গোলাম আযম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8
Manisha Mrinmoyee Mrittika (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩০ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''গোলাম আযম''' (৭ নভেম্বর ১৯২২ - ২৩ অক্টোবর ২০১৪)<ref>http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/352165{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> ছিলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজনরাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরইসলামী এর একজন রাজনীতিবীদ এবং [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের]] সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী।<ref name=aljazeera15>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Azam found guilty of Bangladesh war crimes|ইউআরএল=http://www.aljazeera.com/news/asia/2013/07/201371575422931245.html|প্রকাশক=আলজাজিরা|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৩}}</ref><ref name=euronews15>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Bangladesh: Islamist leader found guilty of war crimes|ইউআরএল=http://www.euronews.com/2013/07/15/bangladesh-islamist-leader-found-guilty-of-war-crimes/|প্রকাশক=ইউরোনিউজ|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৩}}</ref> তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন [[বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী|জামায়াতে ইসলামীর]] আমির ছিলেন।<ref name="Islamic Voice">[http://www.islamicvoice.com/december.2000/news.htm#peo Prof. Ghulam Azam Retires] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20010306135526/http://www.islamicvoice.com/december.2000/news.htm#peo |তারিখ=৬ মার্চ ২০০১ }}, [[Islamic Voice (magazine)|Islamic Voice]], December 2006.</ref> আযম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন।<ref name=Uddin>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Uddin|প্রথমাংশ=Sufia M.|শিরোনাম=Constructing Bangladesh: Religion, Ethnicity, And Language in an Islamic Nation|ইউআরএল=https://archive.org/details/constructingbang00uddi_969|বছর=2006|প্রকাশক=University of North Carolina|অবস্থান=|আইএসবিএন=978-0807830215|পাতা=[https://archive.org/details/constructingbang00uddi_969/page/n191 169]}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Post-colonial States of South Asia : Democracy, Development and Identity|লেখক=H. Evans|প্রথমাংশ=|তারিখ=2001|বছর=|প্রকাশক=|অবস্থান=|পাতা=71|পাতাসমূহ=|অন্যান্য=Edited by A. Shastri and A. Wilson, Palgrave|আইএসবিএন=978-0-312-23852-0|সংস্করণ=|}}</ref> তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.dhakatribune.com/law-amp-rights/2013/jul/16/ghulam-azam-spared-death|শিরোনাম=Ghulam Azam spared death|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2016-09-17|ওয়েবসাইট=[[Dhaka Tribune]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160917040836/http://archive.dhakatribune.com/law-amp-rights/2013/jul/16/ghulam-azam-spared-death|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/news/ghulam-azam-jailed-for-90-years|শিরোনাম=GHULAM AZAM Deserves death, gets 90 years|তারিখ=2013-07-16|ওয়েবসাইট=The Daily Star|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.aljazeera.com/news/asia/2013/07/201371575422931245.html|শিরোনাম=Azam found guilty of Bangladesh war crimes|ওয়েবসাইট=www.aljazeera.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.islamicvoice.com/december.2000/news.htm#peo|শিরোনাম=Prof. Ghulam Azam Retires|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2001-03-06|ওয়েবসাইট=islamicvoice|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20010306135526/http://www.islamicvoice.com/december.2000/news.htm#peo|আর্কাইভের-তারিখ=2001-03-06|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref>
 
জামায়াতে ইসলামীর নেতা হিসেবে তিনি বিতর্কিত শান্তি বাস্তবায়ন বা [[শান্তি কমিটি|শান্তি কমিটির]] একজন সদস্য ছিলেন, যে কমিটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধীস্বাধীনতাবিরোধী অন্যান্য পাকিস্তানি বাঙ্গালিবাঙালি নেতাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল।<ref name="dailypakistan_april_11_1971" /> এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহয়তারসহায়তার জন্য গঠিত আধাসামরিক বাহিনী [[আলবদর]] ও [[রাজাকার]] গঠনেরও অভিযোগ রয়েছে।<ref name="Wall Street Journal"/> এই মিলিশিয়ারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তি বাহিনীরমুক্তিবাহিনীর]] বিপ্লবীদের বিরোধিতা করেছিল এবং এরাও যুদ্ধাপরাধের অভিযুগে অভিযুক্ত।<ref name="dailypakistan_april_11_1971" /><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভারতীয় চক্রান্ত বরদাস্ত করব না (We will never tolerate Indian conspiracy)|সংবাদপত্র=[[The Daily Sangram]]|তারিখ=April 13, 1971}}</ref><ref name="Rubin2010">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Rubin|প্রথমাংশ=Barry A.|শিরোনাম=Guide to Islamist Movements|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=wEih57-GWQQC&pg=PA59|সংগ্রহের-তারিখ=6 March 2013|বছর=2010|প্রকাশক=M.E. Sharpe|আইএসবিএন=978-0-7656-4138-0|পাতা=59}}</ref><ref name="Fair2010">{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Fair|প্রথমাংশ=C. Christine|শিরোনাম=Pakistan: Can the United States Secure an Insecure State?|ইউআরএল=http://books.google.com/books?id=RC-ANwtR_SoC&pg=PA22|সংগ্রহের-তারিখ=6 March 2013|তারিখ=16 June 2010|প্রকাশক=Rand Corporation|আইএসবিএন=978-0-8330-4807-3|পাতাসমূহ=21–22}}</ref> যাইহোক, তার আইনজীবীদের ভাষ্যমতে, ১৯৭১ সালে তিনি একজন অসামরিক সাধারণ নাগরিক ছিলেন বলে তার পক্ষে সেনাবাহিনী পরিচালনা বা কোন ধরনের সামরিক বহিনীর কমান্ডার হওয়ার সুযোগ ছিল না।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Superior responsibility not applicable to Ghulam Azam: Defence counsel|ইউআরএল=http://www.unbconnect.com/component/news/task-show/id-107697|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2013}}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল।<ref name=mcgill_thesis>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Ahsan|প্রথমাংশ=Syed Aziz-al|শিরোনাম=,. ISLAMIZATION OF THE STATE IN A DUALISTIC CULTURE: THE CASE OF BANGLADESH|সাময়িকী=PhD Thesis, McGill University, Dept of Political Science|month=October|বছর=1990}}</ref> ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ব্যতীত বা ভিসাবিহীন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেন।<ref name="alo people's court"/><ref name="taj"/>
 
