যীশুর ক্রুশারোহণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
{{রচনা সংশোধন}} |
অ বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৩ নং লাইন:
{{খ্রীষ্টধর্ম|expanded=all}}
[[চিত্র:Cristo_crucificado.jpg|ডান|থাম্ব|দিয়েগো ভেলাজকুয়েজ কর্তৃক ''খ্রীষ্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ'' (প্রায়. ১৬৩২)। মুজেয়ো দেল প্রাদো, মাদ্রিদ]]
[[যিশু|যিশু খ্রিস্ট]], [[ইসলাম]] ধর্মমতে যাকে [[ঈসা]] নবী বলে আখ্যায়িত করা হয়, খ্রিস্টানদের মতে তার ক্রুশবিদ্ধকরণের ঘটনাটি ঘটেছিল খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, আনুমানিক ৩০-৩৩ সালের মধ্যে। তাঁর এই ক্রুশবিদ্ধের ঘটনার সবথেকে ভাল বিবরণ পাওয়া যায় খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ [[বাইবেল]]-এর [[নূতন নিয়ম|নূতন নিয়মের]] প্রথম চারটি বইতে যা [[সুসমাচার]] নামে পরিচিত। যিশু খ্রিস্টের এই ক্রুশবিদ্ধকরণের ঘটনাটি প্রাচীন অনেক উৎস মোতাবেক একটি প্রতিষ্ঠিত ঘটনা এবং অন্য ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন উৎস দ্বারা স্বীকৃত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/85444001|শিরোনাম=The Jesus legend : a case for the historical reliability of the synoptic Jesus tradition|শেষাংশ=R.|প্রথমাংশ=Eddy, Paul|তারিখ=2007|প্রকাশক=Baker Academic|আইএসবিএন=0801031141|অবস্থান=Grand Rapids, MI}}</ref> তবে ইসলাম ধর্মমত অনুযায়ী যীশু বা [[ঈসাকে]] হত্যাও করা হয় নি, ক্রুশবিদ্ধও করা হয়নি।<ref>[http://tanzil.net/#trans/bn.bengali/4:157 কুরআন ৪:১৫৭]</ref> ইতিহাসবিদগণ এই বিষয়ে
বাইবেলে উল্লেখিত সুসমাচার অনুযায়ী যিশুকে খ্রিস্ট বলা হয়, তাঁকে তৎকালীন রাজা পিলাতের আইনসভা কর্তৃক অন্যায়ভাবে ধরে এনে অপমান করা হয় এবং পরে রাজা পিলাতের কাছে পাঠানো হলে সে প্রথমে চাবুক মারার আদেশ এবং পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ক্রুশে দেবার আদেশ দেয় এবং অবশেষে রোমানরা
তাঁকে ক্রুশে দেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/40580177|শিরোনাম=Studying the historical Jesus : evaluations of the state of current research|তারিখ=1998|প্রকাশক=Brill|আইএসবিএন=9004111425|অবস্থান=Leiden}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/369138111|শিরোনাম=The cradle, the cross, and the crown : an introduction to the New Testament|শেষাংশ=1957-|প্রথমাংশ=Köstenberger, Andreas J.,|তারিখ=2009|প্রকাশক=B & H Academic|আইএসবিএন=9780805443653|অবস্থান=Nashville, Tenn.}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/746849941|শিরোনাম=Jesus and the oral Gospel tradition|তারিখ=2004|প্রকাশক=T & T Clark International|আইএসবিএন=0567040909|অবস্থান=London}}</ref> ক্রুশবিদ্ধ করার আগে যিশু খ্রিস্টের শরীর থেকে তার কাপড় খুলে নিয়ে তাকে চাবুকের আঘাত করা হয় এবং পিত্ত মেশানো আঙ্গুর রস খেতে দেওয়া হয়। এবং যিশুর সাহাবী মথির লেখা সুসমাচার অনুযায়ী পরে তাকে দুইজন দন্ডপ্রাপ্ত দস্যুর মাঝে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয় এবং তার ক্রুশের উপর বিদ্রুপ করে লিখে দেওয়া হয় " INRI " অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় " এই ব্যক্তি যিশু, ইহূদীদের রাজা " যার উল্লেখ তাঁর সাহাবী ইউহোন্না যাকে যোহন বলা হয় তার লেখা সুসমাচারে পাওয়া যায়। ইউহোন্না আরো উল্লেখ করেছেন যে যিশুকে ক্রুশে দেবার পর সৈন্যরা তাঁর জামাকাপড় লটারী করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। চারটি সুসমাচারের মধ্যে ইউহোন্না বা যোহনের লেখা সুসমাচারে উল্লেখ আছে যে, যিশুকে ক্রুশে দেবার পর একজন সৈন্য তার দেহে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে নিশ্চিত হন যে তিঁনি মারা গেছেন কিনা। বাইবেল অনুসারে যিশু খ্রিস্ট ক্রুশেবিদ্ধ থাকা অবস্থায় সাতটি বাণী দেন এবং তার জীবদ্দশায় তিঁনি অনেক অলৌকিক কাজ করেন।
১৮ নং লাইন:
John P. Meier যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরনকে ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে দেখেন এবং বলেছেন যে, criterion of embarrassment বা বিব্রতকর পরিস্থিতির মানদন্ড এর উপর ভিত্তি করে এটা বলা যে, খ্রিস্টানরা নিশ্চয় তাদের নেতার বেদনাদায়ক মৃত্যু নিজেরা বানিয়ে লিখে থাকবে না।Meier বলেছেন যে, অন্যান্য মানদণ্ডগুলি যেমন, একাধিক সাক্ষ্যের মাপদণ্ড (একাধিক উৎসের দ্বারা নিশ্চিতকরণ) এবং দৃঢ়তার পরিমাপ (অর্থাৎ, এটি অন্যান্য ঐতিহাসিক সত্যতার সাথে একমত পোষণ করে) যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরণকে একটি ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠ করতে সাহায্য করে।
যদিও ক্রুশবিদ্ধকরণ সংক্রান্ত প্রায় সব প্রাচীন উৎস পুঁথিগত বা দলিলভিত্তিক, 1968 সালে জেরুজালেমের উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রথম শতাব্দীতে ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এক ব্যক্তির দেহের পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণি ত হয়েছে যে, প্রাচীন রোমান যুগে ক্রুশবিদ্ধকরনের ঘটনা ঘটেছিল এবং তার ধরন বাইবেলের সুসমাচারে বর্ণনা করা যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরনের সাথে প্রায়
== নতূন নিয়মের বিবরন ==
|