রবীন চট্টোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন:
|honorific_suffix=
}}
'''রবিন চট্টোপাধ্যায়''' ছিলেন একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক যিনি প্রায় ৯০ টির বেশি চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে জনপ্রিয় সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। রবিন চট্টোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের চলচ্চিত্র পরিণীতার সঙ্গীত রচনা থেকে শুরু করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে গোধূলী, বিপাশা, সাগরিকা, কমললতা, দ্বীপের নাম টিয়া রং ইত্যাদি চলচ্চিত্রে সুন্দর চিরসবুজ গানগানের সুর রচনা করেছিলেন।
 
==সঙ্গীত জীবন==
রবিন চট্টোপাধ্যায় বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হিন্দুস্তানি সঙ্গীত কোম্পানিতে সঙ্গীত পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন, তার আগে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ১৯৪২ সালের চলচ্চিত্র পরিণীতার মাধ্যমে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ এবং গানগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। রবিন চট্টোপাধ্যায়তিনি বাংলা এবং হিন্দি ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনেক নেপথ্য কণ্ঠশিল্পীর সাথে কাজ করেছিলেন।
 
রবিন চট্টোপাধ্যায় ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে চলচ্চিত্র পরিচালক অগ্রদূতের সাথে বেশির ভাগ সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছিলেন এবং তাদের কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে -
* সবার উপরে (১৯৫৫) - চলচ্চিত্রটির গানগুলির মধ্যে ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া "ঘুম ঘুম চাঁদ" এবং ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের গাওয়া "কাঁটারও আঘাতে চিহ্ন পায়ে রক্ত ঝরে" গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
* পথে হলো দেরি (১৯৫৭) - সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া এবং রবিন চট্টোপাধ্যায়েরতাঁর সুরে জনপ্রিয় গানগুলি হল "এ শুধু গানের দিন", " এই ছায়া ঘেরা লগণে আজ কে ডাকে আমার" এবং "তুমি না হয় রহিতে কাছে"।
* লালু ভুলু (১৯৫৯) - চলচ্চিত্রের সমস্ত গানগুলি মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় গেয়েছিলেন, যার মধ্যে "এই প্রাণ ঝরনা জাগল" , "দুঃখ আমার শেষ করে দাও" , " দুঃখের পথে নামলি যদি" , "আকাশ মোর আলোয় দিয়েছো ভোরে", "যার হিয়া আকাশের" এবং "সূর্য তোমার সোনার তোরণ" ।
* বিপাশা (১৯৬২) - চলচ্চিত্রে তাঁর সুরে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান "ক্লান্তির পথ বুঝিরা ফুরালো", এবং "আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি"।
* বিপাশা
 
১৯৫৫ সালে, তিনি গোধুলী চলচ্চিত্রের জন্য সুর করেছিলেন তার মধ্যে একটি গান ছিল "পিয়া পিয়া পিয়া কে ডাকে আমারে"। ১৯৫৭ সালে, তিনি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত সুপারহিট চলচ্চিত্র সাগরিকার জন্য সুর করেছিলেন। সেই ছবিতে শ্যামল মিত্র গান গেয়েছিলেন "আমার স্বপ্নের দেখা রাজকন্যা থাকে" গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
 
এছাড়া তিনি, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যামল মিত্র, আরতি মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, গীতা দত্ত, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, এবং উৎপলা সেনের মতো অনেক বাঙালি গায়ক গায়িকার সঙ্গে কাজ করেছিলেন।
 
==তথ্যসূত্র==