বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rajibul Hasan (আলোচনা | অবদান)
123.49.40.164 (আলাপ) এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে JAnDbot এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্ক
৪০ নং লাইন:
 
==ত্রিভূজ গল্পের ইতিহাস==
[http://hatashe.amarblog.com/posts/86602/ বিজ্ঞান কল্পপোন্যাস: ত্রিভুজের অন্তরালে (পর্ব-০১) ]
 
[http://hatashe.amarblog.com/posts/88120/ বিজ্ঞান কল্পোপন্যাস: ত্রিভুজের অন্তরালে (শেষ পর্ব-২৮)]
 
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বিষয়ে যারা লিখেছেন তাঁদের মতে [[ক্রিস্টোফার কলম্বাস]] সর্বপ্রথম এই ত্রিভূজ বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা লিখেন। তিনি লিখেছিলেন যে তাঁর জাহাজের নবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি, আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এছাড়া তিনি এখানে [[কম্পাস|কম্পাসের]] উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশনার কথাও বর্ণনা করেছেন। তিনি [[১১ই অক্টোবর]], [[১৪৯২]] তে তাঁর লগ বুকে লিখেন –
<ref name="Columbus,1492">{{cite web
৩০৩ ⟶ ২৯৯ নং লাইন:
*[[মিশিগান ট্রায়াঙ্গেল]]
*[[ইউ এফ ও]]
*[http://hatashe.amarblog.com/posts/86602/ বিজ্ঞান কল্পপোন্যাস: ত্রিভুজের অন্তরালে (পর্ব-০১) ]
 
*[http://hatashe.amarblog.com/posts/88120/ বিজ্ঞান কল্পোপন্যাস: ত্রিভুজের অন্তরালে (শেষ পর্ব-২৮)]
 
==ইশ্বরের আগমন এবং প্রকাশিত সত্য (Revelation)==
'''বিজ্ঞান কল্পোপন্যাস: ত্রিভুজের অন্তরালে'''
 
'''চব্বিশ পরিচ্ছেদ: ইশ্বরের আগমন এবং প্রকাশিত সত্য (Revelation)'''
 
চারিদিক নিরব-নিথর, আবহাওয়া যেন ভারী ভারী। নিরবতার মধ্যেই যেন হাজার বছর ধরে ডুবে আছে 'বড় ভাটরা', গুমোট রাত্রির গভীর অন্ধকারে সর্বত্র মহাশূন্যের মতই নীরব। মহাবিশ্বের সমস্ত নীরবতা যেন 'বড় ভাটরা'তেই ভর করেছে। মাঝে মাঝে দু-একটা পেঁচার কন্ঠ কিংবা বাদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দও রয়ার কানে আসছে না। আসলে এতোটা নয়। গভীর মনোযোগে রয়ার দৃষ্টি কোন এক বইয়ের উপর। বই পড়ে এতই তন্ময় হচ্ছে যে, বাহ্যিক পৃথিবী সম্পর্কে সব ভুলে গেছে। প্রবাসে থাকতে থাকতে রাত জাগার অভ্যাস জন্মে গেছে। রাতে ঘুম আসে না কিছুতেই। অগত্যা দিনেই ঘুমাতে হয়। এ নিয়ে রিও অবশ্য উদ্বিগ্ন নয়। আর মাত্র পাঁচ-ছয় দিন, তারপরই আবার চলে যাবে ওর চাকুরীস্থল। বিমানের টিকেটও বুকিং দেয়া আছে। সেদিন রাত বারোটায় "কনকর্ড থার্টি সিক্স", নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমান বন্দর ত্যাগ করবে। ওই ফ্লাইটেই রিও আর রয়া যাবে। রিয়ার এক বছরের বড় ভাই রিও । দু'জনই নিউইয়র্কে থাকছে অনেক বছর ধরে, খুব উচু পদের কর্মকর্তা। ছুটি কাটানোর জন্যই দেশে ফেরা। গোপালগঞ্জ ননীক্ষীর ইউনিয়নের বড় ভাটরা ওদের জন্মস্থান এবং পৈত্রিক নিবাস। জীবনের দীর্ঘ ত্রিশ বছর কেঁটেছে এই স্থানে। মায়ের অনুরোধে এখানেই বাড়ীঘর নির্মাণ করেছে। মা-বাবা কিছুতেই এখান থেকে সরতে রাজি নন। মা-বাবার অনুরোধে কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারে নি, রিও আর রয়া। তাই এখানেই বাড়ি গাড়ি। বছরানত্দে একবার নিজ বাড়িতে ছুটিতে আসে ওরা। ছোট এক বোনও আছে ওদের। এবারো নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাঁনোর জন্যই এসেছে। রয়া বাগানে সেল টেবিলের পাশে হুইল চেয়ারে শরীর এলিয়ে আধশোয়া অবস্থায় কোন বই পড়ছে। মাথার একটু দূরেই জ্বলন্ত লাইটের আলো বইয়ের পৃষ্ঠাকে আলোকিত করছে।
হঠাৎ অনুভব করল কেউ যেন তাকে ডাকছে। এই গভীর রাতে তারই বাগানে অন্য কারো অনুপ্রবেশ! রয়া ভাবতেই পারছে না। ধীর পদক্ষেপে রয়া এগিয়ে যায়; তারপর সে ভুত দেখার মত চমকে উঠল।
 
