উমর ইবনুল খাত্তাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ইমরান হোসেন 123-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে ইবনে ইসমাঈল-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Szilard-এর করা 5117964 নং সংস্করণে পুনরানিত হয়েছে; (পুনরানয়ন)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪৪ নং লাইন:
}}
 
'''উমর ইবনুল খাত্তাব''' ({{lang-ar|عمر بن الخطاب }}, জন্ম ৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ{{spaced ndash}}মৃত্যু ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের [[রাশিদুন খিলাফত|দ্বিতীয় খলীফা]] এবং প্রধান সাহাবীদের অন্যতম।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Islam in global history : from the death of prophet Muhammed to the first World War|শেষাংশ=Ahmed|প্রথমাংশ=Nazeer|তারিখ=2000|প্রকাশক=American Institute of Islamic History and Culture|অবস্থান=Concord, CA|পাতাসমূহ=৩৪|আইএসবিএন=0-7388-5963-X|oclc=48454024}}</ref> [[আবু বকর|আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু]] এর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলীফা হিসেবে দায়িত্ব নেন। উমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইসলামী আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে ''আল-ফারুক'' (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেওয়া হয়। ''[[আমিরুল মুমিনিন|আমীরুল মু’মিনীন]]'' উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে তাকে '''''প্রথম উমর''''' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। নামের মিল থাকার কারণে পরবর্তী কালের উমাইয়া খলীফা [[উমর ইবনে আবদুল আজিজ|ওমর ইবনে আবদুল আযীযকে]] দ্বিতীয় উমর হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সাহাবীদের মর্যাদার ক্ষেত্রে সুন্নীদের কাছে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পর উমরের অবস্থান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sunnah.com/bukhari/62/21|শিরোনাম=Sahih al-Bukhari 3671,Book 62, Hadith 21|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=sunnah.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200609174239/https://sunnah.com/bukhari/62/21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৬-০৯|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-13}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sunnah.com/bukhari/62/14|শিরোনাম=Sahih al-Bukhari 3671,Book 62, Hadith 14|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=sunnah.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200609172916/https://sunnah.com/bukhari/62/14|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৬-০৯|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-13}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sunnah.com/bukhari/62/48|শিরোনাম=Sahih al-Bukhari 3671,Book 62, Hadith 48|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=sunnah.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200609174732/https://sunnah.com/bukhari/62/48|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৬-০৯|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-13}}</ref> শিয়া সম্প্রদায় উমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার এই অবস্থান স্বীকার করে না।<ref name=EI2>{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|লেখক=Bonner, M.; Levi Della Vida, G.| শিরোনাম=Umar (I) b. al-K̲h̲aṭṭāb|বিশ্বকোষ=Encyclopaedia of Islam| সংস্করণ=Second |প্রকাশক=Brill |সম্পাদকগণ=P. Bearman, Th. Bianquis, C.E. Bosworth, E. van Donzel, W.P. Heinrichs|খণ্ড=10|পাতা=820}}</ref> এছাড়াও তিনি ছিলেন [[ইসলামের নবী]] [[মুহাম্মাদ (সা.)|মুহাম্মাদ (সা.)মুহাম্মাদের]] এর শ্বশুর, অর্থাৎ ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মেয়ে [[হাফসা বিনতে উমর|হাফসা]] ছিলেন আখেরী নবী ও রাসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হযরত [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া বা]] [[মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ|স্ত্রী]]।
 
উমরের শাসনামলে খিলাফতের সীমানা অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। এসময় [[সাসানীয় সাম্রাজ্য]] ও [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের]] দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে আসে।<ref>Hourani, p. 23.</ref> তার শাসনামলে [[জেরুজালেম]] মুসলিমদের হস্তগত হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=MZ2MwNzB69IC&pg=PA326|শিরোনাম=History of the Jews|শেষাংশ=Dubnov|প্রথমাংশ=Simon|তারিখ=1980|প্রকাশক=Associated University Presse|পাতাসমূহ=৩২৬|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-8453-6659-2}}</ref> তিনি পূর্বের খ্রিষ্টান রীতি বদলে ইহুদিদেরকে জেরুজালেম এ বসবাস ও উপাসনা করার সুযোগ দিয়েছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Dubnow|প্রথমাংশ=Simon|শিরোনাম=History of the Jews: From the Roman Empire to the Early Medieval Period|বছর=1968|প্রকাশক=Cornwall Books|ইউআরএল=https://books.google.com/?id=MZ2MwNzB69IC&pg=PA326|খণ্ড=2|পাতা=326|আইএসবিএন=978-0-8453-6659-2}}</ref>
১১৪ নং লাইন:
ইসলামী খিলাফতের প্রতিষ্ঠা উমরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ধরা যায়। পৃথিবীর ইতিহাসেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
 
