ মালয়ালম চলচ্চিত্র ''আম্মাক্কুরু তালাত্তু'' (২০১৫)-এ দেখা যায়।<ref name="নিউজ-মিনিট-২০১৭"/>
 
==ব্যক্তিগত জীবন==
শারদা ২২ বছর বয়সে অভিনেতা [[চালাম]]কে বিয়ে করেন। তিন বছর পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তী কালে তিনি ১৯৭৫ সালে একজন মালায়লি ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এই বিয়েও বিবাহবিচ্ছেদে গড়ায়। তার কোন সন্তান-সন্ততি নেই এবং তার ভাই ও বোনের সন্তানদের নিজের সন্তানের মত লালনপালন করেছেন।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬"/>
 
তিনি লোটাস চকোলেট নামে একটি চকোলেট ফ্যাক্টরির মালিক। তিনি তার নিজ জেলা টেনালি থেকে [[তেলেগুতেলুগু দেশম পার্টি]] থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name="তেলেগুতেলুগু-সিনেমা-২০১৬"/>
 
==পুরস্কার==
৫০ নং লাইন:
* ১৯৬৮: [[শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী]] - ''তুলাভরম'' (মালয়ালম)
* ১৯৭২: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - ''স্বয়মভরম'' (মালয়ালম)
* ১৯৭৭: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - ''নিমজ্জনম'' (তেলেগুতেলুগু)
;[[কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার]]
* ১৯৭০: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - ''ত্রিবেণী'' ও ''তারা''