বিশ্বাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.82.8.27 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 5185830 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন:
{{উৎসহীন}}
'''বিশ্বাস''' বলতে সাধারণত পারিপার্শ্বিক [[বিষয়]]-[[বস্তু]]রাজিবস্তুরাজি ও [[জগৎ]] সম্পর্কে কোনো [[সত্ত্বা|সত্তা]]রসত্ত্বার [[স্থায়ী]]-[[অস্থায়ী]] [[প্রত্যক্ষ]]ণকৃতপ্রত্যক্ষণকৃত [[ধারণা]]গত [[উপলব্ধি]] বা [[জ্ঞান]] এবং তার [[নিশ্চয়তা]]রনিশ্চয়তার উপর [[আস্থা]] বোঝানো হয় ।
[[সমাজবিজ্ঞান]] , [[মনোবিজ্ঞান]] , [[জ্ঞানতত্ত্ব]] ইত্যাদি বিভিন্ন [[আঙ্গিক|আঙ্গিকে]] '''বিশ্বাস''' [[শব্দ]]টি বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে খানিকটা আলাদা অর্থ বহন করতে পারে , তাই [[জ্ঞান]] , [[সত্য]] ইত্যাদির মত '''বিশ্বাসে'''রও কোনো একটি সর্বজনসম্মত [[সংজ্ঞা]] নেই বলে অনেকের [[ধারণা]] ।
 
কোনো [[বিষয়]] [[সত্য]] না [[মিথ্যা]] তা [[বিচার]] করে - [[সত্য]] [[মন|মনে]] হলে তা "বিশ্বাস করা" অথবা [[মিথ্যা]] [[মন|মনে]] হলে [[অবিশ্বাস]] করা আর [[মিথ্যা]] হবার [[সম্ভাবনা]] বেশি [[মন|মনে]] হলে [[সন্দেহ]] করা হয় । '''বিশ্বাস''' মানে হতে পারে [[আস্থা]] ([[faith]]) , [[ভরসা]] ([[trust]]) ।ভরসা। বিশ্বাসের দৃঢ়তা (বিশ্বাস যত বেশি সন্দেহ তত কম) খুব বেশি হলে তাকে বলা যায় [[ভক্তি]] বা [[অন্ধবিশ্বাস]] । আবার '''বিশ্বাস''' মানে হতে পারে [[আশা]] ([[hope]]) বা [[আশ্বাস]] ([[assurance]]) বা ''বিশ্বাস করার [[ইচ্ছা]]'' (willingness to trust)
 
বিশ্বাস হতে পারে কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সচেতন অনুধাবন; বা কোনো তথ্য (information) বোধগম্য হওয়া এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যাচাই করার পর এই বোধের নিশ্চয়তা সম্বন্ধে প্রত্যয় বা প্রতীতি জন্মালে (সত্য বলে স্থায়ী ধারণা) হলে তাকে জ্ঞান (knowledge) বলা যায়। [[পর্যবেক্ষণ|পর্যবেক্ষণের]] উপর যুক্তির (ও পূর্বলব্ধ জ্ঞানের) সাহায্যে বিচার (judge) করে কোন বিষয় সত্য বলে সিদ্ধান্ত নিলে তা থেকে নতুন জ্ঞান জন্মায়। এইভাবে মনের মধ্যে উপলব্ধ সত্যগুলিকে জুড়ে যে তত্ত্বের জাল বোনা হতে থাকে তাদের বিষয়বস্তুগুলি সামগ্রিকভাবে হল জ্ঞান আর তাদের গ্রহণযোগ্যতার সচেতন অনুমোদন হল বিশ্বাস। জ্ঞানের বিশেষত্ব হলো শুধু পূর্বের অভিজ্ঞতাই নয় ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি ও অজ্ঞাত পরিস্থিতি সম্বন্ধেও এর দ্বারা (induction) ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব ও সেই ভবিষ্যৎবাণীর সাফল্য বিশ্বাসকে বজায় রাখে। জ্ঞানের গভীরতা, ব্যপ্তি ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে প্রয়োগ করে ভালো ফল লাভের সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে জ্ঞান ক্ষেত্রবিশেষে বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা(wisdom) বা দূরদৃষ্টি (insight) ইত্যাদি হিসাবে পরিগণিত হতে পারে।
 
বিশ্বাস হতে পারে একজনের ব্যক্তিগত কষ্ট কল্পনা। যেমন [[সিজোফ্রেনিয়া|সিজোফ্রেনিয়ার]] রোগীরা অনেক কিছু দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে প্রমাণ দেখালে সেই বিশ্বাস আরো বদ্ধমূল হয়ে যেতে থাকে। এই ধরনের ভিত্তিহীন বা যুক্তির অতীত বদ্ধমূল অন্ধবিশ্বাসকে বলে [[ডিলিউসন]] (delusion)। আবার বিশ্বাস হতে পারে কোন জনতার সম্মিলিত জনমত। যেমন নানা ধরনের ধর্মবিশ্বাস।
 
বিশ্বাসের সঙ্গে মূল্যবোধ ও ভালোমন্দ বিচারও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কোন কিছুকে ভালো বলে বিশ্বাস না হলে তাকে খারাপ বলেই সন্দেহ হবে। সন্দেহ (বিশ্বাস করার অনিচ্ছা) খুব জোরালো হলে এবং অন্যান্য চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে দিলে তাকে বলে [[প্যারানইয়া]], যার বিশেষণ হল [[প্যারানয়েড]]। সিজোফ্রেনিয়ার চারটি প্রধান ধরনের মধ্যে প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া একটি।
 
== তথ্যসূত্র ==
==বহিঃসংযোগ==
{{সূত্র তালিকা}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [https://web.archive.org/web/20150120001218/http://www.sahih-bukhari.net/chapter/belief/ সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ০২, পর্বঃ বিশ্বাস]
{{Wiktionary|বিশ্বাস}}