[[বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্বাবধায়ক সরকারের]] সাবেক উপদেষ্টা, মানবাধীকারকর্মী ও লেখিকা [[সুলতানা কামাল]] বলেন, “নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে গোলাম আযম ছিলেন [[জার্মানি|জার্মানির]] সাবেক শাষক [[হিটলার|হিটলারের]] সমকক্ষ যিনি গণহত্যা কার্যকর ও জাতিগত নির্মূলে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন।”<ref name="unbconnect.com">*"In brutality, Ghulam Azam is synonymous with German ruler Hitler who had influential role in implementation and execution of genocide and ethnic cleansing, said Sultana Kamal."{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ghulam Azam synonymous with Hitler: Sultana Kamal|ইউআরএল=http://www.unbconnect.com/component/news/task-show/id-88120|সংবাদপত্র=UNB Connect|তারিখ=September 13, 2012|সংগ্রহের-তারিখ=14 March 2013|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121021103420/http://www.unbconnect.com/component/news/task-show/id-88120|আর্কাইভের-তারিখ=২১ অক্টোবর ২০১২|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এই কথার জবাবে আযমের আইনজীবীরা বলেন, “এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট। হিটলারের পক্ষে এটা করা সম্ভব ছিল কারণ তার কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতারাষ্ট্রক্ষমতা ছিল কিন্তু গোলাম আযমের কোন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিল না। ১৯৭১ সালে [[টিক্কা খান|জেনারেল টিক্কা খান]] ও [[ইয়াহিয়া খান|ইয়াহিয়া খানের]] কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতারাষ্ট্রক্ষমতা ছিল।”
 
[[জানুয়ারি ১১|১১ জানুয়ারি]], ২০১২ সালে [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল]] স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার করে।<ref name=dailystar12jan2012>[http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=218007 Ghulam Azam lands in jail, The Daily Star, January 12, 2012]</ref><ref name="52charges">[http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=213916 Ghulam faces 52 charges], The Daily Star, 13 December 2011</ref> মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১১ই জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গোলাম আযমের পক্ষে করা জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আদেশে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিনের কোনো বিধান নেই। এ ছাড়া মামলার এ পর্যায়ে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।<ref name="জামিন খারিজ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/274711 | শিরোনাম=গোলাম আযমের জামিনের আবেদন খারিজ | কর্ম=প্রথম-আলো | তারিখ=১৮-০৭-২০১২ | সংগ্রহের-তারিখ=12 জুলাই 2013 | অবস্থান=ঢাকা}}</ref><ref name=Bail>''[http://www.unbconnect.com/component/news/task-show/id-82609 Prof Azam transferred to ‘Prison Cell’ of BSMMU] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120724032010/http://www.unbconnect.com/component/news/task-show/id-82609 |তারিখ=২৪ জুলাই ২০১২ }}, BDINN, 26 November 2012.</ref><ref name=faints>[http://bdinn.com/news/29685/ Ghulam faces 52 charges] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150106203539/http://www.bdinn.com/news/29685/ |তারিখ=৬ জানুয়ারি ২০১৫ }}, The Daily Star, 13 December 2011</ref><ref name=bail1>[http://www.corbisimages.com/stock-photo/rights-managed/42-31711685/ghulam-azam-is-hospitalised-after-he-loses Ghulam Azam is hospitalised after he loses bail appeal over war crimes], [[Corbis]], 11 January 2012</ref><ref name=hospital>[http://bdnews24.com/details.php?id=228497&cid=37 Ghulam Azam taken to hospital]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, [[Bdnews24.com]], 19 July 2012</ref> ১৫ই১৫ জুলাই, ২০১৩ সালে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে ৫ টি৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৯০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। <ref name="বিবিসিবাংলা১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/07/130715_an_ghulam_azam_verdit.shtml | শিরোনাম=গোলাম আযম দোষী প্রমাণিত, ৯০ বছরের কারাদণ্ড | কর্ম=বিবিসি বাংলা | তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৩ | সংগ্রহের-তারিখ=15 জুলাই 2013}}</ref><ref>http://bdnews24.com/bangladesh/2013/07/15/90-years-for-jamaat-guru-ghulam-azam</ref><ref name="সময়টিভি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.somoynews.tv/details.php?id=15943 | শিরোনাম=গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড | কর্ম=সময় টিভি | তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৩ | সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৩ | অবস্থান=ঢাকা | আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জুলাই ২০১৩ | আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130716215857/http://www.somoynews.tv/details.php?id=15943 | ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref><ref name="প্রথম১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-07-15/news/368067 | শিরোনাম=গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড | কর্ম=দৈনিক প্রথম আলো | তারিখ=১৫ জুলাই ২০১৩ | সংগ্রহের-তারিখ=15 জুলাই 2013 | অবস্থান=ঢাকা}}</ref>
 
[[হিউম্যান রাইটস ওয়াচ]] এবং [[অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]] সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এই বিচারের সমালোচনা করেছিলেন।  হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, যারা প্রথমদিকে বিচারের সমর্থক ছিল এবং পরবর্তীকালে "প্রসিকিউশন এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন ও বিচার বিভাগীয় পক্ষপাতিত্ব" এর সমালোচনা করে, বিচার প্রক্রিয়াটিকে গভীরভাবে ত্রুটিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্য বিচারের মান পূরণ করতে অক্ষম বলে অভিহিত করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.hrw.org/news/2013/08/16/bangladesh-azam-conviction-based-flawed-proceedings|শিরোনাম=Bangladesh: Azam Conviction Based on Flawed Proceedings|তারিখ=2013-08-16|ওয়েবসাইট=Human Rights Watch|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.hrw.org/news/2013/08/16/bangladesh-azam-trial-concerns|শিরোনাম=Bangladesh: Azam Trial Concerns|তারিখ=2013-08-16|ওয়েবসাইট=Human Rights Watch|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.amnesty.org/en/latest/news/2013/02/bangladesh-resist-pressure-to-push-for-death-sentences-at-war-crimes-tribunal/|শিরোনাম=Bangladesh: Resist pressure to push for death sentences at war crimes tribunal|ওয়েবসাইট=www.amnesty.org|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.amnesty.org/download/Documents/12000/asa130032013en.pdf|শিরোনাম=Bangladesh: Resist pressure to push for hasty death sentences at war crimes Tribunal|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=22 February 2013|ওয়েবসাইট=[[Amnesty International]]|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি [[২০১২-এ স্কাইপি কেলেঙ্কারি|২০১২ আইসিটি স্কাইপ বিতর্কের]] কেন্দ্রে ছিল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/news/world-asia-21133320|শিরোনাম=Bangladesh's watershed war crimes moment|শেষাংশ=Mustafa|প্রথমাংশ=Sabir|তারিখ=2013-01-21|কর্ম=BBC News|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-07|ভাষা=en-GB}}</ref>
৪২ নং লাইন:
== প্রাথমিক জীবন ==
 
