ঈসা খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Aishik Rehman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬ নং লাইন:
|successor=[[মুসা খাঁ]]
|issue=মুসা খাঁ
| father =সুলাইমান খান
| royal house=জঙ্গলবাড়ি দূর্গ
| birth_date = ১৫২৯ খ্রিষ্টাব্দ
| birth_place = [[সরাইল উপজেলা|সরাইল]], [[ভাটি অঞ্চল]], [[শাহী বাংলা]]
| death_date = সেপ্টেম্বর, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দ (৭০ বছর বয়স)
| death_place = [[ভাটি অঞ্চল]], [[মুঘল সাম্রাজ্য]]
| religion = [[সুন্নি ইসলাম]]
| spouse = ফতেমা খান <br> সোনা বিবি
||image=Isa Khan.jpg}}
[[চিত্র:ঈশা খাঁর প্রাসাদ.jpg|thumb|175px|বড় সরদার বাড়ি যা ঈশা খাঁর জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত, [[সোনারগাঁও]]]]
'''ঈসা খাঁ''' বাংলার [[বারো ভুঁইয়া]] বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম।<ref>[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%88%E0%A6%B8%E0%A6%BE_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8 বাংলাপিডিয়া]</ref> ঈসা-খাঁ এবং বারো জন জমিদার একসাথে বাংলায় স্বাধীনভাবে জমিদারী স্থাপন করে। ঈসা-খাঁর বাংলো বাড়ি [[কিশোরগঞ্জ জেলা|কিশোরগঞ্জে]] অবস্থিত। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সেইসময়ের জমিদার [[কুইচ রাজা|কুইচ রাজাকে]] সিংহাসনচ্যুত করে বাংলো বাড়িটি র্নিমান করেন। ১৫৭৫ সালে [[সম্রাট আকবর]] বাংলা বিজয়ের পর বারো ভূঁইয়াদের ক্ষমতা কমে যায়। তখন সম্রাট আকবর বারো ভূঁইয়াদের দমন করতে অভিযান পরিচালনা করে সফল হননি। তখন সম্রাট আকবরের সেনাপতিকে পাঠান ঈসা-খাঁকে হত্যার জন্য কিন্তু বীর ঈসা-খাঁর সাথে সেনাপতি যুদ্ধে পরাস্ত হন। ঈসা-খাঁর অনেক নিদর্শন কিশোরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে সংরক্ষীতসংরক্ষিত আছে।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
২২ নং লাইন:
 
== কৃতিত্ব ==
সুলতান তাজ খাঁ কররানী (১৫৬৪-৬৫) সিংহাসনে আরোহণ করেন ও ঈসা খাঁকে তাঁর পিতার জায়গীরদারী ফেরত দেন। বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খাঁ কররানীর রাজত্বকালে (১৫৭২-৭৬) ঈসা খাঁ বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করেন অসাধারণ বীরত্বের জন্যে। ১৫৭৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলার সুবাদার মুনিম খাঁর মৃত্যু হলে আফগান নেতা [[দাউদ খান কররানী]] স্বাধীনতা ঘোষণা করে নিজ নামে বাংলা ও বিহারে খুতবা পাঠ করান। স্বাধীন ভূঁইয়ারাও তাঁকে অনুসরণ করে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন।
 
১৫৭৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলার সুবাদার মুনিম খাঁর মৃত্যু হলে আফগান নেতা [[দাউদ খান কররানী]] স্বাধীনতা ঘোষণা করে নিজ নামে বাংলা ও বিহারে খুতবা পাঠ করান। স্বাধীন ভূঁইয়ারাও তাঁকে অনুসরণ করে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন।
 
এরপর অনেক বীরত্বগাথাঁ রচিত হয়। সর্বশেষ ১৫৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুর হতে ১২ মাইল দূরে ঈসা খাঁ, মাসুম খাঁ কাবুলীর সম্মিলিত বাহিনী দুর্জন সিংহকে (মানসিংহের ছেলে) বাধা দিলে দুর্জন সিংহ বহু মুঘল সৈন্যসহ নিহত হন। অনেকে বন্দী হন। কিন্তু সুচতুর ঈসা খাঁ মুঘলদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা উচিত বলে মনে করে আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেন। তিনি বন্দীদের মুক্তি দেন এবং মানসিংহের সাথে আগ্রায় গিয়ে সম্রাট আকবরের সাথে সাক্ষাত করেন। সম্রাট এ বীর পুরুষকে দেওয়ান ও মসনদ-ই-আলা উপাধিতে ভূষিত করেন।
 
== মৃত্যু ==
ঈশা খাঁ কেদার রায়ের বিধবা ভাইজি স্বর্ণময়ীকে অপহরণ করলে ক্রুদ্ধ [[কেদার রায়]] ঈশা খানের রাজধানী আক্রমনআক্রমণ করেন । কেদার রায়ের আক্রমণে ভীত ঈশা খাঁ প্রাণভয়ে মেদিনীপুরে পালিয়ে যান । যান।<ref>''মেদিনীপুরের ইতিহাস'', যোগেন্দ্রনাথ বসু </ref> কেদার রায় ঈশার প্রায় সম্পূর্ণ জমিদারির দখল নিয়ে নেন । ১৫৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে [[গাজীপুর জেলা]]র [[কালীগঞ্জ উপজেলা]]র অন্তর্গত বক্তারপুর নামক স্থানে অজ্ঞাত রোগে তার মৃত্যু হয়। অতঃপর বক্তারপুর বাজারের সন্নিকটে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
== বহিঃসংযোগ ==
 
[[বিষয়শ্রেণী:বারো ভুঁইয়া]]