মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক লেখক|নাম=মণিরত্ন মুখোপাধায় ( প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়)|চিত্র=Maniratna mukhopadhay photo.jpg|জন্ম_নাম=প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়|জন্ম_তারিখ=সেপ্টম্বর ১, ১৯৪০|জন্ম_স্থান=সিউড়ি (মামার বাড়ি)|মৃত্যু_তারিখ=জুন ২০২১|মৃত্যু_স্থান=দিল্লি|ছদ্মনাম=মণিরত্ন মুখোপাধায়|পেশা=ইঞ্জিনিয়ার|ভাষা=বাংলা, ইংরেজি|বাসস্থান=দিল্লি|জাতীয়তা=ভারতীয়|নাগরিকত্ব=ভারতীয়|শিক্ষা=বি এস সি পদার্থবিদ্যা, এম এস সি ( প্রেসিডেন্সি কলেজ, অসম্পূর্ণ), ইঞ্জিনিয়ারিং (জামালপুর)|উল্লেখযোগ্য_রচনা=|দাম্পত্যসঙ্গী=|সন্তান=}}
'''মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়''' (<span lang="en" dir="ltr">ইংরেজি: ''Maniratna Mukhapadhyay''</span>) [[ছদ্মনাম|ছদ্মনামে]] ( মূল নাম: '''প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়;''' <span lang="en" dir="ltr">ইংরেজি: ''Pranab Kumar Mukhopadhyay''</span>) বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক ছিলেন।<ref name="অভিধান">{{cite book |last=দেওয়ানজী |first1=শিবব্রত |last2=শীল |first2=গোপেশরঞ্জন |title=বহির্বঙ্গ লেখক অভিধান |edition=প্রথম |location=ভিলাই, মধ্যপ্রদেশ |publisher=দুর্বাসা |year=২০০৮ |page=৪৩ }}</ref> [[১৯৪০]] সালের ১ সেপ্টেম্বর [[সিউড়ি|সিউড়ির]] মামার বাড়িতে জন্ম তার। মূলত তিনি [[কথাসাহিত্য|কথাসাহিত্যক]] ছিলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায় ও লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। [[উপন্যাস]], ভ্রমণ কাহিনী রচনায় তিনি স্বছন্দ ছিলেন। গবেষণামূলক লেখালেখিতেও তাঁর পারদর্শিতা উল্লেখযোগ্য। তাঁর জীবনের বেশি সময় কেটছে [[দিল্লি|দিল্লিতে]]। দিল্লিতেই তাঁর মৃত্যু<ref name=":1প্রয়াত" /> ১১ জুন [[২০২১]] তারিখে।<ref name="প্রয়াত">{{ওয়েবcite news |last=জামাল |first=সৈয়দ হাসমত উদ্ধৃতি|ইউআরএলurl=https://epaper.thestatesman.com/c/61067714 |format=ইপেপার |শিরোনামtitle=প্রয়াত সাহিত্যিক মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়|লেখক=সৈয়দ হাসমত জালাল|ওয়েবসাইটwork=[[দৈনিক স্টেটসম্যান]] |সংগ্রহেরlocation=কলকাতা |publisher=দ্য স্টেটসম্যান লিমিটেড |date=2021-তারিখ06-12 |accessdate=2021-07-2130 }}</ref> ১১ জুন [[২০২১]] তারিখে।
 
== প্রথম জীবন ==
বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর থেকে প্রায় দু-মাইল দূরে মুখুড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতে প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় (ছদ্মনাম: মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়)-এর জন্ম। সরকারি জন্ম সাল ১৯৪০, পয়লা সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক পড়াশুনা সেখানকার গ্রামের স্কুলে। শৈশব কৈশোর গ্রামের মুক্ত পরিবেশের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। বেশ কয়েকবার জলে ডুবে যেতে যতে বেঁচে গেছেন।<ref name=":1প্রয়াত">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://epaper.thestatesman.com/c/61067714|শিরোনাম=প্রয়াত সাহিত্যিক মণিরত্ন মুখোপাধ্যায় | লেখক= সৈয়দ হাসমত জালাল|ওয়েবসাইট=[[দৈনিক স্টেটসম্যান]]|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-21}}</ref> বাবা চাকরি করতেন পূর্ববঙ্গে, দেশভাগের পর এপারে চলে আসেন তিনি। বীরভূমের পর মণিরত্নের পরবর্তী কৈশোর কেটেছে হুগলির চুঁচুড়াতে। দেশভাগের প্রভাব তাদের সংসারে বেশ গভীর ছিল। তাঁর এক বোন এই সময় মারা যান। হুগলি কলিজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। তারপর হুগলি কলেজে ফ্রি স্টুডেন্টশিপ পেয়ে ভর্তি হন।<ref name=":1প্রয়াত" /> সেখান থেকে আই এস সি-তে স্কলারশিপ, বি এস সি-তে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে পাশ করেন। এম এস সি ভর্তি হন কলকাতার [[প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা|প্রসিডেন্সি কলেজে]] । প্রেসিডেন্সি কলেজে পাঠ অসম্পূর্ণ রেখে তিনি জামালপুর রেল কারখানায় অ্যাপ্রেন্টিস রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারারিং কোর্স এ যোগ দেন।<ref name=":2">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=দিল্লির বাঙালি|শেষাংশ=চিত্তরঞ্জন পাকড়াশি|প্রথমাংশ=|বছর=২০১৬|প্রকাশক=সৃষ্টিসুখ|অবস্থান=হাওড়া|পাতাসমূহ=১০৮ , অধ্যায়: বাংলা ভাষাচর্চা এবং কিছু বিশিষ্ট লেখক|at=|আইএসবিএন=978-1-943438-24-2}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==
প্রথম কর্মজীবন শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৯৬৪ সালে। পরে দিল্লির ইঞ্জিয়ার্স ইন্ডিয়াতে চাকরি। চাকরির সূত্রে সারা ভারত ও বিদেশে যেমন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল<ref name=":1প্রয়াত" />। অবসরের পর দিল্লিতেই স্থায়ী ভাবে বাস করতেন।<ref name=":2" />
 