== খলীফাখলিফা আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার যুগ ==
আবু বকরের শাসনামলে উমর তার একজন প্রধান সচিব ও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। [[রিদ্দার যুদ্ধ|রিদ্দার যুদ্ধের]] সময় প্রথমে তিনি আবু বকরের কিছু মতের সাথে একমত না হলেও পরে তা মেনে নেন এবং তাকে সহায়তা করেন। শেষপর্যন্ত বিদ্রোহীদের দমন করে আরব উপদ্বীপকে একতাবদ্ধ করা হয়।
 
১২১ নং লাইন:
[[File:20131203 Istanbul 118.jpg|thumb|260px|ক্যালিগ্রাফিক শৈলীতে লেখা উমরের নাম]]
 
আবু বকর মৃত্যুর পূর্বে উমরকে তার উত্তরসূরীউত্তরসূরি নিয়োগ দিয়ে যান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/TheBiographyOfAbuBakrAsSiddeeq|শিরোনাম=The Biography of Abu Bakr As-Siddeeq|শেষাংশ=Dr. Ali Muhammad As-Sallaabee|তারিখ=2007}}</ref>
{{Sunni Islam|Rightly-Guided Caliphs}}
 
===খলীফারখলিফার দায়িত্বগ্রহণ===
উমর কঠোর প্রকৃতির শাসক ছিলেন। তাই অনেকে তার শাসন সমর্থন করতে চাননি।চান নি। তবে এরপরও [[আবু বকর]] তাকে নিজের উত্তরসূরি মনোনীত করে যান।
 
উমর তার ইচ্ছাশক্তি, বুদ্ধিমত্তা, রাজনৈতিক সচেতনতা, নিরপেক্ষতা, ন্যায়বিচার এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি সদয় আচরণের জন্য পরিচিত ছিলেন।<ref>''Early caliphate'', Muhammad Ali, Muḥammad Yaʻqūb K̲h̲ān, p. 85</ref>
১৩১ নং লাইন:
উল্লেখ করা হয় যে আবু বকর তার উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টাদের বলেছিলেন :
 
{{quote|আমার কোমলতার জন্য তার (উমর) কঠোরতা ছিল। যখন খিলাফতের ভার তার কাঁধে আসবে তখন সে আর কঠোর থাকবে না। যদি আল্লাহ আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে কাকে আমি আমার উত্তরসূরীউত্তরসূরি নিয়োগ দিয়েছি, তবে আমি তাকে বলব যে আপনার লোকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছি।<ref>''Umar Farooq-i-Azam'', Mohammad Hussain Haikal, chapter 4, pp. 112–113</ref>}}
 
উত্তরসূরীউত্তরসূরি হিসেবে উমরের ক্ষমতা ও সক্ষমতা সম্পর্কে আবু বকর অবগত ছিলেন। উমর সম্পূর্ণ বিবাদহীনভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন।
 
মৃত্যূর পূর্বে আবু বকর উমরকে ডেকে তার অসিয়ত লিখতে বলেন যাতে তিনি উমরকে নিজের উত্তরসূরীউত্তরসূরি ঘোষণা করে যান। অসিয়তনামায় উমরকে [[ইরাক]] ও [[সিরিয়া]] জয়ের অভিযান চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
 
আবু বকরের সিদ্ধান্ত ইসলামী খিলাফতকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছিল।
 
__খলীফা__খলিফা হিসেবে শাসন__
২২ আগস্ট আবু বকর মৃত্যুবরণ করেন। একই দিনে উমর খলিফার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।