পৃষ্ঠাকে '{{স্বয়ংক্রিয় সংগ্রহশালা |max-day=30 |current-index = 2 |archive-size=88000 |বার্তা-প্রদর্শন=না }}{{আলাপ:প্রধান পাতা/শীর্ষ}}' দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হল
বাংলাদেশ এর ধান নদী খাল বেষ্টিত প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বিভাগীয় শহর/মহানগর [http://বরিশাল http://www.barisal.gov.bd/] সদরে ১৯৯৫ সালের ০৪ নভেম্বর এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন নাজমুল হাসান সুমন। বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও আঞ্চোলিকভাবেও তিনি আহনাফ নাজমুল নামে অধিক পরিচিত। আহনাফ নাজমুল এর পিতা মোঃ কামাল হোসেন একজন সরকারী চাকুরিজিবী। ব্যাক্তিজীবনে নাজমুল রা দুই ভাই ও বাবা মা নিয়েই সমৃদ্ধ ও সুখি পরিবার ছিলো। পরবর্তীতে ২০১০ সালে নাজমুল এর বড় ভাই আহসান কামরুল বিয়ে করেন, যেই ঘরে বর্তমানে নেয়ামুল হাসান মুহিত নামে একজন ভাতিজা আছে নাজমুল এর। ২০১৯ সালের ০৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ প্রায় একযুগের সম্পর্কের পরিনতি হিসেবে বিয়ে করেন আহনাফ নাজমুল। যার বিবাহোত্তর সঙ্গবর্ধনা দেয়া হয় ২০২১ সালের ১৪ মার্চ [http://বরিশাল%20ক্লাব%20লিঃ http://www.bdquery.com/barisal-club-limited] এ।
শিক্ষা জীবনে আহনাফ নাজমুল প্রাথমিক পর্যায়ে [http://বরিশাল%20পুলিশ%20লাইন্স https://www.police.gov.bd/en/barisal_range] দোহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এরপর ২০০৫ সালে নগরীর ব্যাপ্টিষ্ট মিশন বালক উচ্চ বদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এবং ২০০৮ সালে [http://বরিশাল%20সরকারি%20মডেল%20স্কুল%20ও%20কলেজ http://www.bmsc.edu.bd/] প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে ৯ম শ্রেনী তে প্রথম ব্যাচ হিসেবে ভর্তি হন। বরিশাল সরকারী মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে সফলতার সাথে ২০১০ সালে এস.এস.সি এবং ২০১২ সালে এইচ.এস.সি পরিক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ঢাকায় চলে যান। সেখানে দীর্ঘ ১ বছর একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরাশোনা করার পর ব্যাক্তিগত কারনে তিনি বরিশাল চলে আসেন এবং পরবর্তী বছর ২০১৩ সালে বরিশালেই [http://জাতীয়%20বিশ্ববিদ্যালয় https://www.nu.ac.bd/] এর অধিনে ইংরেজি তে অনার্স পরাশোনা শুরু করেন। ২০১৮ সালে অনার্স পড়াশোনা সমাপ্ত করে তিনি আইন বিষয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন, এবং বর্তমানে কর্মজীবনের পাশাপাশি আইন পরাশোনা করছেন।
কর্মজীবনে আহনাফ নাজমুল বহুমুখি। ২০১৩ সালে অনার্স পরাশোনার পাশাপাশি টিউশানি করাতেন আহনাফ নাজমুল। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বরিশাল একাডেমি। বরিশাল মহানগরীর প্রানকেন্দ্র ফকির বাড়ী রোডে অবস্থিত এই কোচিং সেন্টারে নগরির বিখ্যাত সব শিক্ষক শিক্ষিকা রা ক্লাস করাতেন। পাশাপাশি রাতেরবেলা সুবিধাবঞ্চিত ও বয়ষ্কদের কে ফ্রি পড়াশোনা ও খাবারের ব্যাবস্থা করে জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা কুড়ায় বরিশাল একাডেমি। এরপর ২০১৬ থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর দিক্ষা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন আহনাফ নাজমুল। পাশাপাশি বড়ভাই আহসান কামরুল এর ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এফ.এন.এফ টেলিকম এর দায়িত্ব কাধে নেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি এফ.এন.এফ অনলাইন নামক ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারী ব্যাবসায় শুরু করেন এবং সেখানে সফলতার সাথে কাজ চালিয়ে যান। ২০১৯ সালে এফ.এন.এফ অনলাইনের সফলতায় ভর করে চালু করেন অনলাইন পন্য বিক্রির ব্যাবসায়, এবং পূর্বের ব্যাবসায়ীক নাম পরিবর্তন করে নতুনভাবে [http://এফ.এন.এফ%20এসোসিয়েটস https://www.facebook.com/fnf.barisal/] নামে ই-কমার্স ব্যাবসায় মনোনিবেস করেন। ২০২০ সালে নাম লেখান ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস ব্যাবসায়। এফ.এন.এফ ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর ব্যানারে বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান আভন্তরীন ও আন্তর্জাতীক বিমান টিকেট বিক্রি ও দেশ বিদেশ এ ট্যুর অপারেট করার কাজ করে যাচ্ছে। ২০২০ এর বিশ্বব্যাপী শুরু হওয়া করোনা মহামারী এর ধাক্কায় যখন সারাদেশের ব্যাবসায়ীক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে ঠিক তখনি আবার অনলাইন এ কাজ করার উপর জোড় দেন আহনাফ নাজমুল। ফলশ্রুতিতে ২০২০ এর শেষের দিকে শুরু করেন [http://নাজমুল'স https://www.facebook.com/nazmulsblog] নামক ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি। বর্তমানে তার এই প্রতিষ্ঠান টি দেশ বিদেশে বিভিন্ন গ্রাহককে তাদের অনলাইন/সোশাল মিডীয়ায় গ্রাফিক্স/কন্টেন্ট ক্রিয়েশন/এস ই ও/মার্কেটিং ও ডিজিটাল ম্যানেজার এর কাজ করে সুনাম অর্জন করে সফলতার পথে। বর্তমানে তার সবগুলো প্রতিষ্ঠান এফ.এন.এফ এসোসিয়েটস এর সাবব্রান্ড হিসেবে নিবন্ধিত।
২৫ বছর বয়সে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ঘারে নিয়ে চলা আহনাফ নাজমুল ছিলেন তার ছোটবেলা থেকেই ব্যাতিক্রম। ২০০৪ সালে পঞ্চম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থা [http://বাংলাদেশ%20স্কাউটস http://www.scouts.gov.bd/] আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তলিপি, সাধারন জ্ঞানে প্রথম স্থান অর্জন করে বিভাগসেরা হয় নাজমুল। এছাড়া পরবর্তীতে বিভিন্ন সঙ্গগঠনের বিভিন্ন পদ ও পুরষ্কারের পাশে নাম লেখান নিজের। ব্যাবসায়ীক ও সামাজিকভাবে সফল হয়ে পরিবার ও সমাজের পাশে দাড়ানোর তীব্র ইচ্ছা তাকে অনুপ্রেরনা যোগায় বলেই বিশ্বাস করেন নাজমুল ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