== সাহিত্য কর্ম ==
মণিরত্ন মূলত কথাসাহিত্যিক। গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি রচনা করেছেন। কলকাতার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা থেকে তাঁর গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে<ref name=":2" />, অন্য ভাষাতেও অনুবাদ হয়েছে। ব্রাজিল ভ্রমণ নিয়ে তাঁর ভ্রমণ উপন্যাস ''অবরিগাদো ব্রাজিল'' প্রকাশিত হয়।<ref name=":1"/><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bengalassociation.com/sambad/march2021.pdf|শিরোনাম=অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ, বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি|তারিখ=মার্চ ২০২১|কর্ম=বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি|সংগ্রহের-তারিখ=২০২১-০৭-২৭|at=পৃষ্ঠা ৩,৪}}</ref> ''লুপ্ত সরস্বতী'' গ্রন্থটি অনুসন্ধান মূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ লেখার পশ্চাদ্ভূমিতে রয়েছে লেখকের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি। হিমালয়ের শৃঙ্গ, হিমবাহ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের মরুভূমি, গুজরাটের খাম্বাট উপসাগর, দ্বারকা এবং কচ্ছের রনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী গবেষণা হয়েছে ও বিভিন্ন সংগ্রহশালা ঘুরে এই বই এর উপাদান সংগ্রহ করেছেন। [[সরস্বতী নদী]]র দেবীত্বে উত্তরণের আশ্চর্য কাহিনির সঙ্গে আবিষ্কারকদের জীবনের কথা মিলেমিশে আছে এই দুর্লভ গ্রন্থে। ''অন্য মরুস্থলী'' গ্রন্থটিও সরস্বতী নদীর অনুসন্ধানের সঙ্গে। বইটির প্রকাশক [[আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড|আনন্দ পাবলিশার্স]]। একটি গবেষক দল সরস্বতী নদীর হারিয়ে যাওয়া খাতের সন্ধানে বেরিয়েছে। তাদের গবেষণা ও মরুভূমির মধ্য দিয়ে অভিযানের নানান কথা কথাসাহিত্যের রসে জারিত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://desh.co.in/storydetail/-/deshstory/krishnendu-mukhopadhyay-boier-desh-169423|শিরোনাম=লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে|শেষাংশ=মুখোপাধ্যায়|প্রথমাংশ=কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়|তারিখ=October 25, 2019|ওয়েবসাইট=desh.co.in|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-৩০|উক্তি=‘অন্য মরুস্থলী’ আসলে শুধু লুপ্ত সরস্বতীর খাত বেয়ে মিঠে জলের অনুসন্ধানে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা অভিযাত্রীরা যেন পশ্চিম রাজস্থানে থর মরুভূমি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভারতবর্ষের বিশালত্ব, ঐতিহ্য, পুরাণ, ইতিহাস তথা সমকালের ছোট ছোট গল্পের এক-একটা রঙিন পাথরের টুকরো মরুস্থলীর ওপর ফেলতে ফেলতে গিয়েছেন, যা তৈরি করেছে ম্যাপের সেই ডটেড লাইন, লুপ্ত সরস্বতীর সম্ভাব্য প্রবাহধারা। এই রঙিন পাথরের টুকরোগুলো নিপুণভাবে সাজিয়ে লেখক নির্মাণ করেছেন একটি কোলাজ। যে-কোলাজের গায়ে কান পাতলে শোনা যাবে লুপ্ত সরস্বতীর কুলকুল করে বয়ে যাওয়ার শব্দ। এটিই সার্থক করে তুলেছে বইটিকে।  - লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়}}</ref> বইটি 'একটি সত্যি কাহিনি, কিছুটা সাজিয়ে নিতে হয়েছে এই যা'- এরকম ভাবে বলা হয়েছে গ্রন্থটির ব্লার্বে।
 
মিনকিয়ানি নামক গিরিশিরা টেকিং নিয়ে লেখা ''মিনকিয়ানি'' গ্রন্থটি। ''অবরিগাদো ব্রাজিল'' গ্রন্থে [[ব্রাজিল|ব্রাজিলের]] মানুষ, সমাজ, ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনি। 'নিছক ভ্রমণ কাহিনি নয়, কথা সাহিত্যের ভিন্নতর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।<ref name=":1প্রয়াত" /> জহরলাল নেহেরুর ''The Discovery of India''-র অনুবাদ করেছেন ''ভারতবর্ষ আবিষ্কার'' নামে বাংলায় । দাস ব্যাবসা নিয়ে লিখেছেন 'মানুষ যখন পণ্য'। ''অম্বা'' উপন্যাস উপন্যাস মহাভারতের উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্র [[অম্বা (মহাভারত)|অম্বা]]-র জীবনের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।
 
{| class="wikitable"
২৯৭ নং লাইন:
 
== মৃত্যু ==
দিল্লিতে নিজের বাড়িতেই ১১ জুন [[২০২১]] তারিখে ৮১ বছর বয়েসে অল্প কিছু দিনের অসুস্থতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।<ref name=":1প্রয়াত" />
 
== অতিরিক্ত তথ্যসূত্র ==