খ্রিস্টধর্মের প্রতিবাদপন্থী সংস্কার আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১৭ নং লাইন:
মার্টিন লুথারের আগেও অনেকে [[ক্যাথলিক মণ্ডলী]]র কর্মকাণ্ড সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে [[ইয়ান হুস]], [[পেটার ভালডো]] এবং [[জন ওয়াইক্লিফ]] উল্লেখযোগ্য। কিন্তু বেশিরভাগের মতে মার্টিন লুথারই তাঁর প্রকাশনার মাধ্যমে এই আন্দোলনটির অবতারণা করেন। মার্টিন লুথার তাঁর গ্রন্থে [[প্রশ্রয়|প্রশ্রয়ের]] (indulgence) বিক্রির সমালোচনা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে মৃত্যু-পরবর্তী [[প্রায়শ্চিত্তমূলক অবস্থা]]র (purgatory) উপরে পোপের কোনই কর্তৃত্ব নেই। তিনি আরও বলেন যে ভবিষ্যতে ব্যবহার্য পূণ্যের ভাণ্ডারের (Treasury of Merit) যে মতবাদ (doctrine) ক্যাথলিক মণ্ডলী প্রচার করে, খ্রিস্টানদের মূল ধর্মগ্রন্থ [[বাইবেল|বাইবেলে]] তার কোনো ভিত্তি নেই।
 
একাধিক পোপের মধ্যে দ্বন্দ্ব (Western Schism), রোমের ক্যাথলিক মণ্ডলী ব্যবস্থার দুর্নীতি, জাতীয়তাবাদ ও মানবতাবাদের উত্থান এবং রনেসঁসরেনেসাঁস পর্বে লব্ধ নতুন নতুন জ্ঞান, ইত্যাদি এই সংস্কার-আন্দোলনের চালিকাশক্তি হলেও মূল কারণ ছিল খ্রিস্টীয় ধর্মতাত্ত্বিক।
 
প্রথমে জার্মানিতে শুরু হলেও গুটেনবের্গের ছাপাখানার বদৌলতে সারা ইউরোপে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এদের মধ্যে লুথারবাদী এবং কালভাঁবাদীরা ছিল সবচেয়ে বড় দুইটি দল। লুথারীয় মণ্ডলীগুলি মূলত জার্মানি, বাল্টিক অঞ্চল ও স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে কালভাঁবাদী মণ্ডলীগুলি সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ডে প্রতিষ্ঠালাভ করে। ১৫৪৭ সালে আন্দোলনটি ইংল্যান্ডের মণ্ডলীকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে।