রাখাইন রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭২ নং লাইন:
১৭৯৯ সালে প্রকাশিত ‘বার্মা সাম্রাজ্য’তে ব্রিটিশ ফ্রাঞ্চিজ বুচানন হ্যামিল্টন উল্লেখ করেন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসারীরা (মুসলিম), যারা অনেক দিন ধরে আরাকানে বাস করছে, তাদের রুইঙ্গা (Rooinga) বা আরাকানের স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা আরাকানের মূল নিবাসী (Native of Arakan) বলা হয়।
 
আরাকান ছিলপ্রাচীন বরাবরইকালে অবিভক্ত বঙ্গদেশের অংশ ছিল স্বাধীন ও অতিশয় সমৃদ্ধ একটিপ্রদেশ ছিল। পরবর্তীকালে এটি বঙ্গদেশে থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। দেশ। বাংলার প্রাচুর্যের কারণে যেমন ১৫০০ সালের শুরুতে এখানে ইউরোপীয়দের আগমন ঘটে, তেমনি ১৫০০ ও ১৬০০ সালে আরাকানে পর্তুগিজ ও ওলন্দাজদের আগমন ঘটে। ১৬০০ সালে ওলন্দাজরা আরাকান থেকে দাস ও চাল ক্রয় করত। তারা সেখানে নিয়ে আসত লোহা ও লৌহজাতসামগ্রী।
 
মিয়ানমারের বর্তমান আরাকানীদের বাঙালিরা মগ নামেই ডাকে । মগ জাতির ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ । মগ দস্যুরা বাংলার উপকূল থেকে লোকজন ধরে নিয়ে তাদের কাছে বিক্রি করত। মগদের বর্বরতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যায় ড. আহমদ শরীফের লেখায়। তিনি লিখেছেন, ‘মগ জলদস্যুরা জলপথে বাঙলাদেশের ভুলুয়া, সন্দ্বীপ, সংগ্রামগড়, বিক্রমপুর, সোনারগাঁ, বাকলা, যশোর, ভূষণা ও হুগলী লুণ্ঠন করত। তারা হিন্দু-মুসলিম, নারী-পুরুষ ও বড়-ছোট-নির্বিশেষে ধরে নিয়ে যেত। হাতের তালু ফুঁড়ে বেত চালিয়ে গরু-ছাগলের মতো বেঁধে নৌকার পাটাতনে ঠাঁই দিত। মুরগীকে যেভাবে দানা ছিটিয়ে দেওয়া হয়, তাদেরও তেমনি চাউল ছুড়ে দেওয়া হত খাবার জন্যে। এ অবহেলা ও পীড়নের পরেও যারা বেঁচে থাকত তাদেরকে ভাগ করে নিত মগে-পর্তুগীজে। ’ (চট্টগ্রামের ইতিহাস, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৫১)
৯০ নং লাইন:
১৮২৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি বার্মা দখল করে। এরপর দীর্ঘ ১০০ বছর পর্যন্ত আরাকানিরা অনেকটা স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু ১৯৪২ সালে আরাকান জাপানিদের অধীনে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় জাপানি সেনাদের দ্বারা এক লাখ ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। নিহতদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা ছিল মুসলমান।
 
অবশেষে ১৯৪৫ সালে আবার ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বার্মা। কিন্তু স্বাধীনতার মাধ্যমে বার্মা ব্রিটিশমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুনভাবে আরাকানের ওপর হত্যা, নির্যাতন আর উচ্ছেদে মেতে ওঠে বর্মিরা। আরাকানবাসীদের শুরু করে চরম হত্যাযজ্ঞ। বলা যায়, বার্মার স্বাধীনতা আরাকানের রোহিঙ্গাদের জন্য বয়ে আনে অভিশাপ।
 
 
 
==শিক্ষাব্যবস্থা==