হামিদুদ্দিন ফারাহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''হামিদ উদ্দিন ফারাহি''' (১৮ নভেম্বর ১৮৬৩ – ১১ নভেম্বর ১৯৩০) অবিভক্ত ভারতের একজন প্রখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত। তিনি তার কাজ নাজমুল কুরআন (কুরআনের যোগসূত্র) এর জন্য সব থেকে বেশি পরিচিত। <ref name="oxford">{{cite web|url=https://www.oxfordreference.com/view/10.1093/oi/authority.20110803095810431|title=Profile of Hamiduddin Farahi|website=Oxford Reference website|access-date=5 April 2020|author1=The Oxford Dictionary of Islam}}</ref><ref name="Dawn">{{cite news|url=https://www.dawn.com/news/1322784|title=SMOKERS' CORNER: The Invisible Scholar|date=26 March 2017|access-date=9 April 2020|newspaper=Dawn (newspaper)|author=Nadeem F. Paracha}}</ref>

ইমাম ফারাহির বয়স যখন ২১ বছর তখন তিনি আধুনিক শিক্ষা অর্জনের জন্য আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমদ খান ইমাম ফারাহির জ্ঞানের গভিরতা দেখে মুগ্ধ হন এবং একটি পত্র লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দের নিকট পাঠান। ঐ পত্রে সৈয়দ আহমদ খান লিখেন তিনি এমন কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিকট পাঠিয়েছেন যিনি তাদের থেকেও আরবি এবং ফারসি ভাষায় অধিক দক্ষ। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন রত অবস্থায় ইমাম ফারাহি ইমাম ইবনে শিহাব আল-জুহুরি (৭৮৪-৮৪৫) এর লিখিত বিখ্যাত গ্রন্থ "আত তাবাকাতুল কুবরা" এর কিছু অংশ ফারসি থেকে উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন। পরবর্তীতে এই অনুবাদ অংশটুকু আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। হামিদ উদ্দিন ফারাহি সবশেষে মোহাম্মদান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ সংক্ষেপে MAO থেকে স্নাতক সম্মাননা শেষ করেন। <ref name="AM">{{cite web|url=http://almawridindia.org/the-farahi-school-of-thought-personalities-and-contributions/|title=Profile of Hamidduddin Farahi|author=Rehan Ahmad Yousufi|date=24 August 2018|website=AL-MAWRID HIND FOUNDATION website|access-date=5 April 2020}}</ref>

তবে প্রত্যেকটি নিয়মের একটি ব্যতিক্রমী দিক রয়েছে আর মৌলভী হামিদ উদ্দিন এই ব্যতিক্রমের বাস্তব উদাহরণ। তার লিখিত তাফসির "নাজমুল কুরআন" মুসলিম উম্মাহর জন্য এতটাই প্রয়োজনিয়ো। যতটা একজন তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন।" <ref>"An-Nadwah", December 1905</ref>

তিনি তার জীবনের বড় একটি অংশ কুরআনের গবেষণায় এবং এর মূলভাবার্থ বোঝার ক্ষেত্রে ব্যয় করেছেন। কুরআনের উপর তিনি এতটাই কৃতিত্ব সহকারে লেখালেখি করেছেন যে, তার সমতুল্য এবং তার কাছাকাছি কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন।" <ref>"Tarjuman-ul-Qur'an", Vol. 6, No. 6</ref>

দুঃখের বিষয় হলো এই মহান ব্যক্তি পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করলেন এবং মৃত্যুবরণ করলেন কিন্তু পৃথিবীবাসী বুঝতে পারল না কে আসলো এবং কে চলে গেল।" <ref>"Ma`aarif", December 1930</ref>

শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহ) এর কাজের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তার লিখিত গ্রন্থের মূল বৈশিষ্ট্য হলো কুরআন, বাইবেল ও সাহিত্যের গভীর আলোচনা এবং কুরআনের আয়াত গুলোর মধ্যে যোগসুত্র প্রমাণের এক নজিরবিহীন প্রচেষ্টা। তার এই কাজ প্রমাণ করে যে, পবিত্র কোরআন সত্যিই একটি মহান আসমানী গ্রন্থ।" <ref>"Hindustan Main Musalmaanu kaa Nizaam-i-Taleem-u-Tarbiat", Vol. 2, Pg. 279, 280</ref>

আমি ইমাম হামিদ উদ্দিন ফারাহি (রহ)-কে আল্লাহর অলৌকিক নির্দেশনাবলির মধ্যে একটি নির্দেশ মনে করি।" <ref>{{cite web|url=http://www.al-mawrid.org/index.php/articles/view/ghamidi-on-farahi|title=Ghamidi on Farahi {{!}} Javed Ahmad Ghamidi|website=www.al-mawrid.org|language=en|access-date=22 August 2020}}</ref>

* ইমানফাই আকসাম আল কুরআন (কুরআনের কসম প্রসঙ্গে) <ref>{{cite web|url=http://al-mawrid.org/books/A%20Study%20of%20the%20Quranic%20Oaths.pdf|title=A Study of the Quranic Oaths|author=Hamidduddin Farahi|date=13 June 2010|archive-url=https://web.archive.org/web/20100613144636/http://al-mawrid.org/books/A%20Study%20of%20the%20Quranic%20Oaths.pdf|archive-date=13 June 2010|access-date=9 April 2020}}</ref>