সিরাজুল হক (শিক্ষাবিদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বাংলাপিডিয়া থেকে
৫৫ নং লাইন:
}}
 
'''ড. সিরাজুল হক''' (১৯০৫-২০০৫) হলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৩ সালে তাকে “[[শিক্ষায় স্বাধীনতা পুরস্কার]]” এবং ১৯৯৭ সালে [[একুশে পদক]] প্রদান করা হয়।<ref name="স্বাপু"/> এছাড়াও তিনি ১৯৯৬ সালে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির প্রফেসর সুকুমার সেন স্বর্ণপদক এবং ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.banglapedia.org/index.php/%E0%A6%B9%E0%A6%95,_%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2|শিরোনাম=হক, সিরাজুল - বাংলাপিডিয়া|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-06-23}}</ref>
 
== জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি ==
সিরাজুল হক ১৯০৫ সালের ১ এপ্রিল নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ থানার বেলাকোট নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার মৌলভি হামিদুল্লাহ, সিরাজুল হক তার পিতা থেকে বাল্যকালে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
 
== শিক্ষাজীবন ==
সিরাজুল হক নিজ গ্রাম বেলাকোটের স্থানীয় মক্তব ও মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর সিরাজুল হক [[মোহসিনীয়া মাদ্রাসা|ঢাকা মুহসিনিয়া মাদ্রাসা]] হতে ১৯২১ সালে ম্যাট্রিক, ১৯২৩ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টার মিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে বি এ অনার্স পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইবার এম এ পাশ করেছেন, ১৯২৭ সালে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে এম এ এবং ১৯৩০ সালে ফারসি বিষয়ে এম এ পাস করেন। তিনি ১৯৩৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
 
== কর্মজীবন ==
সিরাজুল হকের ১৯২৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সহকারি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৩৭ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক, ১৯৪৩ সালে রিডার এবং ১৯৫১ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ করে। তিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত (অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত) আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সহকারি প্রক্টর এবং ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বে কর্তব্যরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৫ এবং ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত দুবার কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
 
তিনি ১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈতনিক কোষাধ্যক্ষ এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে আমৃত্যু প্রফেসর ইমেরিটাস পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
 
== মৃত্যু ==
২০০৫ সালের ৪ মার্চ সিরাজুল হকের মৃত্যু হয়।
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ‘সিরাজুল হক ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কার ও সন্মাননা পেয়েছেন।
১৯৬৯ সালে তিনি [[সিতারা-এ-ইমতিয়াজ]] সম্মাননা পান।<ref name="বাপি২">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=সানজিদা খান |সম্পাদক=[[সিরাজুল ইসলাম]] |শিরোনাম=[[বাংলাপিডিয়া]] |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=হক,_সিরাজুল |অধ্যায়=হক, সিরাজুল |প্রকাশক=[[এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |তারিখ=জানুয়ারি ২০০৩ |সংগ্রহের-তারিখ= ১৩ নভেম্বর ২০১৭ |অবস্থান=[[ঢাকা]] |আইএসবিএন=984-32-0576-6 |পাতা= }}</ref> শিক্ষা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৩ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”<ref name="বাপি">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=সানজিদা খান |সম্পাদক=[[সিরাজুল ইসলাম]] |শিরোনাম=[[বাংলাপিডিয়া]] |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=জাতীয়_পুরস্কার |অধ্যায়=জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার |প্রকাশক=[[এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |তারিখ=জানুয়ারি ২০০৩ |সংগ্রহের-তারিখ= ০৯ অক্টোবর ২০১৭ |অবস্থান=[[ঢাকা]] |আইএসবিএন=984-32-0576-6 |পাতা= |উক্তি=স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।}}</ref><ref name="কাক">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/03/02/331138 |শিরোনাম=স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে |সংবাদপত্র=কালেরকন্ঠ অনলাইন |তারিখ=২ মার্চ ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ= ২৫ অক্টোবর ২০১৭}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ntvbd.com/bangladesh/43504/ |শিরোনাম=এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা |সংবাদপত্র=এনটিভি অনলাইন |তারিখ=২৪ মার্চ ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ অক্টোবর ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171201035442/http://www.ntvbd.com/bangladesh/43504/ |আর্কাইভের-তারিখ=১ ডিসেম্বর ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।<ref name="স্বাপু">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.cabinet.gov.bd/site/view/all_independence_awardees|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171201042150/http://www.cabinet.gov.bd/site/view/all_independence_awardees |আর্কাইভের-তারিখ=১ ডিসেম্বর ২০১৭ |শিরোনাম=স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা |প্রকাশক=[[মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ]], [[বাংলাদেশ সরকার|গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার]] |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ= ০৯ অক্টোবর ২০১৭}}</ref>
 
* ১৯৬৯ সালে তিনি [[সিতারা-এ-ইমতিয়াজ]] সম্মাননা পান।<ref name="বাপি২">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=সানজিদা খান |সম্পাদক=[[সিরাজুল ইসলাম]] |শিরোনাম=[[বাংলাপিডিয়া]] |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=হক,_সিরাজুল |অধ্যায়=হক, সিরাজুল |প্রকাশক=[[এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |তারিখ=জানুয়ারি ২০০৩ |সংগ্রহের-তারিখ= ১৩ নভেম্বর ২০১৭ |অবস্থান=[[ঢাকা]] |আইএসবিএন=984-32-0576-6 |পাতা= }}</ref>
* ১৯৭৩ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ ফেলোশীপ
* ১৯৮৩ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “'''স্বাধীনতা পুরস্কার'''” প্রদান করা হয় তাকে।<ref name="স্বাপু">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.cabinet.gov.bd/site/view/all_independence_awardees|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171201042150/http://www.cabinet.gov.bd/site/view/all_independence_awardees |আর্কাইভের-তারিখ=১ ডিসেম্বর ২০১৭ |শিরোনাম=স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা |প্রকাশক=[[মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ]], [[বাংলাদেশ সরকার|গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার]] |তারিখ= |সংগ্রহের-তারিখ= ০৯ অক্টোবর ২০১৭}}</ref><ref name="কাক">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/03/02/331138 |শিরোনাম=স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে |সংবাদপত্র=কালেরকন্ঠ অনলাইন |তারিখ=২ মার্চ ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ= ২৫ অক্টোবর ২০১৭}}</ref><ref name="বাপি">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক=সানজিদা খান |সম্পাদক=[[সিরাজুল ইসলাম]] |শিরোনাম=[[বাংলাপিডিয়া]] |ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=জাতীয়_পুরস্কার |অধ্যায়=জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার |প্রকাশক=[[এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |তারিখ=জানুয়ারি ২০০৩ |সংগ্রহের-তারিখ= ০৯ অক্টোবর ২০১৭ |অবস্থান=[[ঢাকা]] |আইএসবিএন=984-32-0576-6 |পাতা= |উক্তি=স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ntvbd.com/bangladesh/43504/ |শিরোনাম=এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা |সংবাদপত্র=এনটিভি অনলাইন |তারিখ=২৪ মার্চ ২০১৬ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ অক্টোবর ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20171201035442/http://www.ntvbd.com/bangladesh/43504/ |আর্কাইভের-তারিখ=১ ডিসেম্বর ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> (শিক্ষা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য)
* ১৯৮৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পদক
* ১৯৯৬ সালে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির প্রফেসর সুকুমার সেন স্বর্ণপদক
* ১৯৯৭ সালে একুশে পদক
 
== আরও দেখুন ==