গোলাম আযম [[৭ নভেম্বর]], ১৯২২ (বাংলা ১৩২৯ সালের ৫ই অগ্রহায়ণ) সালে [[ঢাকা|ঢাকায়]] (লক্ষ্মীবাজারস্থ শাহ সাহেব বাড়িতে তার মাতুলালয়ে) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম গোলাম কবির ও মায়ের নাম সৈয়দা আশরাফুন্নিসা। তিনি তার গ্রাম বিরগাও-এর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) একটি মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] ভর্তি হন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ]](ডাকসু) এর জিএস পদে দায়িত্ব পালন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6|শিরোনাম=ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ - উইকিপিডিয়া|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=bit.ly|ভাষা=bn|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10}}</ref> তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে তৎকালীন সময়ে সংঘটিত হওয়া বাংলা ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে ডাকসু'র জিএস পদে থাকাকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে ডাকসু'র পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন, যাতে উর্দুর পাশাপাশি বাঙলাকেও রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করা হয়। বাংলাভাষা আন্দোলনে শরীক হওয়ার কারণে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে তিনবার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160917060409/http://archive.dhakatribune.com/bangladesh/2013/jul/15/pro-bangla-activist-turns-anti-bangladesh|শিরোনাম=Pro-Bangla activist turns anti-Bangladesh {{!}} Dhaka Tribune|তারিখ=2016-09-17|ওয়েবসাইট=web.archive.org|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10}}</ref><ref name="opendemocracy.net">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.opendemocracy.net/en/opensecurity/bangla-language-movement-and-ghulam-azam/|শিরোনাম=The Bangla Language Movement and Ghulam Azam|ওয়েবসাইট=openDemocracy|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://doi.org/10.1080/1464937042000288688|শিরোনাম=Islam in Bangladesh politics: the role of Ghulam Azam of Jamaat-I-Islami|শেষাংশ=Hossain|প্রথমাংশ=Ishtiaq|শেষাংশ২=Siddiquee|প্রথমাংশ২=Noore Alam|তারিখ=2004-12-01|সাময়িকী=Inter-Asia Cultural Studies|খণ্ড=5|সংখ্যা নং=3|পাতাসমূহ=384–399|ডিওআই=10.1080/1464937042000288688|issn=1464-9373}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=LJHVU6msHLM|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস । প্রামান্যচিত্র ভাষা আন্দোলন । Vasha Andolon। Spondon । বাংলা প্রামান্যচিত্র|ভাষা=bn-BD}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailynayadiganta.com/politics/482000/মাতৃভাষার-মর্যাদা-রক্ষায়-এমন-আত্মত্যাগের-ঘটনা-বিশ্ব-ইতিহাসে-নজিরবিহীন-গোলাম-পরওয়ার|শিরোনাম=মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় এমন আত্মত্যাগের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন : গোলাম পরওয়ার|ওয়েবসাইট=Daily Nayadiganta|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dailysangram.info/?post=272721-ভাষা-আন্দোলনে-অধ্যাপক-গোলাম-আযম-এর-অবদান-অবিস্মরণীয়|শিরোনাম=ভাষা আন্দোলনে অধ্যাপক গোলাম আযম এর অবদান অবিস্মরণীয়|ওয়েবসাইট=The Daily Sangram|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bartabahok.net/bangladesh/barta-id-16017|শিরোনাম=অধ্যাপক গোলাম আযম কি ভাষা সৈনিক ছিলেন? আসুন প্রকৃত ইতিহাস জেনে নেই|তারিখ=2020-02-21|ওয়েবসাইট=বার্তাবাহক|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200410214709/https://www.bartabahok.net/bangladesh/barta-id-16017|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৪-১০|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানেররাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর বিএ ও ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রীডিগ্রি অর্জন করেন।<ref name="Hossain">I. Hossain, N. Siddiquee, 'Islam in Bangladesh Politics: the role of Ghulam Azam of Jamaat-i-Islaami', Inter-Asia Cultural Studies, Vol 5, 2004, p. 385</ref>
 
== কর্মজীবন ==
 
{{আরও দেখুন|বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী}}
ছাত্রজীবন শেষে গোলাম আযম ১৯৫০ সালেই তাবলীগতবলিগ জামায়াতের তৎপরতার সাথে জড়িত হন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি তাবলীগতবলিগ জামায়াতের রংপুরের আমীরআমির ছিলেন। ১৯৫০ সালের ৩রা ডিসেম্বর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। গোলাম আযম [[তমদ্দুন মজলিস|তমদ্দুন মজলিসের]] কাজেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়েন ১৯৫২ সালেই। ১৯৫৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি [[তমদ্দুন মজলিস|তমদ্দুন মজলিসের]] রংপুর জেলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।<ref name="opendemocracy.net"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dailysangram.info/?post=161980-অধ্যাপক-গোলাম-আযম-একটি-নাম-একটি-ইতিহাস|শিরোনাম=অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস|ওয়েবসাইট=The Daily Sangram|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-10}}</ref>
 
১৯৫৪ সালেই গোলাম আযম [[সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী|সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর]] ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৯৫৪ সালের [[২২ এপ্রিল]] তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে জামায়াতে ইসলামীতে সহযোগী (মুত্তাফিক) হিসেবে যোগদান করার পর ১৯৫৫ সালে গ্রেফতার হয়ে [[রংপুর]] কারাগারে অবস্থানকালেই জামায়াতের রুকন হন। ১৯৫৫ সালের জুন মাসে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এর এক বছর পর তিনি [[পূর্ব পাকিস্তান]] জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং রাজশাহী বিভাগীয় আমীরেরআমিরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্রমেই দলে তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদাকসম্পাদক পদ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান সরকারবিরোধীতার জন্য মৌলবাদী ধর্মীয় কাজকর্মের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ও আযম গ্রেফতার হন। তাকে আট মাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি তদানীন্তন ''পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর'' আমীরআমির (সভাপতি) পদে অধিষ্ঠিত হন এবং এই পদটি তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হয়েছিল। তিনি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক জোট গঠনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী।<ref name="Hossain" /> দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীরআমির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।<ref name="azam-retires">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Prof. Ghulam Azam Retires|ইউআরএল=http://www.islamicvoice.com/december.2000/news.htm#peo|সংবাদপত্র=Islamic Voice|তারিখ=December 2000|সংগ্রহের-তারিখ=২৮ মে ২০১৩|আর্কাইভের-তারিখ=৬ মার্চ ২০০১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20010306135526/http://www.islamicvoice.com/december.2000/news.htm#peo|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর তাত্ত্বিক নেতা বা গুরু হিসেবেও পরিচিত।<ref name="বিবিসিবাংলা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/04/130417_mrk_ghulamazam.shtml | শিরোনাম=গোলাম আযমের রায় যেকোনো দিন | কর্ম=বিবিসি | তারিখ=বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৩ | সংগ্রহের-তারিখ=12 জুলাই 2013}}</ref>
 
== বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ==
=== ১৯৭০-এর নির্বাচন ===
{{আরও দেখুন|পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০}}
পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর (পাকিস্তান গাণতান্ত্রিকগণতান্ত্রিক দল, জাতীয় আওয়ামী দল, জামায়াত উলমা-ই-ইসলাম ও পাকিস্তান জাতীয় লীগসহ) সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে গোলাম আযম আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিতে শুরু করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক মিটিং-এ ভাঙ্গচুর, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর শারীরিক আক্রমণ ও পার্টি অফিসের লুটপাট ও ধ্বংসের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।<ref>'White Paper on The Crisis in East Pakistan', Government of Pakistan, Islamadab, August 5, 1971</ref> ১৯৭০ সালে আযম যখন জামায়াতের প্রধান তখন জামায়াতে ইসলামীর র‌্যালিসহ, কিছু রাজনৈতিক র‌্যালি সশস্ত্র গোন্ডাদেরগুন্ডাদের হামলার শিকার হয় এবং অভিযোগ করা হয় এই হামলার উসকানীউসকানি দিয়েছে [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|আওয়ামী লীগ]]।<ref>Idem, pg. 6-8</ref><ref>'Police accused over rioting',The Guardian, January 26, 1970, pg. 4</ref>
 
== ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভূমিকা ==
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আযম রাজনৈতিক অবস্থান নেন ও পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধিতা করেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১= Salik|প্রথমাংশ১= Siddiq|লেখক-সংযোগ১= |সম্পাদক১-প্রথমাংশ= |সম্পাদক১-শেষাংশ= |সম্পাদক১-সংযোগ= |অন্যান্য= |শিরোনাম= Witness to Surrender|trans_title= |ইউআরএল= |আর্কাইভের-ইউআরএল= |আর্কাইভের-তারিখ= |বিন্যাস= |সংগ্রহের-তারিখ= |ধরন= |সংস্করণ= First|ধারাবাহিক= |খণ্ড= |তারিখ= |month= |বছর= 1977|প্রকাশক= The University Press Limited|অবস্থান= Dhaka, Bangladesh|আইএসবিএন= 984 05 1373 7|oclc= |ডিওআই= |আইডি= |পাতা= 93|পাতাসমূহ= |at= |trans_chapter= |অধ্যায়= Politico-Military|অধ্যায়ের-ইউআরএল= |উক্তি= |সূত্র= |বিবকোড= |laysummary= |laydate= |লেখক-ছদ্মনাম= |author-name-separator= |author-separator= |লেখক-প্রদর্শন= |separator= |পুনশ্চ= |lastauthoramp=}}</ref> এবং বারবার আওয়ামী লীগ ও মুক্তিবাহিনীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করতে থাকেন।<ref name="sangram1971" /> পরবর্তীতে [[১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার|মুজিবনগর সরকার]] গঠন করা হয় এবং [[২৬ মার্চ]], ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। আযমের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ২৫ মার্চের পর থেকে জামায়াতের মুখপত্র বলে পরিচিত [[দৈনিক সংগ্রাম]] পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত। ২৫ শে মার্চ রাতে সংঘটিত [[অপারেশন সার্চলাইট]] এর ছয় দিন পর গোলাম আযম ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে একটি ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি [[ভারত|ভারতের]] কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব পাকিস্তানিদের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।...আমি বিশ্বাস করি যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা পূর্ব পাকিস্তানি মুসলমানদের নিকট হতে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না।"<ref>দৈনিক সংগ্রাম, ৭ এপ্রিল ১৯৭১।</ref><ref>http://archive.prothom-alo.com/detail/news/215745</ref> [[২০ জুন]], ১৯৭১ সালে করা একটি মন্তব্যে গোলাম আযম পাকিস্তানের প্রতি তার সমর্থন পুনরাব্যাক্তপুনর্ব্যক্ত করেন। মন্তব্যটি ছিল, “পাকিস্তনি বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রায় সকল সন্ত্রাসীদের হটিয়ে দিয়েছে।”<ref name="sangram1971">[http://archive.prothom-alo.com/detail/news/215745 Ghulam Azams speeches in 1971], The daily [[Prothom Alo]], 11 January 2012</ref>
 
