ভিমের পান্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা
Shitolbd (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: বানান
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১২৭ নং লাইন:
ভিমের পান্টি সম্পর্কে স্থানীয় জনশ্রুতি হল, মহাভারতের [[ভীম|ভীমের]] সাথে স্তম্ভটির সম্পর্ক আছে। ভীম রাতভর জমিতে হাল চাষ করতেন। সূর্য উঠার আগেই তার ফিরে যাওয়ার নিয়ম ছিল। কোন এক রাতে হাল চাষ দেরিতে শেষ হওয়ায়, তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় ভীম হাতের পান্টিটি ফেলে যান। সেটিই বর্তমানের স্তম্ভ।<ref name="ভিমের পান্টি" /><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.naogaondorpon.com/বাংলাদেশে-পুরাতত্ত্ব-সমৃদ্ধ-জেলা-নওগাঁ/11982|শিরোনাম=বাংলাদেশে পুরাতত্ত্ব সমৃদ্ধ জেলা নওগাঁ|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=নওগাঁ দর্পন|ভাষা=|সংগ্রহের-তারিখ=2020-06-11}}</ref>
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার একেবারে পূর্বপ্রান্তে জয়পুরহাট জেলার সীমানা ঘেঁষে জাহানপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর-হরগৌরী এলাকায় একটি মাঝারি (বেড় ১৭০ মিটার এবং উচ্চতা ১০ মিটার) আকারের ঢিবি ও ১৪টি বিভিন্ন আকারের পুকুর রয়েছে। ধামইরহাট-জয়পুরহাট সড়কের মঙ্গলবাড়ী নামক বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে মুকুন্দপুর গ্রামে হরগৌড়ি মন্দির ভীমের পান্টি অবস্থিত। মঙ্গলবাড়ী থেকে পাকা রাস্তা যোগে কাজীপাড়া যাওয়ার পথে ভীমের পান্টি পাওয়া যাবে। পাকা রাস্তা থেকে মাত্র চারশত মিটার ইট বিছানো ও মেঠো পথ দিয়ে যেতে হয়।
এর মধ্যে একটি পুকুর “অমৃতকুন্ড” ও অপরটি “কোদাল ধোয়া” নামে পরিচিত। এগুলোর মধ্যে পুকুরের পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত একটি ঢিবিতে কী রয়েছে তা আজও জানা সম্ভব হয়নি। তবে এর সর্বত্র ইটপাটকেল ও খোলা কুচির ছড়াছড়িসহ কোথাও কোথাও কাদায় গাঁথা ইটের গাঁথুনির পলেস্তরা বিহীন চিহ্ন দেখা যায়। জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে বীরেশ্বর-ব্রহ্মচারী নামে এক সাধক এ ঢিবিতে একটি কালো পাথর উত্কীর্ণ মাঝারি আকারের মূর্তি পেয়েছিলেন। তাই তিনি ওই ঢিবির ওপর ছোট আকারের চারটি মন্দির নির্মাণ করে ওই মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময় ঢিবির ওপর উত্তর-পশ্চিম কোণে ২.৩৯ মিটার ও ৯১ সেন্টিমিটার পরিসরের এক কোঠা বিশিষ্ট একটি পূর্বমুখী স্থাপনা ছিল। মঙ্গলবাড়ি হাটকে কেন্দ্র করে চারদিকে আছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন দীঘি-পুষ্করিণী। কিন্তু এই এলাকায় তেমন কোন উল্লেখযোগ্য প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায় না, যদিও মাটির নিচ হতে মাঝে মাঝেই প্রাচীন ইটের সন্ধান পাওয়া যায়। মঙ্গলবাড়ি হাট থেকে মেইল তিনেক দূরে বাদাল নামে একটি প্রাচীন স্থান আছে, সেখানে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি কুঠিবাড়ী ছিল, সেই কুঠিবাড়ীরই অধ্যক্ষ স্যার চার্লস উইলকিন্স ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে আলোচ্য গরুড় স্তম্ভটি একটি বনভূমির মাঝে আবিষ্কার করেছিলেন!
১৯৭৮ সালে এই গরুড় স্তম্ভের এলাকার ঢিবি থেকে একটি চোকলাতলা কালো পাথরের উমা মহেশ্বর মূর্তি উদ্ধার করে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। ওই ঢিবির দক্ষিণে ৫৮ সেন্টিমিটার দূরত্বে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা অনুরূপ আরও একটি ভাঙা দেয়াল ছিল। সেই দেয়ালের উচ্চতা ১.২২ মিটার। এগুলোকেই বীরেশ্বর ব্রহ্মচারী স্মৃতি বিজড়িত নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা যায়। বর্তমানে এগুলোর নিদর্শন নিশ্চিহ্ন করে সেখানে নতুন মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। ঢিবির পাদদেশ থেকে দক্ষিণ দিকে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি শুরু। দূরে একটি উঁচু পাড়ওয়ালা পুকুরও রয়েছে। তবে এ প্রত্নস্থলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হলো একটি এক খন্ড কালো পাথরের থাম। যার নাম ভিমের পান্টি। যা ঢিবিটি থেকে মাত্র ৮১ মিটার দক্ষিণে ফসলি জমির মাঝে সামান্য হেলে সম্পূর্ণ অরক্ষিতভাবে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের কাছে এটি ভিমের পান্টি আবার কেউ কেউ কৈবর্ত রাজা ভিমের লাঠি বলে থাকে। দেখতে অনেকটা প্রলম্বিত মোচার মতো।কৃষ্ণাভ ধূসর প্রস্তরে ( Black Basalt) নির্মিত স্তম্ভটি বর্তমানে ভগ্নাবস্থায়ও প্রায় ৩.৬ মিটার উঁচু, এবং নিচের দিকে এর পরিধি ১.৭৬ মিটার। স্তম্ভটি আদিও আরও অনেক উঁচু ছিল এবং এর চূড়ায় একটি গরুড় মূর্তি ছিল। পরবর্তীকালে বজ্রপাতে মূর্তিসহ উপরের অংশ ভেঙ্গে গেছে এবং স্তম্ভটি একদিকে কিছুটা হেলে পড়েছে। দেশ বিভাগের বেশ কিছুকাল আগে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ স্তম্ভের মূলদেশ ইট দিয়ে বাধিয়ে দিয়েছে। এই বাঁধানো অংশের পরিধি ৫.৭ মিটার। বর্তমানে বাঁধানো বেদী থেকে ০.৫ মিটার উপরে সংস্কৃত ভাষার ২৮ পঙক্তির একটি শিলালিপি আছে। পঙক্তিগুলি প্রায় ০.৫৩ মিটার দীর্ঘ এবং অক্ষরের আয়তন প্রায় আধা ইঞ্চি। স্তম্ভের গায়ে বজ্রলেপ ছিল। তা স্থানে স্থানে উঠে গেলেও স্তম্ভটির গাত্র মসৃণ।
স্তম্ভটির বাংলা অনুবাদ নিচে দেওয়া হল-