তারা (রামায়ণ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সত্য অপলাপ (আলোচনা | অবদান)
লিঙ্কের পরামর্শ: ৪টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
১৫ নং লাইন:
সুগ্রীব বালীকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করলে তারা বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের মাধ্যমে বালীকে তা প্রত্যাখ্যান করার কথা বলেন; এর কারণ হিসাবে তিনি সুগ্রীবের সঙ্গে রামের (ভগবান [[বিষ্ণু]]র অবতার ও রামায়ণের নায়ক) মিত্রতার কথা জানান। কিন্তু, বালী তার কথা অগ্রাহ্য করেন এবং সুগ্রীবের ছলনায় রামের নিক্ষিপ্ত তীরে বালীর মৃত্যু ঘটে। মূল রামায়ণ কাহিনী এবং এর অধিকাংশ সংস্করণেই তারার বিলাপ গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ফুটে উঠেছে। তবে অধিকাংশ দেশীয় ভাষার অনূদিত সংস্করণে, তারার নিজ সতীত্বের বলে রামকে অভিশাপ দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কিছু সংস্করণে, রাম তারার জ্ঞানচক্ষু উন্মোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
 
[[সুগ্রীব]] রাজসিংহাসন ফিরে পেয়ে হৈ-হল্লায় ও মদ্যপানে মেতে রাবণ কর্তৃক অপহৃত রামের স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারকল্পে রামকে প্রতিশ্রুত সহায়তায় অসমর্থ হন। সুগ্রীবের অনুমিত বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিস্বরূপ রামের ভাই [[লক্ষ্মণ]] কিষ্কিন্ধ্যা ধ্বংস করতে উদ্যত হলে তারা (বর্তমানে সুগ্রীবের রাণী ও প্রধান [[কূটনীতিবিদ]]) লক্ষ্মণকে শান্ত করেন এবং রামের সাথে কৌশলে সুগ্রীবের পুনর্মিলন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। এই ঘটনার পর, তারা একবারমাত্র সুগ্রীবের রাণী এবং অঙ্গদের মা হিসাবে, যখন কাহিনিটি কিষ্কিন্ধ্যা থেকে [[লঙ্কা]]য় সীতার উদ্ধারে চরম পরিণতিমূলক যুদ্ধে মোড় নেয়, প্রসঙ্গক্রমে উল্লিখিত হয়েছেন।
তারার বুদ্ধিমত্তা, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, নির্ভীকতা এবং স্বামী বালীর প্রতি তার ভক্তি মহিমান্বিত হয়। তাকে [[পঞ্চকন্যা]]র (''পাঁচজন (পবিত্র) নারী'') একজন হিসাবে উচ্চপ্রশংসা করা হয়, যাঁদের নাম আবৃত্তি করলে পাপ দূরীভূত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
==জন্ম ও প্রথম জীবন==
''রামায়ণে'', তারা বানরবৈদ্য সুষেণের কন্যা হিসেবে বালী কর্তৃক সম্বোধিত হয়েছেন।<ref name = "Mani"/><ref name="Bhattacharya"/> কখনও কখনও, রামায়ণের প্রথম গ্রন্থ [[বাল কাণ্ড|বাল কাণ্ডের]] [[সর্গ]]গুলিতে, প্রধান বানরগণের বিভিন্ন দেব-দেবীর দ্বারা সৃষ্ট হওয়ার বর্ণনা যোগ করা হয়: বালী এবং সুগ্রীবকে যথাক্রমে দেবরাজ [[ইন্দ্র]] ও সূর্য-দেবতা [[সূর্য (দেবতা)|সূর্য্যের]] পুত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে; যেখানে তারাকে [[বৃহস্পতি (দেবতা)|দেবগুরু বৃহস্পতির]] কন্যা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।<ref>Goldman p. 316</ref>
দ্বাদশ শতাব্দীর [[তামিল ভাষা|তামিল]] ''রামাবতারম্'' এবং [[তেলুগু ভাষা|তেলুগু]] ''রঙ্গনাথ রামায়ণে'' বলা হয়েছে যে, অমরত্বদায়ী সুধা ([[অমৃত]]) অর্জনের উদ্দেশ্যে দেবতা এবং অসুরদের দ্বারা সমুদ্র মন্থনের সময় [[ক্ষীরসমুদ্র]] থেকে অন্যান্য [[অপ্সরা]]দের সঙ্গে তারা ও রুমা উত্থিত হন।<ref name = "Mani">Mani p. 786</ref><ref name="Bhattacharya"/> [[কেরালা]]র [[থেইয়াম]] নাট্যঐতিহ্যে, দেবতাগণ ক্লান্ত হয়ে পড়ে বালীকে মন্থনে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেন। বালী মন্থন আরম্ভ করা মাত্র, তারা সমুদ্রের থেকে উঠে আসেন এবং এভাবে বালী তারাকে উপহাররূপে লাভ করেন।<ref>Freeman pp. 197–8</ref>
 
