বারবারা ম্যাকলিন্টক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MelancholieBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: ga:Barbara McClintock
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: la:Barbara McClintock; cosmetic changes
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Barbara McClintock.png|right|thumb|বারবারা ম্যাকলিন্টক]]
'''বারবারা ম্যাক্‌লিন্টক''' ([[:en:Barbara McClintock|Barbara McClintock]])([[জুন ১৬]], [[১৯০২]] - [[সেপ্টেম্বর ২]], [[১৯৯২]]) নোবেল বিজয়ী [[যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন]] জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৮৩ সালে শারীরতত্ত্বে [[নোবেল পুরস্কার]] লাভ করেন। তিনি শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজন নারী বিজ্ঞানীর অন্যতম। তিনি সর্বপ্রথম অবস্থান পরিবর্তনে সক্ষম বংশগতির উপাদান আবিস্কার করেন। ইংরেজীতে একে ট্রান্সপোজেবল জেনেটিক এলিমেন্ট ([[:en: Transposable Genetic Element|Transposable Genetic Element]])বলে। তিনি প্রথম ভুট্টা [[ক্রোমোসোম|ক্রোমোসোমে]] এই উপাদান আবিস্কার করেন। পরবর্তিতে [[ব্যাক্টেরিয়া]], [[ইস্ট]] সহ আরও অন্যান্য জীবে [[ট্রান্সপোজেবল জেনেটিক এলিমেন্ট]] বা জাম্পিং জিন ('''লম্ফনকারী জিন''') আবিস্কার হয়।
 
== জন্ম ==
অধ্যাপিকা ম্যাক্‌লিন্টক [[১৯০২]] সালের [[জুন ১৬| ১৬ জুন]] [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] [[কানেটিকাট|কানেটিকাটের]] ([[:en:Connecticut|Connecticut]]) হার্টফোর্ডে জন্ম গ্রহণ করেন।
 
== শিক্ষা ==
[[নিউইয়র্ক|নিউইয়র্কের]] [[ব্রুকলিন|ব্রুকলিন]] ইরামাস হল হাই স্কুল (Eramus Hall High School) থেকে মাধ্যমিকে উত্তির্ণ হন। পরবর্তিতে [[কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ১৯২৩, ১৯২৫ ও ১৯২৭ সালে যথাক্রমে বি.স., এম.এ. ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন।
 
=== বংশগতি শিক্ষা ===
বারবারা ম্যাক্‌লিন্টকের বংশগতি ([[:en:Genetics|Genetics]])শিক্ষা শুরু হয় ১৯২১ সালে কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ([[:en:Cornell University|Cornell University]])। তখন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বংশগতির শুধু একটি মাত্র কোর্স চালু ছিল। অধ্যাপক সি.বি. হাচিংসন ([[:en:C. B. Hutchinson|C. B. Hutchinson]])সেখানে বংশগতি পড়াতেন। সেই সময়ই অধ্যাপক হাচিংসন ডেভিসে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চ্যান্সেলের দ্বায়িত্ব পালনে চলে যান। বংশগতি তখনও বিজ্ঞানের একটি সতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে নাই। এর মাত্র ২১ বছর আগে মেন্ডেলের বংশগতির সূত্রগুলো ([[:en:California University|California University]])পুনরায় আবিস্কৃত হয়। ১৯২২ সালের জানুয়ারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাক্‌লিন্টকের বংশগতির কোর্স শেষ হয়। তখনই অধ্যাপক হাচিংসন তাকে ফোন করে কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু বংশগতির অন্য আর একটি কোর্সে যোগ দিতে আমন্ত্রন যানান। মূলত, বংশগতির প্রতি ম্যাক্লিন্টকের বিশেষ আগ্রহ অধ্যাপক হাচিংসন লক্ষ্য করেছিলেন। সেই ফোন কলটিই বারবারা ম্যাক্‌লিন্টক পরবর্তিতে একজন বংশগতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে উৎসাহি করে তোলে। পরবর্তিতে তিনি [[ভুট্টা|ভুট্টার]] [[ক্রোমোসোম|ক্রোমোসোমের]] [[জিন]] ([[:en:gene|Gene]])নিয়ে গবেষণা করেন।
 
