মহাকর্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''মহাকর্ষ''' একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা দ্বারা সকল বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। এটির সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায় যে, যেকোনো ভরের বস্তুদ্বয় একে অপরকে যে বলে আকর্ষণ করে তা হলো মহাকর্ষ। এখনযদি এই আকর্ষণ যদি পৃথিবী ওএবং অন্য কোন বস্তুর মাঝে হয় তাহলে তাকে বলা হবেহয় অভিকর্ষ। প্রকৃতির [[মৌলিক বল|চারটি মৌলিক বলের]] একটি হলো মহাকর্ষ।<ref name="Does Gravity Travel at the Speed of Light?">[http://math.ucr.edu/home/baez/physics/Relativity/GR/grav_speed.html Does Gravity Travel at the Speed of Light?], ''UCR Mathematics''. 1998. Retrieved 3 July 2008</ref> মহাকর্ষের কারণেই [[পৃথিবী]]সহ অন্যান্য গ্রহগুলি [[সূর্য|সূর্যের]] চারিদিকে ঘূর্ণায়মান থাকে। [[আইজাক নিউটন|স্যার আইজাক নিউটন]] ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তার ''[[ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা]]'' গ্রন্থে এ বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন৷

মহাকর্ষের বিশেষ উদাহরণ হলো '''মাধ্যাকর্ষণ''' বা '''[[অভিকর্ষজ বল|অভিকর্ষ]]''' যার কারণে ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ সকল বস্তু ভূকেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবেই উপরিস্থিত বা ঝুলন্ত বস্তু মুক্ত হলে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ভরসম্পন্ন বস্তুসমূহে [[ওজন (ভার)|ওজন]] অনুভূত হয়। একটি বস্তুর [[ভর]] যত বেশি হয়, মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তার ওজনও তত বেশি হয়।

বিজ্ঞানী নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের [[গণিত|গাণিতিক]] ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি [[নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র]] নামে পরিচিত। আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাকর্ষ সবচেয়ে সঠিকভাবে [[আপেক্ষিকতারবর্ণনা সাধারণকরা তত্ত্ব]]হয় ([[আলবার্ট আইনস্টাইন|আইনস্টাইন]] দ্বারা প্রস্তাবিত) দ্বারা[[আপেক্ষিকতার বর্ণনাসাধারণ করাতত্ত্ব]] হয়।দ্বারা। আইনস্টাইনের মতে স্থান-কালের বক্রতার কারণেই মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়।

অতি প্রাচীনকাল থেকেই আকাশের [[গ্রহ]]-[[তারা|নক্ষত্র]] সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল ছিল। [[ডেনমার্ক|ডেনমার্কের]] বিশিষ্ট বিজ্ঞানী [[ট্যুকো ব্রাহে|টাইকো ব্রাহে]] ([[ট্যুকো ব্রাহে|Tycho Brahe]]) বহু বছর ধরে বিভিন্ন গ্রহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের গতি সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে ওই তথ্যগুলির সহায়তায় এবং আরো অনেক পর্যবেক্ষণের পর ডেনমার্কের আরো একজন [[জ্যোতির্বিজ্ঞান|জ্যোতির্বিদ]] [[ইয়োহানেস কেপলার|জোহানেস কেপলার]] ([[ইয়োহানেস কেপলার|Johannes Kepler]]) এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গ্রহগুলি কোনো এক বলের প্রভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরত ঘুরছে।

[[আইজাক নিউটন|স্যার আইজাক নিউটন]] ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তার ''[[ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা|Philosophia Naturalis Principia Mathmatica]]'' বইটিতে ''[[ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা|মহাকর্ষ]]'' বিষয়ে ধারণা দেন ৷ তার সূত্রটি ছিল:<blockquote>''<big>এই বিশ্বে যে-কোনো দুটি বস্তুকণা তাদের সংযোজীসংযোজক সরলরেখা বরাবর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বল কণাদুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।</big>'' </blockquote>এ সূত্রানুসারে যদি দুটি বস্তুর ভর যথাক্রমে <math>m_1</math> ও <math>m_2</math> এবং মধ্যবর্তী দূরত্ব <math>r</math> হয় তবে

সমানুপাতিক ধ্রুবক <math>G</math> কে সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক ([[মহাকর্ষ ধ্রুবক|Universalসার্বজনীন gravitationalমহাকর্ষীয় constantধ্রুবক]]) বলে।

এই মহাকর্ষীয় ধ্রুবক, G এর মান = 6.673*10673×10^-11 N m^2 kg^-1

কোন বস্তুর আশে পাশে যে অঞ্চলব্যাপী এর মহাকর্ষীয় প্রভাব বজায় থাকে, অর্থাৎ কোনো​ বস্তু রাখা হলে সেটি আকর্ষণ বল লাভ করে, তাকে [[মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র]] বলে।

তাত্ত্বিকভাবে একটি বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

মহাকর্ষীয় বিভব একটি স্কেলার রাশি, এর কোন দিক নেই। এর একক হলো '''<math> J/kg</math> '''।GM/r=GM/infinite

==আরোআরও দেখুন==