রাজশাহী জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
জেলা প্রশাষক
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Tahomid rumun Khokan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪১ নং লাইন:
 
==নামকরণ ইতিহাস ==
এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে। তবে ঐতিহাসিক [[অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়|অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র]] মতে রাজশাহী রাণী ভবানীর দেয়া নাম। অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো এবং এই চাকলার বন্দোবস্তের কালে রাজশাহী নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। পদ্মার উত্তরাঞ্চল বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে [[পাবনা]] পেরিয়ে [[ঢাকা]] পর্যন্ত এমনকি [[নদীয়া]], [[যশোর]], [[বর্ধমান]], [[বীরভূম]] নিয়ে <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.zsorajshahi.gov.bd/?page_id=168|শিরোনাম=Rajsahi Satelment Office » রাজশাহী জেলা|প্রকাশক=|সংগ্রহের-তারিখ=19 June 2016|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160717003535/http://www.zsorajshahi.gov.bd/?page_id=168|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এই এলাকা [[রাজশাহী চাকলা]] নামে অভিহিত হয়। অনুমান করা হয় ‘রামপুর’ এবং ‘বোয়ালিয়া’ নামক দু’টি গ্রামের সমন্বয়ে রাজশাহী শহর গ’ড়ে উঠেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘রামপুর-বোয়ালিয়া’ নামে অভিহিত হলেও পরবর্তীকালে [[রাজশাহী]] নামটিই সর্ব সাধারণের নিকট সমধিক পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে আমরা যে রাজশাহী শহরের সঙ্গে পরিচিত, তার আরম্ভ ১৮২৫ সাল থেকে।তার আগে [[রাজশাহী জেলারজেলা]]র [[সদরদপ্তর]] ছিল বর্তমান [[নাটোর শহর]] এলাকায়।নারদ নদের নাব্য সংকটের কারণে তৎকালীন রামপুর-বোয়ালিয়া পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকায় রাজশাহীর সদর ও প্রসাশনিক এলাকা ব্রিটিশরা স্থাপন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://shujan.org/about-shujan/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE/|শিরোনাম=রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা কমিটির তালিকা|কর্ম=সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক|সংগ্রহের-তারিখ=19 June 2016|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160531035017/https://shujan.org/about-shujan/%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be/|আর্কাইভের-তারিখ=৩১ মে ২০১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
 
রাজাশাহী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি ভিন্ন ভাষার একই অর্থবোধক দুটি শব্দের সংযোজন পরিলতি হয়। [[সংস্কৃত]] ‘রাজ’ ও [[ফারসি]] ‘শাহ’ এর বিশেষণ ‘শাহী’ শব্দযোগে ‘রাজশাহী’ শব্দের উদ্ভব, যার অর্থ একই অর্থাৎ রাজা বা রাজা-রাজকীয় বা বাদশাহ বা বাদশাহী। তবে বাংলা ভাষায় আমরা একই অর্থের অনেক শব্দ দু-বার উচ্চারণ করে থাকি। যেমন শাক-সবজি, চালাক-চতুর, ভুল-ভ্রান্তি, ভুল-ত্র“টি, চাষ-আবাদ, জমি-জিরাত, ধার-দেনা, শিক্ষা-দীক্ষা, দীন-দুঃখী, ঘষা-মাজা, মান-সম্মান, দান-খয়রাত, পাহাড়-পর্বত, পাকা-পোক্ত, বিপদ-আপদ ইত্যাদি। ঠিক তেমনি করে অদ্ভুত ধরনের এই রাজশাহী শব্দের উদ্ভবও যে এভাবে ঘটে থাকতে পারে তা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। এই নামকরণ নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীও রয়েছে। সাধারণভাবে বলা হয় এই জেলায় বহু রাজা-জমিদারের বসবাস, এজন্য এ জেলার নাম হয়েছে রাজশাহী। কেউ বলেন [[রাজা গণেশ|রাজা গণেশের]] সময় (১৪১৪-১৪১৮) রাজশাহী নামের উদ্ভব। ১৯৮৪ সালে [[ বৃহত্তর রাজশাহী]]র ৪ টি মহকুমাকে নিয়ে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর এবং নবাবগঞ্জ- এই চারটি স্বতন্ত্র জেলায় উন্নীত করা হয়। নবাবগঞ্জ জেলা পরবর্তীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামকরণ করা হয়।