রাখাইন রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
Mehediabedin (আলোচনা | অবদান) →ইতিহাস: অপ্রাসঙ্গিক লেখাগুলো বাতিল করা হলো। এছাড়া অনেক লেখার পর্যাপ্ত তথ্যসূত্র ছিলো না। ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৫৭ নং লাইন:
==ইতিহাস==
আরাকান প্রাচীন কালে অবিভক্ত
আরাকান রাজ্যের রাজা বৌদ্ধ হলেও তিনি মুসলমান উপাধি গ্রহণ করতেন।▼
===আরাকান সাম্রাজ্য===
▲আরাকান
আরাকান রাজদরবারে কাজ করতেন অনেক বাঙালি মুসলমান। বাংলার সঙ্গে আরাকানের ছিল গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক। ১৪০৬ সালে আরাকানের ম্রাউক-উ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নরমিখলা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে বাংলার তৎকালীন রাজধানী গৌড়ে চলে আসেন। গৌড়ের শাসক জালালুদ্দিন শাহ নরমিখলার সাহায্যে ৩০ হাজার সৈন্য পাঠিয়ে তাঁকে বিতাড়নকারী বর্মি রাজাকে উত্খাতে সহায়তা করেন। নরমিখলা মোহাম্মদ সোলায়মান শাহ নাম নিয়ে আরাকানের সিংহাসনে বসেন। ম্রাউক-উ রাজবংশ ১০০ বছর আরাকান শাসন করেছে। এর ফলে সেখানে মুসলিম ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, কবি ও শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি পায়। মহাকবি আলাওল রোসাং দরবারের রাজকবি ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন মহাকাব্য পদ্মাবতী। এ ছাড়া সতী ময়না ও লোর-চন্দ্রানী, সয়ফুলমুলক, জঙ্গনামা প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ রচিত হয়েছিল আরাকান রাজদরবারের আনুকূল্যে ও পৃষ্ঠপোষকতায়। এককালে চট্টগ্রামের মানুষ আরাকানে যেত উপার্জনের জন্য। চট্টগ্রাম দীর্ঘ সময় আরাকানের অধীন ছিল। ড. আহমদ শরীফ লিখেছেন, [[চট্টগ্রাম বিভাগ|চট্টগ্রাম]) গোড়া থেকেই সম্ভবত আরাকানী শাসনে ছিল। আর ৯ শতকের শেষপাদে ৮৭৭ অব্দের পূর্বে কোনো সময়ে সমগ্র সমতট আরাকানী শাসনভুক্ত ছিল।<ref>আহমদ শরীফ, চট্টগ্রামের ইতিহাস, পৃষ্ঠা ২৯</ref> ১৫৩১ সালে আরাকানের রাজা জেবুক শাহ পর্তুগিজ নৌসেনাদের সহায়তায় আরাকানে নৌবাহিনী গঠন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, মোগলদের থেকে আরাকানকে রক্ষা করা।
===কোনবাউং রাজবংশ===
১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের আরাকান স্বাধীন রাজ্য ছিল। ১৭৮৫ সালের প্রথম দিকে মিয়ানমারের রাজা ভোধাপোয়া এটি দখল করে বার্মার (মিয়ানমার) করদ রাজ্যে পরিণত করে। আরাকানের পতনকাল শুরু হয় ১৬৬০ সালে আরাকানের রাজা চন্দ্র সু ধর্মা কর্তৃক মোগল রাজপুত্র শাহসুজাকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে আরাকানে বিরাজ করে অস্থিরতা। মাঝখানে শান্তি ফিরে এলেও আরাকানি সামন্ত রাজাদের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়। সে সুযোগে ১৭৮৪ সালে বর্মি রাজা ভোধাপোয়া আরাকান দখলে নেন। ভোধাপোয়ার অত্যাচারে আরাকানের রাজা ঘা থানবি পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে বর্মিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে সিনপিয়ার নেতৃত্বে আরাকান বিদ্রোহ তুঙ্গে পৌঁছে। ১৮১১ সালে সিনপিয়ার বাহিনী রাজধানী ছাড়া গোটা আরাকান দখলে নিলেও পরে পরাজিত হয় বর্মি রাজার সেনাদের কাছে।▼
