কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন (ARR)
২৮ নং লাইন:
==সাহিত্য জীবন ও সাহিত্যকর্ম ==
 
ছাত্রাবস্থাতেই কিরণশঙ্কর লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁরতার কবিতা প্রকাশিত হয় [[বুদ্ধদেব বসু | বুদ্ধদেব বসুর]] "কবিতা" পত্রিকায়। ওই বছরেই 'পরিচয়' পত্রিকায় কবিতা ও ঢাকার সাপ্তাহিক 'সোনার বাংলা' য় তাঁরতার প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাঁরতার লেখা গল্প প্রকাশিত হয় 'অগ্রগতি' ও 'স্বদেশ' পত্রিকায়। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত তাঁরতার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "স্বপ্নসাধনা" য় ভূমিকা লিখেছিলেন [[জীবনানন্দ দাশ|কবি জীবনানন্দ দাশ]]। ঢাকা কলেজে বি.এ পড়ার সময় তিনি ঢাকা হলের পত্রিকা 'শতদল' এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৯ - ৪১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা 'শান্তি' র সহ-সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া তিনি [[লীলা রায়| লীলা রায় (নাগ)]] ও অনিল রায়ের পত্রিকা 'জয়শ্রী' সহ অনেক পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাল্যবন্ধু [[সোমেন চন্দ | সোমেন চন্দের]]) আহ্বানে 'ঢাকা প্রগতি লেখক সংঘ'-এ যোগ দেন এবং আজীবন যুক্ত থাকেন। ঢাকা প্রগতি লেখক সংঘের উদ্যোগে ঢাকা জেলা "সোভিয়েত সুহৃদ সমিতি" গড়ে উঠলে তিনি তার যুগ্ম সম্পাদক হন। এই সমিতি ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে আক্রান্ত সোভিয়েতের উপর সংগৃহীত ছবি, ফটো, শতাধিক পোস্টার ইত্যাদি নিয়ে এক অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এর উদ্বোধন করেছিলেন [[মুহম্মদ শহীদুল্লাহ|ড. মহম্মদ শহীদুল্লাহ]]। এই সমিতি ঢাকায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী সম্মেলনেরও আয়োজন করে। এই সম্মেলনে যোগদানের জন্য রেল শ্রমিকদের একটি শোভাযাত্রা পরিচালনার কালে প্রতিশ্রুতিবান লেখক [[সোমেন চন্দ]] বিরোধীদের নৃশংস ভাবে নিহত হন। এই ঘটনার পরে প্রকাশিত পাক্ষিক 'প্রতিরোধ' পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন তিনি। তাঁরতার সম্পাদনায় 'সাহিত্য চিন্তা' পত্রিকা তাঁরতার মৃত্যুকাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৪৩-৪৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য হন ও সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের দায়িত্ব নেন। পরে অবশ্য সদস্যপদ নবীকরণ করেন নি, তবুও তিনি আত্মগোপনকারী নেতাদের পাকিস্তান আমলে দমন পীড়নের মাঝেও আশ্রয় দিয়েছেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে সোমেন চন্দের মাসিমা বীণা বিশ্বাসকে রেজিস্ট্রি করে বিবাহ করেন এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন এবং [[পশ্চিমবঙ্গ সরকার |পশ্চিমবঙ্গ সরকারের]] পুনর্বাসন দপ্তরে কাজ নেন। বন্ধু সোমেন চন্দের বন্ধুত্ব, সাহিত্য ও আত্মত্যাগ কিরণশঙ্করকে আজীবন আচ্ছাদিত করে রেখেছিল। পশ্চিমবঙ্গে তাঁরইতারই প্রচেষ্টায় [[পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি]] থেকে 'সোমেন চন্দ স্মৃতি পুরস্কার' প্রদান সম্ভব হয়। তাঁরতার উদ্যোগে এবং পবিত্র সরকারের সম্পাদনায় [[পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি]] থেকে "সোমেন চন্দ গল্প সংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে। কিরণশঙ্করের বহু কবিতা ইংরাজী ও বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং তিনি নিজেও ইংরাজী হতে বিভিন্ন দেশের কবিতা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। তাঁরতার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল-
* ''স্বর ও অন্যান্য কবিতা'' (১৯৫৩)
* ''মানুষ জীবন'' (১৯৫৪)