প্রাচ্যতত্ত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Link suggestions: 6 accepted, 2 rejected, 1 skipped.
চিত্র যোগ #WPWPBN #WPWP
১ নং লাইন:
[[File:WomenofAlgiers.JPG|থাম্ব|আলজিয়ার্সের নারী]]শিল্প, ইতিহাস, সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক গবেষণায় '''প্রাচ্যতত্ত্ব''' হল প্রাচ্য বা পূর্ব বিশ্বের বিভিন্ন দিকের অনুকরণ বা চিত্রায়ন। এই কাজগুলো সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বের নকশাকার, লেখক ও শিল্পীরা করে থাকেন। প্রাচ্যকেন্দ্রিক চিত্রকর্ম বিশেষত মধ্য প্রাচ্যকে কেন্দ্র করে অঙ্কিত চিত্রকর্ম উনিশ শতকের একাডেমিক শিল্পের অন্যতম বিশেষত্ব ছিল। পশ্চিমা সাহিত্যেও প্রাচ্যকেন্দ্রিক বিষয়গুলিতে একই রকম আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।
১৯৭৮ সালে [[এডওয়ার্ড সাইদ|এডওয়ার্ড সাঈদের]] ‘[[ওরিয়েন্টালিজম (গ্রন্থ)|ওরিয়েন্টালিজম]]’ বা ‘প্রাচ্যতত্ত্ব’ নামে বইটি প্রকাশের পর থেকে একাডেমিক বিষয় হিসেবে প্রাচ্যতত্ত্ব সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা শুরু হয়। এর পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার সমাজগুলোর প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝাতে ‘প্রাচ্যতত্ত্ব’ শব্দটির বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সাঈদের মতে, পশ্চিমা বিশ্ব এই সমাজগুলিকে স্থিতিশীল এবং অনুন্নত হিসাবে উপস্থাপন করার ফলে প্রাচ্য সংস্কৃতির প্রতি এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে যা সমীক্ষা ও চিত্রায়নের মাধ্যমে সাম্রাজ্য শক্তির সেবায় কাজে লাগানো যেতে পারে। সাঈদের মতে, কল্পিত এই তত্ত্বানুসারে পশ্চিমা সমাজকে একটা বিকশিত, যৌক্তিক, নমনীয় এবং উন্নত সমাজ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।<ref>Mahmood Mamdani, ''Good Muslim, Bad Muslim: America, the Cold War, and the Roots of Terrorism'', New York: Pantheon, 2004; {{ISBN|0-375-42285-4}}; p. 32.</ref>