== আবিস্কার ==
বারবারা ম্যাক্‌লিন্টক সর্বপ্রথম ভুট্টার দানার উপরের বিভিন্ন রঙের দাগ ও ফোঁটার বংশগতির কারন উম্মেচনে গবেষণা করেন। তখন এর কারন হিসেবে তিনি একধরনের বংশগতির উপাদান (ক্রোমোসমেরই অংশ) চিহ্নিত করেন যা কিনা একই ও বিভিন্ন ক্রোমোসোমের মধ্যে স্থানান্তর হতে পারে। তিনি এর নাম দেন ট্রান্সপোসেবল জেনেটিক এলিমেন্ট। ১৯৪৮ সালে তিনি প্রথম তার প্রস্তাবনা প্রকাশ করেন। পরবর্তিতে তার আরও বিভিন্ন প্রকাশনা বের হয়, এর মধ্যে ১৯৫১ সালে প্রকাশিত Cold Spring Harbor Symposium on Quantitative Biology এর প্রকাশনাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিভিন্ন কারনে তার প্রস্তাবনা গৃহিত হয়নি। প্রকাশনার তথ্য অনেক জটিল ছিল, ফলে তার সহকর্মিদের তা বুঝানো কঠিন হয়ে পরে। তাছাড়া বংশগতি উপাদানের স্থানপরিবর্তিন ভুট্টা ছাড়া, অন্য কোন জীবে দেখা যায় নি। বিধায়, এটা জীব জগতের কোন সাধারণ ঘটনা হিসেবে পরিগনিত হয় নি। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় ষাট ও সত্তুরের দশকে। তখন ব্যাক্টেরিয়া ও ড্রসোফিলাতে ট্রান্সপোসেবল জেনেটিক এলিমেন্ট আবিস্কৃত হয়। তখন বিজ্ঞানীরা ম্যাক্‌লিন্টকের আবিস্কারের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। এই আবিস্কারের ৩৫ বছর পর [[১৯৮৩]] সালে তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
 
 
 
== কর্মজীবন ==
# উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ইন্সট্রাকটর, কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়
# ফেলো, ন্যাশন্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট
২৪ নং লাইন:
# স্টাফ সদস্য, কার্ণেগি ইনস্টিটিউট, ওয়াশিইংটন
 
== পুরস্কার ==
# ন্যাশন্যাল মেডেল অফ সাইন্স, ১৯৭২
# উলফ্‌ প্রাইজ ইন মেডিসিন, ১৯৮১
# নোবেল পুরস্কার, ১৯৮৩
 
== সম্মানিত ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ ==
# [[রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়]], ১৯৪৭
# [[ওয়েস্টার্ন কলেজ ফর ওমেন]], ১৯৪৯
৪১ নং লাইন:
# [[নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়]], ১৯৮৩
 
== মৃত্যু ==
বারবারা ম্যাক্‌লিন্টক ১৯৯২ সালের [[সেপ্টেম্বর ২|২ সেপ্টেম্বর]] নিউইয়র্কে মৃত্যু বরণ করেন।
 
== বহিঃ সংযোগ ==
 
# [http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1983/index.html বারবারা ম্যাকলিন্টক আত্মজীবনী]
৫০ নং লাইন:
# [http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/articles/green/index.html নিবন্ধ]
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯০২-এ জন্ম]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯৯২-এ মৃত্যু]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী জীব বিজ্ঞানী]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:মার্কিন নোবেল বিজয়ী]]
 
{{Link FA|en}}
৭৪ নং লাইন:
[[it:Barbara McClintock]]
[[ja:バーバラ・マクリントック]]
[[la:Barbara McClintock]]
[[lv:Barbara Maklintoka]]
[[ms:Barbara McClintock]]