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়, [[১১ এপ্রিল]], ১৯৭১ সালে গঠিত [[শান্তি কমিটি|শান্তি কমিটিতে]] আযম গূরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ও তিনি এই আন্দোলনকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন।<ref name="dailypakistan_april_11_1971">ঢাকায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত (Citizen's Peace Committee formed in Dhaka), Daily Pakistan, April 11, 1971.</ref><ref name="daily_star_peace_committee">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ghulam Azam was on Peace Committee|ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/beta2/news/ghulam-azam-was-on-peace-committee/|সংগ্রহের-তারিখ=March 13, 2013|সংবাদপত্র=[[The Daily Star (Bangladesh)]]|তারিখ=March 12, 2013}}</ref> আরো মনে করা হয়, আযম এই সংস্থার একজন প্রাতিষ্ঠাতা সদস্য।<ref name="dailypakistan_april_11_1971" /> গোলাম আযমের জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও বিহারিদের দ্বারা শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছিল।<ref name="kann">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=East Pakistan Is Seen Gaining Independence, But It Will Take Years |প্রথমাংশ=Peter R. |শেষাংশ=Kann |ইউআরএল= |সংবাদপত্র=Wall Street Journal |তারিখ=July 27, 1971 |সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> অভিযোগ করা হয়, শান্তি বাহিনীরকমিটির সদস্যরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করত। তারা স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন হিন্দুদের সম্পদ ও জমি দখল করে সেগুলো পূণঃবিতরন করত। বিশেষ করে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা শান্তি কমিটির হয়রানির শিকার হয়েছে বেশি। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১০ মিলিয়নকোটি মানুষ পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।<ref name="Wall Street Journal">''The Wall Street Journal'', July 27, 1971; quoted in the book ''Muldhara 71'' by Moidul Hasan</ref> শান্তি কমিটির সদস্যরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে রাজাকার সদস্য সংগ্রহ করত। রাজাকারের জন্য প্রাথমিকভাবে আযমের [[বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী|জামায়াতে ইসলামী]] থেকে ৯৫ জন সদস্যকে সংগ্রহ করা হয় যাদেরকে খুলনার শাহজাহান আলী সড়কের আনসার ক্যাম্পে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|সংবাদপত্র=Daily Pakistan|তারিখ=May 25, 1971}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|সংবাদপত্র=Daily Azad|তারিখ=May 26, 1971}}</ref> এছাড়া যুদ্ধের সময় জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান আশরাফ হোসাইন জামালপুর জেলায় [[২২ এপ্রিল]], ১৯৭১ সালে মিলিশিয়া বাহিনী [[আলবদর]] গঠন করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|সংবাদপত্র=Daily Purbodesh|তারিখ=April 23, 1971}}</ref> [[১২ এপ্রিল]], ১৯৭১ সালে আযম ও [[মতিউর রহমান নিজামী]] এই স্বাধীনতা আন্দোলনকে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে একটি বিক্ষোভের ডাক দেন ও তাতে নেতৃত্ব দেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=পাকিস্তানের প্রতি চীনের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে (China fully supports Pakistan)|সংবাদপত্র=The Daily Sangram|তারিখ=April 13, 1971}}</ref>
 
মুক্তিযুদ্ধের সময় আযম প্রায়ই পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণ করতেন, পাকিস্তানের নেতাদের সাথে যুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনা করতেন।<ref name=star-history>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=History speaks up - Julfikar Ali Manik and Emran Hossain|সংবাদপত্র=The Daily Star|তারিখ=October 27, 2007}}</ref> ৩০শে৩০ জুন লাহোরে সাংবাদিকদের কাছে গোলাম আযম বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ''দুস্কৃতিকারী'' বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে তার দল এদের দমনে সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই দুস্কৃতকারীদের হাতে বহু জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে।<ref name=sangram-june>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম আযম (Prof. Ghulam Azam in a conference at Lahore)|সংবাদপত্র=Daily Sangram|তারিখ=June 21, 1971}}</ref> আযম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর [[টিক্কা খান|জেনারেল টিক্কা খান]]<nowiki/>সহ অন্যান্য সেনা অফিসারদের সাথে বৈঠক করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার বিশদ আলোচনা করেন।<ref name=star-history/>
 
[[১২ আগস্ট]], ১৯৭১ সালে [[দৈনিক সংগ্রাম|দৈনিক সংগ্রামে]] প্রকাশিত একটি বক্তব্যে বলেন, “তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু।”<ref name=sangram-aug>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মাওলানা মাদানীর শাহাদত মুসলমানদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট - গোলাম আযম|সংবাদপত্র=Daily Sangram|তারিখ=August 12, 1971}}</ref> তিনি ভারতের বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও ডাক দেন।<ref name=po-nov26>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ghulam Azam calls for an all out war|সংবাদপত্র=The Pakistan Observer|তারিখ=November 26, 1971}}</ref> গোলাম আযমকে [[১৯৭১ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড|বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের]] মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুগেঅভিযোগে বলা হয় সেপ্টেম্বরের প্রতমপ্রথম দিকে তিনি রাও ফরমান আলীর সাথে এক গোপন বৈঠক করে এই হত্যাকান্ডের নীলনকশা তৈরি করেন।<ref name=bichitra-81>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=I Made No Mistake in 1971: Gholam Azam and the Jamaat Polilics|সাময়িকী=Bichitra|তারিখ=17|বছর=1981|month=April}}</ref> উল্লেখ্য [[১৪ ডিসেম্বর]], ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রামে গোলাম আযমের পশ্চিম পাকিস্তান সফরকালের একটি সাক্ষাৎকারের পূর্ণ বিবরণ দুই কিস্তিতে ছাপা হয়। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মুক্তিবাহিনীর সাথে তার দলের সদস্যদের সংঘর্ষের বিভিন্ন বিবরণ ও পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থতির ওপর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,
 
<blockquote>"বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জামায়াতকে মনে করতো পহেলা নম্বরের দুশমন। তারা তালিকা তৈরি করেছে এবং জামায়াতের লোকদের বেছে বেছে হত্যা করছে, তাদের বাড়িঘর লুট করছে জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এতদসত্বেও জামায়াত কর্মীরা রাজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলাদেশ' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না।" (''দৈনিক সংগ্রাম'', ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)</blockquote><ref>"মাওলানা মাদানীর শাহাদত মুসলমানদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট - গোলাম আযম". ''The Daily Sangram''. August 12, 1971.</ref><ref>"Ghulam Azam calls for an all out war". The Pakistan Observer. November 26, 1971.</ref>
৭০ নং লাইন:
[[২০ জুন]], ১৯৭১ সালে আযম লাহোরে ঘোষণা করেন [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রাহমানের]] নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুরা স্বাধীনতার আন্দোলন করছে।<ref name="sangram_june_21_1971">লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক গোলাম আযম (Prof. Ghulam Azam in a conference at Lahore), Daily Sangram, 21 June 1971.</ref> [[১২ আগস্ট]], ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি বার্তায় গোলাম আযম বলেন, তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের কর্মীরা ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু।<ref name="sangram_august_12_1971">মাওলানা মাদানীর শাহাদত মুসলমানদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট - গোলাম আযম, Daily Sangram, August 12, 1971.</ref> আযম তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং অভিযোগগুলো প্রমাণ করার জন্য তথ্য-উপাত্ত বা প্রমাণ হাজির করতে বলেন।<ref>[http://www.youtube.com/watch?v=ZESCCO452Oc&list=UU5t4rIny2G7ox_Cdj-0iDmA&index=2&feature=plcp Azam ATN Bangla Interview, 14th Dec 2011, with Eng Subs Part 2], See video at 2:15 and 3:42.</ref> পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী থাকার কথা স্বীকার করেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনীত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেন।<ref name="daily_star_peace_committee"/>
 