 
না রয়া। আমাকে দেখ, এই তো আমি রক্ত মাংসের মানুষ। আমাকে ছুয়ে দেখ। ভুতের তো কোন হাড় মাংস নেই। আমি তো মারা যাই নি, কারন আমার মৃত্যু নেই। আমি চিরঞ্জীব স্রষ্টা। আমি আলফা, আমিই ওমেগা, প্রথম এবং শেষ।
মৃত্যু যন্ত্রনায় কোঁকাতে কোকাঁতে রাসপা সিম কথা বলার চেষ্টা করছে। রয়া কাছে এগিয়ে গেল; আপনী শান্ত হোন।
 
 
অতি কষ্টে রাসপা কথা বলছে; রয়া আমি কিছু কথা বলছি মনোযোগ দিয়ে শোন। আমি তোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং তোকেও আমার প্রক্রিয়ার একটি অংশ হিসেবে যোগ করেছি। তুই আমার সর্ম্পকে প্রায় সব কিছু জানিস, কিন্তু তুই জানিস না আমি এই পৃথিবী তথা বিশ্বের সর্বপ্রথম বুদ্ধিসম্পন্ন প্রানী। যেদিন আমি নিজের বুদ্ধিবৃত্ত্বিক অস্থিত্ব টের পেলাম সেদিন হতে আমি স্রষ্টার খোজ করেছি। কিন্তু না এই প্রকৃতি হচ্ছে শুধুই অবিরাম একটি প্রক্রিয়া। স্রষ্টা নেই, নাহ। তন্ন করে খুজেছি, বাস্তবে, কল্পনায়, চিন্তায় আর অনুভবে, না কোথাও সে নেই। তবে আমি তাকে খুজব মহাসংকোচনের শেষ সময় পর্যন্ত। স্রষ্টার ধারনা যখন আমার মধ্যে এল তখন আমি খুজে পেলাম কিছু জীবন বিধান। কাল্পনিক এক সত্তাকে দাড় করিয়ে দিলাম, কারন মানুষ এমনই কাল্পনিক অতিপ্রাকৃতিক শক্তির কাছে নিজেকে সমর্পন করতে ভালবাসে।
হাজার হাজার বছর আগেই আমি বর্তমান পৃথিবীর সমস্থ বিজ্ঞান আর জ্ঞান অর্জন করেছিলাম। মানুষের প্রতিরুপ (ক্লোন) করা আমি শিখেছি খিষ্টপুর্ব প্রায় আট হাজার বছর আগে।
আমি ভগবান, ইশ্বর, আল্লাহ বা স্রষ্টার ধারনাকে সামনে রেখে পৃথিবীতে প্রায় তিন লক্ষ প্রতিনিধি প্রেরন করলাম। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষকে দ্বন্দ্ব, কোলাহল সব অজ্ঞতা থেকে সরিয়ে এনে কিছু নিয়ম নীতিমালাতে বাধতে পারে, তা না হলে এই পৃথিবীকে এতদিন রক্ষা করা যেত না।
প্রতিটি জীবন বিধানকে আমি সর্বশেষ আর শ্রেষ্ঠ মনে করতাম কিন্তু না, কয়েকশত বছর পরই আমি অনুভব করতাম যে নতুন আইনের প্রয়োজন তখনি আবার একজন প্রতিনিধিকে প্রেরন করতাম এভাবে আমি পৃথিবীর অন্তরালে থেকে প্রায় তিন লক্ষ প্রতিনিধি আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি। যে ইশ্বরের ধারনা আমি সৃষ্টি করেছিলাম আস্তে আস্তে একদিন আমি সেই স্থানে নিজেকে স্থান দিতে শুরু করলাম আর এভাবে একদিন আমি স্পন্দিত বুকে অনুভব করলাম আমিই স্রষ্টা। তাই একাধিকবার আমিই আমার প্রতিরুপ দেহ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি, কখনো ইশ্বরপুত্র হয়ে কখনো ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হয়ে। আমি দেখেছি পৃথিবীর মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ, তারা আমার প্রতিরুপকে কিভাবেই না হত্যা করেছিল!
 