৩০ নং লাইন:
সব সংস্করণে, বালীর সাথে তারার বিবাহ থেকেই [[অঙ্গদ|অঙ্গদের]] জন্ম হয়।<ref name="Bhattacharya"/><ref name="wayang"/>
 
রামায়ণে, বালী একটি গুহার মধ্যে দৈত্য মায়াবীর সাথে যুদ্ধ করতে যান এবং সুগ্রীবকে নির্দেশ দেন যে, গুহা থেকে রক্ত প্রবাহিত হলে গুহার দরজা বন্ধ করে দিতে ( তিনি মারা গেছেন ভেবে নিয়ে), কিন্তু যদি [[দুধ]] বেরোতে থাকে, সেটা ইঙ্গিত করবে যে মায়াবী মৃত। যুদ্ধের এক বছর পর, মৃতপ্রায় দৈত্য জাদু দ্বারা তার দুধের মত রক্তের রং লালে পরিবর্তন করে। সুগ্রীব বালীকে মৃত ভেবে নিয়ে গুহার একমাত্র প্রবেশপথটি বন্ধ করে দেন। এছাড়াও সুগ্রীব বালীর "বিধবা পত্নী" তারাকে ভোগদখল করেন, যা কখনও কখনও বিবাহ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়। <ref name = "Mukherjee"/> বালী ফিরে আসার পর, সুগ্রীবের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে তিনি সুগ্রীবকে নির্বাসিত করেন এবং তারাকে পুনরায় লাভ করা ছাড়াও প্রতিশোধ চরিতার্থ করতে সুগ্রীবের স্ত্রী রুমাকে আটক করেন।<ref name = "Mukherjee"/><ref>Lefeber pp. 42, 157</ref> যদিও রুমার স্বামী জীবিত থাকাকালীন বালীর তাকে অধিকারভুক্ত করার কাজটি সার্বজনীনভাবে রামায়ণ টিকাকারদের দ্বারা সমালোচিত হয়, তারা সুগ্রীবের তারাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন, যেহেতু সুগ্রীব বিশ্বাস করতেন যে তারা বিধবা।<ref>Lefeber p. 243</ref>
 
ওয়ায্যাং-এর বিভিন্নতায়, বালী (সুবালী) গুহায় কিষ্কিন্ধ্যার দৈত্য শাসক-ভ্রাতৃদ্বয় যাতাসুর এবং লেম্বুসুর এর সঙ্গে লড়াইয়ে যান। অনুরূপভাবে রামায়ণে, সুগ্রীব (সুগ্রীওয়া) বালীকে মৃত অনুমান করেন। দেবতাগণ সুগ্রীবকে মুকুট পরিয়ে কিষ্কিন্ধ্যার রাজারূপে অভিষিক্ত করেন এবং তার "মৃত" ভাইকে সহযোগিতা করার একটি পুরস্কার হিসাবে তারাকে প্রদান করেন। বালী ফিরে আসেন এবং রাবণের উস্কানিতে তারা ও রাজ্যটি দখল করেন। <ref name="wayang"/>