সামরিক জান্তা [[ইয়াহিয়া খান]] তাদের শাসনকে বৈধ করার জন্য একটি নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। [[অক্টোবর ১২|১২ই অক্টোবর]], ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন [[২৫ নভেম্বর]] থেকে [[৯ ডিসেম্বর]]-এর মধ্যে একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। গোলাম আযম এই নির্বাচনে আংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। [[অক্টোবর ১৫|১৫ই১৫ আক্টোবর]] পাকিস্তনি সরকার হঠাৎ করেই ঘোষণা করে নির্বাচনের জন্য কোনপ্রকার প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। [[নভেম্বর ২|২ নভেম্বর]]-এর ঘোষণা অনুযায়ী ৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।<ref name="muldhara">''Muldhara '71'' (মূলধারা '৭১ Mainstream '71) by Moidul Hasan, page. 128, footnote. 177. published by University Press Limited</ref> এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে জামায়াত ১৪টি আসনে নির্বাচিত হয়।<ref name="herald">''International Herald Tribune''; November 4, 1971</ref> মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, “আযম ছিলেন জার্মানির সাবেক শাষকশাসক হিটলারের সমকক্ষ যিনি নিষ্ঠোরতানিষ্ঠুরতাগনহত্যায়গণহত্যায় নিয়োজিত ছিলেন।”<ref name="unbconnect.com"/> এর জবাবে প্রসিকিউটর যায়েদ-জেয়াদ আল- মালুম বলেন, “তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার সকল ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল, তাহলে কেন তার একটি কমিটির প্রয়োজন হবে? হিটলারের জন্য [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে]] একমাত্র হিটলারই যথেষ্ট ছিল।<ref>* "Jamaat-e-Islami guru Ghulam Azam's role during the Liberation War ‘was quite like Adolf Hitler in Second World War Germany’."{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Azam was like Hitler in Germany|ইউআরএল=http://bdnews24.com/bangladesh/2013/03/03/azam-was-like-hitler-in-germany|সংবাদপত্র=[[Bdnews24.com]]|তারিখ=March 3, 2013}}* "Next on the list is Ghulam Azam, the head of Jamaat in 1971, accused of overseeing the setting up of pro-[[Pakistan]]i death squads manned by the party’s student wing. The prosecution is seeking the death penalty for Mr Azam, whom it likened, in its closing arguments this week, to [[Adolf Hitler]]."{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম= Unrest in Bangladesh: A nation divided|ইউআরএল= http://www.economist.com/news/asia/21573150-flawed-tribunal-opens-old-wounds-and-threatens-bangladeshs-future-nation-divided|সংবাদপত্র= [[The Economist]]|তারিখ= 9 March 2013|সংগ্রহের-তারিখ= 14 March 2013}}
* "War crimes prosecutors on Sunday said that in 1971 Ghulam Azam did in Bangladesh what Adolf Hitler did in Germany during the Second World War. 'Ghulam Azam was the Hitler in Bangladesh under Pakistan army occupation in 1971', said prosecutor Zead-Al-Malum. "{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম= Ghulam Azam was Hitler of 1971: prosecution |লেখক= Staff Correspondent |ইউআরএল= http://newagebd.com/detail.php?date=2013-03-04&nid=41837#.UULvQlH09Bs |সংবাদপত্র= [[New Age (Bangladesh)]] |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ= 14 March 2013 |আর্কাইভের-ইউআরএল= https://web.archive.org/web/20131219135414/http://newagebd.com/detail.php?date=2013-03-04&nid=41837#.UULvQlH09Bs#.UULvQlH09Bs |আর্কাইভের-তারিখ= ২০১৩-১২-১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল= হ্যাঁ }}</ref> যাইহোক [[দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস|নিউইয়র্ক টাইমস]] ১৯৯২ সালে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, গোলাম আযম বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার বিরোধিতার জন্য ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করে।<ref name=nytjun2192>"3 Die in Bangladesh Fundamentalists' Strike", New York Times, June 21, 1992.</ref>
 
== ১৯৭১-এর পর বাংলাদেশ বিরোধী তদবির ==
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতীয়বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনী ও [[মুক্তি বাহিনী]]যৌথবাহিনী জয় লাভ করে ও [[বিজয় দিবস|১৬ ডিসেম্বর]], ১৯৭১ সালে একটি নতুন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের জন্ম হয়। গোলাম আযম ১৯৭১ সালের পরও তার তিনি বাংলাদেশ বিরোধীবাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। তিনি মধ্য-প্রাচ্যমধ্যপ্রাচ্য ও পাকিস্তানের অনেক নেতাকে এই নতুন জন্ম নেওয়া জাতিকেদেশকে স্বীকৃতি না দিতে তদবির করেন। তার এই তদবির সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ঢাকা বিশ্বব্যিালয়ের অধ্যাপক [[আনিসুজ্জামান|আনিসুজ্জামানের]] লেখায় পাওয়া যায়।<ref name="alo people's court"/> অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গোলাম আযমের বিরূদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ১৯৯২ সালে গঠিত গণআদালতে উপস্থাপন করেন। এই গণআদালত [[জাহানারা ইমাম]] ও অন্যান্যদের দ্বারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গঠিত হয়েছিল। জাহানারা ইমাম এই অভিনব গণআদালতে গোলাম আযমের বিচারের দাবি তুলেছিলেন এবং হাজার হাজার জনতা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছিল।<ref name=daily-star-focus>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Focus back on, 8yrs after|সংবাদপত্র=The Daily Star|তারিখ=May 12, 2009}}</ref>
 
[[প্রথম আলো|দৈনিক প্রথম আলো]] অনুসারে, তিনজন বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা গোলাম আযমের বিরোদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। বাঙ্গালিবাঙালি সাংস্কৃতির বিরূদ্ধে গোলাম আযমের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উত্থাপন করেন সাইদ শামসুল হক, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করেন বোরহান্নুদ্দিনবোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গিরজাহাঙ্গীর ও মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ বিরোধীবাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপন করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।<ref name="alo people's court"/> আনিসুজ্জামানের উপত্থাপিত অভিযোগের কিছু বিশেষ অংশ হল,<ref name="alo people's court"/>
 
