ললিতা রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারীবাদী যোগ
সম্প্রসারণ
৪ নং লাইন:
 
==জীবনী==
ললিতা রায় ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ব্যারিস্টার এবং পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক পিয়ার[[পিয়ারীলাল লাল রায়কেরায়]]কে বিয়ে করেন। তাদের ছয় সন্তান: লীলাবতী, মীরাবতী, পরেশ[[পরেশলাল লালরায়|পরেশলাল]], হীরাবতী, ইন্দ্র[[ইন্দ্রলাল লালরায়|ইন্দ্রলাল]] এবং ললিত কুমার। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে রায় ও তার সন্তানেরা পশ্চিম লন্ডনে বসবাস শুরু করে।
 
লন্ডনে থাকাকালীন ললিতা রায় ভারতীয়দের জন্য একাধিক সামাজিক এবং কর্মী সমিতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি লন্ডন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন সোসাইটির সভাপতি এবং ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন (১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে [[মেরি কার্পেন্টার]] দ্বারা প্রতিষ্ঠিত) কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। লন্ডন ইউনিয়ন সোসাইটি লন্ডনে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাহায্য করতো। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইন্ডিয়ান উইমেনস এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্য করেছিলেন, যা ভারতীয় মহিলাদের ব্রিটেনে শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল।
১১ নং লাইন:
<blockquote>সেই সময়ে মহিলাদের ভোটাধিকার আন্দোলনের জন্য যারা লড়াই করছিল, তারা এই আন্দোলনকে একটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। সেই সময়ে লন্ডনে অল্প সংখ্যক ভারতীয় মহিলা ছিলেন। আমার কথা শুনে তারা আমাকে পিকাডিলি সার্কাসে তাদের বিক্ষোভে যোগ দিতে এবং মিসেস পঙ্কহার্স্টের নেতৃত্বে তাদের সাথে মিছিল করে সংসদ ভবনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাঠায়। এটি আমার জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল, একই সাথে মিছিলের মধ্যে একক ভারতীয় মহিলার জন্য এটি একটি অভিনব দৃশ্য ছিল। আমি ছিলাম জনসাধারণের কেন্দ্রদৃষ্টিতে।</blockquote>
 
সমাজতান্ত্রিক, নারী অধিকার আন্দোলনকারী এবং থিওসফিস্ট [[অ্যানি বেসান্ত]]ও ভারতীয় আন্দোলনকারী সঙ্গে মিছিলে যোগদান করেছিলেন।
 
১৯১২-১৩ খ্রিস্টাব্দে ললিতা রায় লন্ডন এবং কেমব্রিজে বেশ কয়েকটি ভারতীয় নাটকের প্রযোজনায় সহায়তা করেছিলেন, পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং নাট্যাভিনেতাদের পাগড়ি এবং শাড়ির মতো ঐতিহ্যবাহী পোশাক দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
 
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, ললিতা রায়ের দুই পুত্র সক্রিয় দায়িত্ব পালন করেন। তার বড় ছেলে [[পরেশলাল রায়]] যুদ্ধের সময় [[অনারেবল আর্টিলারি কোম্পানি]]তে চাকরি করেছিলেন। ১৯২০-এর দশকে ভারতে ফিরে আসার পর তিনি বক্সিং খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার মেঝ ছেলে, [[ইন্দ্রলাল রায়]] (১৮৯৮-১৯১৮) রয়েল ফ্লাইং কর্পসে যোগদান করেন। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র ভারতীয় বৈমানিক। ললিতা রায় ইস্টার্ন লিগের অনারারি সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা ভারতীয় সৈন্যদের তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ, ভারতীয় সৈন্যদের পোশাক, খাদ্য এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে অন্যান্য [[নারীবাদী]]দের সঙ্গে ললিত রায় একটি 'মহিলা দিবস' আয়োজন করতে সাহায্য করেছিলেন, যেখানে অর্থ সংগ্রহের জন্য লন্ডনের হেইমার্কেটে জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়েছিল।
 
==তথ্যসূত্র==