ঝলকারি বাঈ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
{{পরিষ্করণ-পুনঃসংগঠন}} ট্যাগ যোগ করা হয়েছে (টুইং)
-সন্মান +সম্মান (গণ-প্রতিস্থাপন)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৬ নং লাইন:
ঝলকারী বাঈয়ের জন্ম ২২ শে নভেম্বর ১৮৩০ সালে ঝাঁসির পাশেই ভোজলা গ্রামে হয়েছিল। তার পিতার নাম ছিল সদোবর সিংহ ও মাতার নাম ছিল যমুনা দেবী। ঝলকারী বাঈ যখন খুব ছোট, তখন তার মা তাকে ও পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। ঝলকারীর পিতা তাকে ছেলের মত করে মানুষ করেন। ঝলকারীকে ঘোড়ায় ওঠা ও অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। সেই সময়ে সামাজিক অর্থনৈতিক কারণে বেশি পড়াশোনা করতে পারে নি। কিন্তু  তিনি নিজেকে এক যোদ্ধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ঝলকারী বাঈ ছোটবেলা থেকেই অনেক সাহসী ও দৃঢ় বালিকা ছিলেন। তিনি ঘরের কাজ করেও জঙ্গলে গিয়ে গাছ কাটেন। একবার তার সামনা সামনি হয় বাঘের সঙ্গে। তিনি তার কুলহারি দিয়ে বাঘটিকে হত্যা করেন।
 
ঝলকারীর এক অন্য সময়ের কথা, কিছু ডাকাত একজন ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায়। তখন ঝলকারী বাহাদুরির সঙ্গে ডাকাতদের পিছে হাঁটার জন্য সমর্থন হন। তার এই বাহাদুরির জন্য খুশি হয়ে গ্রামবাসীরা ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাঈয়ের এক সৈনিকের সঙ্গে করিয়ে দেন। তার স্বামীর নাম ছিল পুরন কোরী, পুরন কোরীও অনেক বাহাদুর ছিলেন। একবার গৌরী পুজোর সময় ঝলকারী অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে মহারানীকে সন্মানসম্মান দেওয়ার জন্য ঝাঁসির রাজমহলে পৌঁছোন। সেখানে রানী লক্ষ্মী বাঈ, ঝলকারীকে দেখে অবাক হয়ে যান। কেননা ঝলকারী দেখতে অবিকল লক্ষ্মী বাঈ এর মতো দেখতে ( দুজনের রূপেই অলৌকিক সমানতা ছিল )। রানী লক্ষ্মী বাঈ অন্যান্য মহিলাদের কাছ থেকে ঝলকারীর বাহাদুরির কথা শুনতে পান, রানী লক্ষ্মী তার বিষয়ে শুনে প্রভাবিত হলো। ঝলকারীকে দুর্গা দলের সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়া আদেশ দেন। ঝলকারী অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে বন্দুক, তোপ চালানো ও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেন।
 
লর্ড ডালহৌসির ভারতের রাজ্যে শাসন চালানোর নীতি চলতেই থাকে। রানী লক্ষ্মী বাঈ এর কোনো সন্তান না থাকায় তিনি একজন একজন দত্তক পুত্র সন্তান নেন। ব্রিটিশরা নিঃসন্তান রানী লক্ষ্মী বাঈকে দত্তক পুত্র নেওয়া অনুমতি দেয় নি। কেননা তিনি এমনটা করে রাজ্যকে নিজের অধীনে করতে চাইছিলেন। ব্রিটিশদের এই বিরোধিতায় রানীর পুরো সৈন্যবাহিনী, সেনা নায়ক ও ঝাঁসির প্রজামন্দল আত্মসমর্পণ না করে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলার পরিকল্পনা করেন। এপ্রিল ১৮৫৭ সালে, রানী লক্ষ্মী বাঈ ঝাঁসির রাজমহলের ভিতরে সৈন্য তৈরি করেন। ইংরেজরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের পরিকল্পনাকে নিস্ফল করে দেয়। রানীর সেনা নায়কের মধ্যে একজন দুলহেরাব নামক ধোঁকা দেয় ও গুপ্ত দ্বার ইংরেজ সেনাদের জন্য খুলে দেয়। যখন রাজমহলের পতন নিশ্চিত হয়, তখন রানীর সেনাপতি ও ঝলকারী বাঈ কিছু সৈন্য নিয়ে রাজমহল ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে বলেন। রানী তার ঘোড়া নিয়ে ও কিছু বিশ্বাস যোগ্য সৈনিক নিয়ে ঝাঁসির রাজমহল থেকে দূরে চলে যান।