▲আরাকান প্রাচীন কালে অবিভক্ত বঙ্গদেশের অংশ ছিল ও অতিশয় সমৃদ্ধ প্রদেশ ছিল। পরবর্তীকালে এটি বঙ্গদেশে থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। বাংলার প্রাচুর্যের কারণে যেমন ১৫০০ সালের শুরুতে এখানে ইউরোপীয়দের আগমন ঘটে, তেমনি ১৫০০ ও ১৬০০ সালে আরাকানে পর্তুগিজ ও ওলন্দাজদের আগমন ঘটে। ১৬০০ সালে ওলন্দাজরা আরাকান থেকে দাস ও চাল ক্রয় করত। তারা সেখানে নিয়ে আসত লোহা ও লৌহজাতসামগ্রী।
▲আরাকানের পতনকাল শুরু হয় ১৬৬০ সালে আরাকানের রাজা চন্দ্র সু ধর্মা কর্তৃক মোগল রাজপুত্র শাহসুজাকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে আরাকানে বিরাজ করে অস্থিরতা। মাঝখানে শান্তি ফিরে এলেও আরাকানি সামন্ত রাজাদের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়। সে সুযোগে ১৭৮৪ সালে বর্মি রাজা ভোধাপোয়া আরাকান দখলে নেন। ভোধাপোয়ার অত্যাচারে আরাকানের রাজা ঘা থানবি পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে বর্মিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে সিনপিয়ার নেতৃত্বে আরাকান বিদ্রোহ তুঙ্গে পৌঁছে। ১৮১১ সালে সিনপিয়ার বাহিনী রাজধানী ছাড়া গোটা আরাকান দখলে নিলেও পরে পরাজিত হয় বর্মি রাজার সেনাদের কাছে।
===বিদ্রোহ যুগ===
আরাকানের বিদ্রোহ দমনের জন্য বর্মি রাজা ১৮১১ সালে গোটা বার্মায় প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন যুবক, ২৫০ টাকা, একটি বন্দুক, ১০টি চকমকি পাথর, দুই সের বারুদ, সম ওজনের সিসা, দুইটি কুঠার, ১০টি লম্বা পেরেক সরবরাহের নির্দেশ জারি করেন। এভাবে এক সর্বাত্মক যুদ্ধের মাধ্যমে তৎকালীন বর্মি রাজা সিনপিয়ার বাহিনীকে পরাজিত করে। ১৮১৫ সালে সিনপিয়ারের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয় আরাকানের স্বাধীনতা উদ্ধার আন্দোলন।
১৭৮২ সালে ‘থামাদা’ আরাকানের রাজধানী ‘ম্রোহং’ দখল করে নিজেকে রাজা ঘোষণা করে। গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত স্বাধীন আরাকান রাজ্য এরপর একেবারে ভেঙে পড়ে।
১৭৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বার্মার রাজা ভোধাপোয়া আরাকান আক্রমণ করে আরাকানকে বার্মার একটি প্রদেশে পরিণত করেন। সে সময় দুই লক্ষাধিক রাখাইনকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়, যাতে এ জাতির পুনরুত্থানের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
ভোধাপোয়ার উচ্চ কর আরোপ আর বর্মি বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মগ-মুসলিম-নির্বিশেষে আরাকানের জনগণ পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে। মগরা একজোট হয়ে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল থেকে বর্মিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
===ব্রিটিশ শাসন===
১৮২৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি বার্মা দখল করে। এরপর দীর্ঘ ১০০ বছর পর্যন্ত আরাকানিরা অনেকটা স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু ১৯৪২ সালে আরাকান জাপানিদের অধীনে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় জাপানি সেনাদের দ্বারা এক লাখ ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। নিহতদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা ছিল মুসলমান। অবশেষে ১৯৪৫ সালে আবার ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে।
===বার্মার রাজ্য===
==শিক্ষাব্যবস্থা==
|