রামরাম বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন (ARR)
৪ নং লাইন:
| স্থানীয়_নাম =
| জন্ম_তারিখ = ১৭৫১
| জন্ম_স্থান = [[চুঁচুড়া]], [[হুগলি জেলা]], [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ভারত]]<ref name="ReferenceA">''সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান'', সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু, সাহিত্য সংসদ, কলিকাতা, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪৮২</ref>
| মৃত্যু_তারিখ = ৭ আগস্ট, ১৮১৩
| মৃত্যু_স্থান = [[কলকাতা]], [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ভারত]]
১৪ নং লাইন:
| পুরস্কার =
}}
'''রামরাম বসু''' (১৭৫৭ - ১৮১৩) বাংলা গদ্যসাহিত্যের আদি লেখকদের একজন। অষ্টাদশ শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব। তাঁরতার জন্ম [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[হুগলি জেলা|হুগলি জেলার]] [[চুঁচুড়া|চুঁচুড়ায়]]।<ref name="ReferenceA">''সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান'', সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু, সাহিত্য সংসদ, কলিকাতা, ১৯৭৬, পৃষ্ঠা ৪৮২</ref> তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন ; কিছু ইংরেজিও জানতেন। প্রথম দিকে তিনি ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য আসা মিশনারি পাদ্রীদের বাংলা শেখাতেন। পরে [[ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে]] তিনি মুন্সি ও [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত ভাষার]] সহকারী শিক্ষকের চাকরি পান। তাঁরতার রচিত ''[[প্রতাপাদিত্য|রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত]]'' বাঙালির লেখা প্রথম বাংলা মৌলিক গদ্যগ্রন্থ ও ছাপাখানায় মুদ্রিত প্রথম বই। বইটি ১৮০১ সালের জুলাই মাসে [[শ্রীরামপুর মিশন প্রেস]] থেকে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া তিনি বাঙালা ভাষায় কয়েকটি খ্রিস্টধর্ম বিষয়ক বই লেখেন, [[রামায়ণ]] ও [[মহাভারত]] সম্পাদনা করেন ও [[উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরিকে]] [[বাইবেল]] অনুবাদে সহায়তা করেন।
 
==কর্মজীবন==
 
১৭৯৩ সালে [[উইলিয়াম কেরি]] কলকাতায় এলে রামরাম বসু কেরির মুনশি নিযুক্ত হন। ১৭৯৫ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে কেরি মালদহ মদনবাটি নীলকুঠির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলে তিনিও সঙ্গে যান। ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন মুদ্রাযন্ত্র ও বাংলা বিদ্যালয় স্থাপন হলে তিনি এই বছরের জুন মাসে নিযুক্ত হন।<ref name = "সংসদ"> সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৬৬৭, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> ১৮০১ সালের ৪ মে রামরাম বসু ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগে দ্বিতীয় পণ্ডিতের পদে মাসিক ৪০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রামরাম বসু অনুবাদ ও সাহিত্য রচনা করেছেন। 'গসপেল মেসেঞ্জার'গ্রন্থটি 'হরকরা' নামে কবিতায় অনুবাদ করেন। পরে এটি ওড়িয়া ও হিন্দিতেও অনূদিত হয়। এরপর ১৮০০ সালে 'জ্ঞানোদয়' ও 'খৃষ্টবিবরণামৃতং' নামে কবিতায় খ্রিষ্টচরিত রচনা করেন। তবে তাঁরতার প্রধান কীর্তি ১৮০১ সালে প্রথম বাংলা গদ্যে রচিত ষোড়শ শতাব্দীর 'বারো ভুঁইয়ার' অন্তর্গত বাঙালি জমিদার প্রতাপাদিত্যের জীবনী - 'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র'। তিনি স্বয়ং রাজা প্রতাপাদিত্যের বংশধর হওয়ার কারণে এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক ও লোকশ্রুতির সমাহার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিপিবদ্ধ করতে পেরেছেন। <ref name="সাহিত্যসঙ্গী">শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, ''সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী'', সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ১৯০,১৯৫ {{আইএসবিএন|978-81-7955-007-9}}</ref> এরপর'লিপিমালা' নামে আর একটি গ্রন্থ। এটিও বাংলা গদ্যে
১৮০২ সালে শ্রীরামপুর থেকে প্রকাশিত হয়।<ref>[[ধনঞ্জয় রায়]]; দিনাজপুর-মালদহের মিশনারী যুগ; বরেন্দ্র সাহিত্য পরিষদ, মালদহ; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪; পৃষ্ঠা-১৮-২০।</ref> রামরাম বসু উইলিয়াম কেরির বাংলা শিক্ষক ছিলেন। তিনি কেরির বাংলা বাইবেলের পরিমার্জনা করেছিলেন ।