প্রথম নাগবর্মা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১০ নং লাইন:
==সাহিত্যকর্ম==
[[পশ্চিম গঙ্গ রাজবংশ|পশ্চিম গঙ্গ রাজবংশের]] রাজা রক্কস গঙ্গ (অপর নাম পঞ্চম রচমল্ল, ৯৮৬-৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন প্রথম নাগবর্মার পৃষ্ঠপোষক। গবেষক শেলডন পোলকের মতে, প্রথম নাগবর্মা ছিলেন ধ্রুপদি কন্নড় সাহিত্যের পাঁচ জন নাগবর্মার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি।<ref name="ganga">Pollock (2006), p. 369</ref> [[কন্নড় সাহিত্য|কন্নড় সাহিত্যের]] ধ্রুপদি যুগে প্রথম নাগবর্মা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই যুগে (খ্রিস্টীয় নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী) কন্নড় ভাষার ধ্রুপদি গ্রন্থগুলি সচরাচর ভারতের মহান [[সংস্কৃত]] মহাকাব্যগুলি অবলম্বনে অথবা নীতিকথামূলক কাহিনি অথবা জৈন লোককথা ও কিংবদন্তি অবলম্বনে লেখা হত। ‘লৌকিক’ (ধর্মনিরপেক্ষ ও ঐতিহাসিক) ও ‘আগমিক’ (ধর্মীয় ও কিংবদন্তিমূলক) ধারায় সাহিত্য রচনা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।<ref name="lou">Mugali (2006), p. 179</ref>
 
প্রথম নাগবর্মার ''কর্ণাটক কাদম্বরী'' গ্রন্থটিকে মূল সংস্কৃত গ্রন্থের সরাসরি অনুবাদ মনে করা হয় না। মসৃণ ঝরঝরে ভাষায় লেখা এই গ্রন্থটির মৌলিকতা সুবিদিত।<ref name="flow">Sahitya Akademi (1987), p. 620</ref> ''ছন্দোম্বুধি'' গ্রন্থটি হল কন্নড় ভাষায় লেখা ছন্দশাস্ত্র-সংক্রান্ত (‘ছন্দানুশাসন’) প্রথম গ্রন্থ। মধ্যযুগীয় কর্ণাটকের সাংস্কৃতিক জগতে প্রাধান্যকারী সংস্কৃত ধারার সঙ্গে লৌকিক (‘দেশি’) কন্নড় ছন্দগুলির সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল এই গ্রন্থে। গ্রন্থটি যে সময়ে লেখা হয়েছিল সেই সময় সংস্কৃত গ্রন্থরচনাই মূলধারার সাহিত্যকর্ম হিসেবে স্বীকৃত ছিল এবং সংস্কৃত পণ্ডিতেরা অধিকতর মর্যাদায় আসীন ছিলেন। এই গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, একটি কন্নড় রচনার জনপ্রিয়তা নির্ভর করে স্থানীয় কোন ধারায় তা লেখা হয়েছে তার উপর। সামগ্রিকভাবে গ্রন্থটিতে স্থানীয় সাহিত্য ঐতিহ্যের সঙ্গে মূলধারার সংস্কৃত বিশ্বজনীন সাহিত্যের একটি মেলবন্ধনের প্রয়াস দেখা যায়।<ref name="cosmo">Nagaraj (2003), p. 339</ref>