সাবর্ণ রায় চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ব্রিটিশ-সাবর্ণ সম্পর্ক: তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, পরিষ্কারকরণ
সংশোধন
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Sabarna Roy Chowdhury Durga Puja Dalan.JPG|thumb|400px|ঐতিহাসিক সাবর্ণ আটচালা, বড়িশা]]
'''সাবর্ণ রায়চৌধুরী''' বাংলার একটি ঐতিহাসিক [[জমিদার]] পরিবার। ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে এই পরিবার ছিল [[কলকাতা|কলকাতার]] জমিদার। ১৬৯৮ সালের ১০ নভেম্বর [[সুতানুটি]], [[কলিকাতা (গ্রাম)|কলিকাতা]] ও [[গোবিন্দপুর]] গ্রাম তিনটির সত্ত্ব সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে ইজারা নেয় [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]।<ref name="src17src">{{harvnb|রায়চৌধুরী|২০০৬|p=১৭}}</ref> এই পরিবার '''সাবর্ণ চৌধুরী''' পরিবার নামেও পরিচিত।
 
== পারিবারিক ইতিহাস ==
সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের আদিবাস ছিল অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[বর্ধমান জেলা|পূর্ব বর্ধমান জেলার]] আমাটি (আমাটিয়া)৷ এই বংশের ১৯তম পুরুষ পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় আমাটি ত্যাগ করে [[হুগলি জেলা]]র গোহট্ট-গোপালপুরে (গোঘাট) বসতি স্থাপন করেন৷<ref name="src17">{{harvnb|রায়চৌধুরী|২০০৬|p=১৭}}</ref> এই পঞ্চানন গঙ্গোপাধ্যায় (পাঁচু শক্তিখান) পঞ্চদশ শতাব্দীতে [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সাম্রাজ্যের]] পাঠান বাহিনীতে যুদ্ধ কৌশলবিদ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি তাঁর বীরত্বের জন্য ‘খান’ উপাধি লাভ করেন। উক্ত শতাব্দীর মধ্যভাগে হাভেলি শহর বা [[হালিশহর, পশ্চিমবঙ্গ|হালিশহরে]] তিনি একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। হালিশহর থেকেই এই পরিবার পরে [[উত্তরপাড়া কোতরং, হুগলী|উত্তরপাড়া]], [[বিরাটি রেলওয়ে স্টেশন|বিরাটি]] ও [[বড়িশা|বড়িশায়]] ছড়িয়ে পড়ে।<ref name="Patree">{{harvnb|পত্রী|১৯৯৫|p=১৫৪-১৫৫}}</ref><ref name=samaren>{{harvnb|রায়|২০০৫|p=৮}}</ref>
 
এই পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা, বংশের ২১ তম পুরুষ জিয়া গঙ্গোপাধ্যায় ১৫৩৫, মতান্তরে ১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দে [[হুগলি জেলা]]র গোহট্ট-গোপালপুরে জন্মগ্রহণ করেন৷<ref name="sbb">{{harvnb|রায়চৌধুরী|২০০৬|p=২০}}</ref> ইনিই পরবর্তীকালে সন্ত কামদেব ব্রহ্মচারী নামে পরিচিত হন। তাঁর পুত্র লক্ষ্মীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় (মজুমদার) ১৬০৮ সালে [[রাজা মানসিংহ|রাজা মানসিংহের]] কাছ থেকে এক বিরাট ভূসম্পত্তি ''জায়গির'' হিসেবে অর্জন করেন।<ref name="src17"/><ref name=samaren/> ইতিপূর্বে মুঘল সম্রাট আকবর তাঁদের ‘রায়’ ও জাহাঙ্গির তাঁদের ‘চৌধুরী’ উপাধি দিয়েছিলেন। এইরূপে ক্রমে ‘রায়চৌধুরী’ তাঁদের পদবিতে পরিণত হয়। লক্ষ্মীকান্ত হালিশহরে একাধিক মন্দির এবং গোঘাট ও আমাটিয়ায় পারিবারিক বসতবাটী নির্মাণ করেন। শোনা যায়, হালিশহর থেকে বড়িশা পর্যন্ত একটি তীর্থপথও তিনি নির্মাণ করেছিলেন।<ref name = "Patree"/><ref name = "Bandopadhyay">{{harvnb|বন্দোপাধ্যায়|২০০২|p=১-২}}</ref>