* ১৯৭১ সালের [[১৬ ডিসেম্বর]] বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হলে গোলাম আযম পাকিস্তানে বসে মাহমুদ আলী ও খাজা খয়েরউদ্দীনেরমতখয়েরউদ্দীনের মতো দেশদ্রোহীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি নামে একটি সংগঠনের সূচনা করেন এবং বিভিন্ন দেশে পূর্ব পাকিস্তান পূণঃপ্রতিষ্ঠারপুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলার আয়োজন করতে থাকেন। তিনি এই উদ্দেশ্যে দীর্ঘকাল পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমীরআমির বলে পরিচয় দিতেন।
* ১৯৭২ সালে গোলাম আযম লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে আবার এই ভূখন্ডকে পাকিস্তানের অংশে পরিনত করার ষড়যন্ত্র করেন। ১৯৭৩-এ ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটিজের বার্ষিক সম্মেলনে এবং লেসটারে অনুষ্ঠিত ইউকে ইসলামিক কমিশনের বার্ষিক সভায় তিনি বাংলাদেশ বিরোধী বক্তৃতা দেন। ১৯৭৪-এ মাহমুদ আলীসহ কয়েকজন পাকিস্তানিকে নিয়ে তিনি পূর্ব লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির একটি বৈঠক করেন। বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিনতপরিণত করার প্রচেষ্টা ব্যার্থব্যর্থ হয়েছে দেখে এই সভায় স্থির করা হয় যে, তারা এখন থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে একটি কনফেডারেশন গঠনের আন্দোলন করবেন। এই সভায় গোলাম আযম ঝুঁকি নিয়ে হলেও বাংলাদেশে ফিরে অভন্ত্যরঅভ্যন্তর থেকে কাজ চালানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাক্তব্যক্ত করেন। ১৯৭৭-এ লন্ডনের হোলি ট্রিনিটি চার্চ কলেজে অনুষ্ঠিত একটি সভায় তিনি এ কথারই পুনরাবৃত্তি করেন এবং সেই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে আগমন করেন।
* ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে গোলাম আযম [[রিয়াদ|রিয়াদে]] অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি যুব সম্মেলনে যোগদান করেন ও পূর্ব পাকিস্তান পূণঃপ্রতিষ্ঠারপুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল মুসলিম রাষ্ট্রের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি সাতবার সৌদি বাদশার সঙ্গে সাক্ষাত করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে অনুরোধ করেন। ১৯৭৪ সালে রাবেতায়ে আলমে ইসলামির উদ্যোগে মক্কায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এবং ১৯৭৭ সালে কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভায় বাংলাদেশের বিরোদ্ধেবিরুদ্ধে বক্তৃতা করেন।
* অনুরূপভাবে গোলাম আযম ১৯৭৩ সালে বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ইসলামি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য লবিং করেন। একই বছরে ত্রিপলিতেত্রিপোলিতে অনুষ্ঠিত ইসলামি যুব সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে হানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
* ১৯৭৩ সালে গোলাম আযম মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা এন্ড কানাডার বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে পরিনতপরিণত করতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
* ১৯৭৭ সালে গোলাম আযম ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইসলামিক ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশবিরোধী বক্তৃতা করেন।<ref name="alo people's court"/>
 
== বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ==
১৯৭৮ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশের সল্পমেয়াদীস্বল্পমেয়াদী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে কোন প্রকার বৈধ ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে অবস্থান করেন এবং তার জন্মসূত্রে এদেশে থাকার অধিকার রয়েছে এই অধিকারবলে দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানান।<ref name="alo people's court">''গোলাম আযমের বিরূদ্ধে ডঃ আনিসুজ্জামান উত্থাপিত অভিযোগপত্র'' (Allegations against Ghulam Azam submitted by Prof. Anisuzzaman); The [[Daily Prothom Alo]] - March 14, 2008</ref><ref name="taj">''Women and Islam in Bangladesh: Beyond Subjection and Tyranny'' by Taj I. Hashmi; [http://books.google.com/books?id=YS_FlaACPgMC&pg=PA189&lpg=PA189&dq=ghulam+azam&source=bl&ots=LfZ2s0Dtze&sig=ElIQGq1hB-Diw_Yb4rZ14TVWMIc&hl=en&ei=GYCsSrGqIYKUtge1r4GtCA&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=5#v=onepage&q=ghulam%20azam&f=false Preview at Google books]</ref> ২০০০ সালের পর গোলাম আযম সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। তার উত্তরসূরী হলেন [[মতিউর রহমান নিজামী]]।<ref name="Islamic Voice"/>
 
== গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ ==
[[১১ জানুয়ারি]], ২০১২ সালে [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল]] কর্তৃক গোলাম আযম ১৯৭১ সালে মানবতা ও শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন ও তাকে [[ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার|ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে]] পাঠানো হয়। যাইহোক তিন ঘণ্টা পর তাকে বঙ্গবন্ধু [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়|শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে]] বার্ধক্য জনিতবার্ধক্যজনিত কারণে মেডিকেল চেক- আপে পাঠানো হয়। [[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|ডেইলি স্টার]] অনুসারে, [[১৫ জানুয়ারি]] একটি মেডিকেল টিম দ্বারা আযম বিচারের জন্য উপযোক্তউপযুক্ত বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও, তিনি হাসপাতালের কারাগার কক্ষে থাকার অনুমতি পান।<ref name="hospital-not-needed">[http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=218438 Hospital stay not needed], The Daily Star, 15 January 2012.</ref><ref name=jail>[http://www.bdnews24.com/details.php?id=215760&cid=3 Ghulam Azam lands in jail]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, [[bdnews24.com]], 11 January 2012.</ref> একই পত্রিকায় পরে বলা হয়, তার শারিরীকশারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়।<ref>[http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=35900 Counsels and Family Meet with Ghulam Azam], 18 February 2012.</ref>
 
