তালেবান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
বিষয়বস্তু সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২১ নং লাইন:
'''তালিবান''' ([[পশতু ভাষা|পশতু ভাষায়]]: طالبان, ''তালেবান''-ও ব্যবহৃত হয়) সুন্নি ইসলামী এবং পশতুন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত [[আফগানিস্তান|আফগানিস্তানে]] এই আন্দোলনের নেতারা ক্ষমতাসীন ছিলেন। ২০০১ সালে [[নর্দার্ন অ্যালায়েন্স]] এবং [[ন্যাটো]] দেশগুলো কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সেদেশে তালিবান শাসনের অবসান ঘটানো হয়, তালিবান নেতারা অনেকেই বন্দী হন, বাকিরা পালিয়ে যান। "তালিবান" শব্দের অর্থ "ছাত্র"। বর্তমানেও দৃঢ় চেতনার অধিকারী তালিবান সমর্থকেরা [[পাকিস্তান]]-আফগানিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আফগান সরকার, [[অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম]]-এ অংশগ্রহণকারী ন্যাটো সৈন্যবাহিনী এবং ন্যাটো পরিচালিত [[ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্স|ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্সের]] (আইএসএএফ) বিরুদ্ধে [[গেরিলা]] যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
 
তালিবান আন্দোলনের প্রধান ছিলেন [[মোল্লা ওমর|মোল্লা মুহাম্মাদ উমার]]। উমারেরউমরের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন অঞ্চল ও পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তালিবান আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল। এছাড়াও [[ইউরোপ]] ও [[চীন]] থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তালিবানরা বিভিন্ন উৎস থেকে ভারী অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা লাভ করেছিল। পাকিস্তান সরকার বিশেষত [[ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স]] তালিবানদের সহায়তার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের জন্য নির্মীত মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। এই মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল [[জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম]]।
 
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিবানরা আফগান রাজধানী [[কাবুল|কাবুলে]] ক্ষমতাসীন ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃত দিয়েছিল: [[পাকিস্তান]], [[সৌদি আরব]] এবং [[সংযুক্ত আরব আমিরাত]]। মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘের]] স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং [[ইরান]], [[ভারত]], [[তুরস্ক]], [[রাশিয়া]], [[যুক্তরাষ্ট্র]] ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালিবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালিবান বিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল।
 
ক্ষমতায় থাকার সময় তালেবানরা শরিয়াহ্‌ভিত্তিক ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। নারীদের প্রতি অত্যন্ত সালীনশালীন আচরণের জন্য তারা মুসলিম বিশ্বে নন্দিত হয়েছিলেন। নারীদের [[বোরকা]] পরে চলাফেরা করতে হতো,হতো। পরিণত বয়সের পর যেহেতু তাদেরকে চাকরি বা শিক্ষা লাভ করতে দেয়া সমীচীন ছিল না এবং নিরাপদও ছিল না বটে। তাই যারা এরপরেও পড়তে চাইতো তাদেরকে বিশেষভাবে তৈরি বিদ্যালয়ে পাঠানো হতো এবং কারও সাথে অনৈসলামিক অবস্থায় ধরা পড়লে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো। পুরুষ ডাক্তাররা তাদেরকে চিকিৎসা করতে পারতো না। একান্তই করাতে হলে, সাথে করে কোন পুরুষ আত্মীয় বা স্বামী নিয়ে আসতে হতো। পুরুষ-নারী সবাইকেই ইসলামী আইন ভঙ্গ করার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো।১৯৯৬ সালে তারা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে। হিসেবে ঘোষণা করে।২০০১ সালে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স ও ন্যাটো জোটের যৌথ অভিযানে তালেবান সরকারের পতন হলেও পুরোপুরি শেষ করা যায় নি। বর্তমানে তারা শক্তিশালী অবস্থানে আছে।দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধ করেও যুক্তরাষ্ট্র সফল হতে না পেরে অবশেষে তালেবান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহার করবে। সর্বশেষ গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন‘আমেরিকার দীর্ঘতম লড়াই’ শেষ করতে আগামী ১ মে থেকে আফগানিস্তানে অবস্থানকারী মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। অন্যদিকে, যুদ্ধে তালেবানরা জয়ী হয়েছে—বলে ঘোষণা দিয়েছেন তালেবান নেতা হাজী হেকমত।
 
== পতাকা ==