 
কিন্তু আজ আমাকে আমার এই দেহ ত্যাগ করতে হচ্ছে। কিন্তু জেনে রাখ আমি প্রথম, আমিই শেষ, আমি ছিলাম, আমি, আছি এবং মহাসংকোচনের শেষ সময় পর্যন্ত আমি থাকব। আমার কাছে মৃত্যু ও জীবনের চাবি আছে।
রয়া অবাক হয়ে দেখছে রাসপা সিমকে, রয়ার নিউরনে সঞ্চালিত হতে লাগল রাসপার কথাগুলো; হ্যা রয়া, আমি শ্রীঘ্রই আসছি, আমি আসছি তোমার মধ্য দিয়েই।
রয়া চমকে উঠল; হ্যা রয়া, তুমি গর্ভবতী হবে এবং একটি সন্তান প্রসব করবে।
বিস্ময় ভরা কন্ঠে রয়া বলল; কিন্তু কিভাবে!? আমি তো এখনো বিয়েই করিনি কিংবা কখনো কোন পুরুষও আমাকে স্পর্শ করেনি।
তবুও তুমি মা হবে, সন্তান জম্ন দিবে। যা পৃথিবীর মানুষের কাছে অসম্ভব তা আমার কাছে সম্ভব, সেটা তুমি জান রয়া। শুধু তুমি তোমার দায়িত্বটা সঠিক ভাবে পালন করো। দেখ, যুগের শেষ পর্যন্ত আমি তোমার সাথে থাকব, আমি তোমাকে আবার পুর্নজম্ম দেবো রয়া। আর আজ তুমি যা দেখলে তা কাউকে বলো না। কিন্তু যার পিপাসা পেয়েছে সে আসুক এবং জীবন পানি খেয়ে যাক। আর আমার এই ইচ্ছেকে যদি কেউ মিথ্যে প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পায় তবে পৃথিবীও নিমেষেই মিথ্যে হয়ে যাবে। প্রকৃতি নামক সিস্টেমটাকে আমি এমনভাবেই সজানো হয়েছে। অপেক্ষায় থেকো রয়া, ভয় করো না, আমিই প্রথম ও শেষ, আমি চিরজীবন্ত, দেখ আমি যগযুগ ধরে চিরকাল জীবিত আছি, থাকব। আমি সত্যিই শ্রীঘ্র আসছি।
 
 
ভীষন ব্যাথায় মুষড়ে পড়ল রয়া। নিজের মধ্যে দ্বিতীয় কোন সত্তার উপস্থিতি টের পেল। আপন মনে রয়া বিড়বিড় করে উঠল; মা হব। আমি মা হব! আমি ইশ্বরের মা হব, আনন্দে রয়ার বুকটা ভরে গেল।
মাতৃত্বের এক অপার্থিব অনুভুতি রয়ার সারা শরীরকে আচ্ছন্ন করে ফেলল; এ শিশুকে নিরাপদে পৃথিবীতে আসতে দিতে হবে। তাকে পৃথিবীতে খুব দরকার কারন পৃথিবী ক্রমশই অন্ধকারে ধাবিত হচ্ছে, বিশেষ করে পারমানবিক অস্ত্রের মজুদ মানব সভ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে, তাছাড়া যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, সব মিলিয়ে পৃথিবীর খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে। পৃথিবীর জন্য এখন সময় উপযোগী আর একটি নতুন জীবন বিধান আর শাসন ব্যবস্থা প্রয়োজন। তাই এই শিশুকে নিরাপদে পৃথিবীতে আসতে দিতে হবে।
 
 
রয়া বিড়বিড় করে আওড়াতে লাগল; তুমি এস হে মোর প্রভু, মেরে খোদা, মেরে ইশ্বর মেরে ভগবান। তোমার আগমনের প্রতিক্ষায় বিশ্ব। এবার রয়া তার ছোট্ট একটি হাসি ছড়িয়ে দিল মহাশুন্যে, কারন সে ইশ্বরের মা হতে চলেছে। [http://hatashe.amarblog.com/posts/88120/ '''সুত্র''']
 
==তথ্যসূত্র==
ইংরেজী উইকিপিডিয়া[[http://en.wikipedia.org/wiki/Bermuda_Triangle]] থেকে অনুদিত।