কারারুদ্ধ করার পর থেকে আযমের স্বাস্থ্য অতি দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে।<ref name=health>[http://sports.bdnews24.com/details.php?id=225614&cid=2 Ghulam Azam's counsels prefer ICT-2]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, [[Bdnews24.com]], 31 May 2012</ref> তার স্ত্রী সয়ৈদা আফিফা আযম কয়েকটি সংবাদপত্রে তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন,করেন। তিনি বলেন, আযম ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পরছেপড়ছে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে এক মাসে ৩ কিলোগ্রাম ওজন হারিয়েছে।<ref name="sangram1971"/> তিনি আযমের চিকিৎসাকে ''মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ'' বলে অভিযোগ করেন যদিও তাকে হাসপাতালের কারাগার কক্ষে রাখা হয়েছে।<ref name=health1>[http://www.dailynayadiganta.com/details/25668 স্বামীর জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত : সৈয়দা আফিফা আযম (I am in fear of my husband's life: Syeda Afifa Azam)] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120130053203/http://www.dailynayadiganta.com/details/25668 |তারিখ=৩০ জানুয়ারি ২০১২ }}, [[Daily Naya Diganta]], 27 January 2012.</ref><ref name=health3>[http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=76627 অধ্যাপক গোলাম আযমের (Professor Ghulam Azam has lost 3 kg in weight)] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131216000012/http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=76627 |তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ }}, [[The Daily Sangram]], 5 February 2012.</ref> আযমের স্ত্রী আরো অভিযোগ করেন তার সাথে পরিবারের লোকদের সাক্ষাত ও বই সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। এটাকে তিনি এক প্রকার মানসিক নির্যাতন বলে উল্লেখ করেন।<ref name=health4>[http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=77204 গোলাম আযমকে ‘প্রিজন সেল'এ মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে -মিসেস আফিফা আযম (Ghulam Azam is being mentally tortured in his prison cell - Mrs Afifa Azam)] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131215235934/http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=77204 |তারিখ=১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ }}, [[The Daily Sangram]], 12 February 2012. Azam is held in solitary confinement and is allowed a visit of 30 minutes per week by 3 close relatives only. Applications for visits are required to be made in advance and require approval.</ref> ডেইলি স্টার প্রতিবেদনে বলে, আযমের স্ত্রী ও আইনজীবীদের তার সাথে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাত করার অনুমতি দেওয়া হয় কিন্তু তার ভাতিজাকে কারাগার কক্ষে প্রবেশের ঠিক পূর্ব-মহুর্তে মুহূর্তে বাধা দেওয়া হয়।<ref>[http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=35900 Counsels, family meet Ghulam Azam]</ref><ref>[http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=36069 Wife, son meet Ghulam Azam]</ref>
 
বিভিন্ন দেশের ইসলামিক কর্মীরা গোলাম আযমকে গ্রেফতারের ঘটনা অমানবিক বলে উল্লেখ করেন ও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলারস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ আল- কারাদাউই এই গ্রেফতারকে “মর্যাদাহানিকর” বলে উল্লেখ করেন ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাকে অতিশীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার অহ্বান জানান। তিনি তার মন্তব্যে বলেন, “অধ্যাপক গোলাম আযম ও তার সহকারী পন্ডিতবৃন্দদের এবং ইসলামিক কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত ৪০ বছর পূর্বের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অযৌক্তিক ও গ্রহনযোগ্যগ্রহণযোগ্য নয়।”<ref name=iums>[http://www.iumsonline.net/ar/default.asp?ContentID=3677&menuID=6 الإتحاد يندد بإعتقال الحكومة البنغالية المفكرين الإسلاميين ويطالب بإطلاق سراحهم(The Union condemns the arrest of Professor Ghulam Azam and other thinkers by the Bangladeshi government)] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140304020909/http://www.iumsonline.net/ar/Default.asp?ContentID=3677&menuID=6 |তারিখ=৪ মার্চ ২০১৪ }}, International Union of Muslim Scholars, 18 January 2012.</ref>
 
গোলাম আযমের এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে অন্তজার্তিক কয়েকটি সংস্থা সমালোচনা করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে, [[জাতিসংঘ]], [[হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ]] এবং [[অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল]]।<ref>[https://web.archive.org/web/20131212121953/http://www.internationallawbureau.com/index.php/ict-convicts-a-q-molla-of-5-charges-and-sentences-him-to-life-imprisonment/ ICT convicts A. Q. Molla of 5 charges and sentences him to life imprisonment] The International Criminal Law Bureau (5 February 2013)</ref><ref>[http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=222591 Detention of accused unlawful] The Daily Star (16 February 2012)</ref><ref>[http://www.hrw.org/news/2013/02/01/bangladesh-government-backtracks-rights Bangladesh: /ref> পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী থাকার কথা স্বীকার করেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনীত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেন।Government Backtracks on Rights] Adams, Brad (1 February 2013) Bangladesh: Government Backtracks on Rights. ''Human Rights Watch.''</ref> যদিও গোলাম আযমের পূর্বে [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল]] দুজনকে ([[দেলোয়ার হোসেন সাঈদী]] ও [[মুহাম্মদ কামারুজ্জামান]]) একই মামলায় মৃত্যুদন্ড ও অপরজনকে ([[আব্দুল কাদের মোল্লা]]) যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে।
 
== রায় ==
[[১৫ জুলাই]], ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদন্ড দেন।<ref name="প্রথম১"/> গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫ ধরনের ৬১টি অভিযোগ আনা হয়। যার সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। ৬১টি অভিযোগের মধ্যে- মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মোট ৬টি, মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনার অভিযোগ ৩টি, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ২৮টি, মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ২৩টি এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে একটি।<ref name="সময়টিভি"/> প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগে ১০ বছর করে ২০ বছর, তৃতীয় অভিযোগে ২০ বছর, চতুর্থ অভিযোগে ২০ বছর, পঞ্চম অভিযোগে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, “তিনি (গোলাম আযম) যে অপরাধ করেছেন, তা মৃত্যুদণ্ডতুল্য। কিন্তু তাঁর বয়স বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।”<ref name="বিবিসিবাংলা১"/><ref name="প্রথম১"/>
== মৃত্যু ==
গোলাম আযম ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন। পরিবারের বর্ণনানুযায়ী তিনি রাত দশটার দিকে মৃত্যবরণ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/10/141024_sak_ghulam_azam | শিরোনাম=গোলাম আযমের জানাজা শনিবার | প্রকাশক=bbc.com.uk | সংগ্রহের-তারিখ=25 October 2014}}</ref> ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ [[বাইতুল মুকাররম|বাইতুল মুকাররমে]] যোহরেরজোহরের নামাজের পর তার জানাযার নামাজ আদায় করা হয়। তার জানাযায় বহু লোকের সমাগম ঘটে। জানাযার ইমামতি করেন গোলাম আযমের সন্তান আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে তার জানাযার বিরোধিতা করে বেশকিছু সংগঠনের কর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। জানাযার পর পুলিশি নিরাপত্তায় তার মরদেহ মগবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বিদ্রোহকারী সংগঠনের কিছু কর্মী লাশবাহী যানে জুতা নিক্ষেপের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মগবাজারে গোলাম আযমের পারিবারিক কবরস্তানেকবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/10/141025_mh_ghulam_azam_janaza | শিরোনাম=কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় গোলাম আযমের জানাজা | প্রকাশক=bbc.com.uk | তারিখ=25 October 2014 | সংগ্রহের-তারিখ=25 October 2014 | লেখক=আহরার হোসেন}}</ref>
 
== প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ ==