প্রায় ৭০০ বছর আগে [[পলিনেশিয়া|পলিনেশীয়]] বিভিন্ন জাতি [[নিউজিল্যান্ড]] আবিষ্কার করে ও এখানে বসতি স্থাপন করে। এরা ধীরে ধীরে একটি স্বতন্ত্র মাওরি সংস্কৃতি গড়ে তোলে। ১৬৪২ সালে প্রথম [[ইউরোপ|ইউরোপীয়]] অভিযাত্রী, [[ওলন্দাজ]] [[আবেল তাসমান]], নিউজিল্যান্ডে নোঙর ফেলেন। <ref>{{cite encyclopedia|url=http://www.TeAra.govt.nz/en/european-discovery-of-new-zealand/2|title=European discovery of New Zealand – Abel Tasman|first=John|last=Wilson|encyclopedia=[[Te Ara: The Encyclopedia of New Zealand]]|location=New Zealand|access-date=16 January 2010|quote='On 13 December 1642 the Dutch sighted "a large land, uplifted high" – probably the Southern Alps ...'}}</ref> ব্রিটিশ অনুসন্ধানকারী [[জেমস কুক]], যিনি তাঁর তিনটি ভ্রমণের প্রথম দিকে ১৭৬৯ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছিলেন, তিনিই প্রথম ইউরোপীয় ছিলেন যিনি নিউজিল্যান্ডকে পরিদর্শন ও মানচিত্র করেছিলেন। <ref>Cook's Journal, 7 October 1769, [[National Library of Australia]], http://southseas.nla.gov.au/journals/cook/17691007.html, visited 20120409</ref> ১৮শ শতকের শেষ দিক থেকে অভিযাত্রী, [[নাবিক]], মিশনারি, ও বণিকেরা নিয়মিত এখানে আসতে থাকে। ১৮৪০ সালে [[ব্রিটিশ সাম্রাজ্য]] ও নিউজিল্যান্ডের মাওরি গোত্রগুলি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং এর ফলে নিউজিল্যান্ড ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। মাওরিদেরকে ব্রিটিশ নাগরিকদের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। এসময় নিউজিল্যান্ডে ব্যাপকভাবে ইউরোপীয় বসতি স্থাপন শুরু হয়। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থা আরোপের ফলে মাওরিরা তাদের বেশিরভাগ জমিজমা ইউরোপীয়দের কাছে হারিয়ে দরিদ্র হয়ে পড়ে।
১৯৩০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডকে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হতে থাকে। অর্থনীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়ানো হয়। একই সময়ে মাওরিদের মধ্যে এক ধরনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা [[রেনেসাঁ|রনেসাঁ]] ঘটে। মাওরিরা বিরাট সংখ্যায় শহরে বসতি স্থাপন করা শুরু করে এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করে।
১৯৮০-এর দশকে অর্থনীতিতে সরকারী হস্তক্ষেপ হ্রাস করা হয় এবং অনেক উদারপন্থী নীতি বাস্তবায়ন করা হয়। বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারে অতীতে নিউজিল্যান্ড [[যুক্তরাজ্য]] ও [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রের]] অনুসারী ছিল, তবে বর্তমানে এ ব্যাপারে দেশটি অনেক স্বাধীন।
